You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে মুরাদনগর উপজেলা (কুমিল্লা)

মুরাদনগর উপজেলা (কুমিল্লা) ১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে কুমিল্লা-৯ (মুরাদনগর) আসন থেকে আবুল হাসেম এবং প্রাদেশিক পরিষদে কুমিল্লা-১০ (মুরাদনগর) আসন থেকে মোহাম্মদ হাশেম আওয়ামী লীগ-এর প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। দেশের অন্যান্য মানুষের মতো মুরাদনগরের জনগণও মনে করে যে, চিরবঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে বাঙালিরা এবার পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবে। কিন্তু সামরিক শাসক প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ষড়যন্ত্রে তাদের সে স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। ইয়াহিয়া খান তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নানারকম প্রচেষ্টা চালাতে থাকে। এমনি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান – ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলন-এর ডাক দেন। মুরাদনগরের জনগণও তাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। আবুল হাসেম এমএনএ, মোহাম্মদ হাশেম এমপিএ প্রমুখ নেতার নেতৃত্বে মুরাদনগরের আন্দোলন পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ-এর পর নেতারা বুঝতে পারেন যে, মুক্তিযুদ্ধ আসন্ন। তাই তাঁরা যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
২৫শে মার্চ পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার পরপরই মুরাদনগরের জনগণ পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। উপজেলার নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন গ্রামে ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। কাশিমপুরের কুদ্দুস কমান্ডারের বাড়িতে ছিল প্রধান ক্যাম্প। এছাড়া চাপিতলা গ্রামের রহমান ডাক্তারের বাড়ি, জহিরুদ্দিন ফকিরের বাড়ি, আলীমুদ্দীনের বাড়ি, তছন আলী ভূঁইয়ার বাড়ি, দিগলদী গ্রামের দোতলা বাড়ি, রামচন্দ্রপুরের সরকার বাড়ি, কৃষ্ণপুরের খোকন ভূঁইয়ার বাড়ি, বৃন্দারামপুরের বড়বাড়ি, ফোগরার চরের হিন্দুবাড়ি, জাহাপুরের জমিদারবাড়ি, চৌহদ্দী বেপারি বাড়ি, দরানীপাড়ার বারেক মাস্টারের বাড়ি, কাজিয়াতল প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, খামারগাও মাদ্রাসা ও পাহাড়পুর মাদ্রাসায়ও মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প ছিল। এসব ক্যাম্পে বহু ছাত্র-যুবক সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
আবুল হাসেম এমএনএ এবং মোহাম্মদ হাশেম এমপিএ মুরাদনগরে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরো অনেকেই ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের থানা কমান্ডার ছিলেন কামরুল হাছান (বাবুটিপাড়া), সহকারী কমান্ডার গিয়াসউদ্দীন (সিদ্ধেশ্বরী) এবং প্লাটুন কমান্ডার রওশন আলী।
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাকবাহিনী মুরাদনগরে প্রবেশ করে এবং কোম্পানীগঞ্জ ও মুরাদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে। পরে চাপিতলা অজিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় এবং আন্দিকোট ইউনিয়নের গাঙ্গেরকোট গ্রামের রণজিৎ সাহার বাড়িতে আরো দুটি ক্যাম্প করে। এছাড়া উপজেলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাক মিলিশিয়াদের ক্যাম্প ছিল।
মুরাদনগরে জামায়াতে ইসলামী ও মুসলিম লীগ- মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিল। এই দুই রাজনৈতিক দলের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই মুরাদনগরে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এর শাখা কমিটি গঠিত হয়। পরে রাজাকার বাহিনীও গঠন করা হয়। রাজাকারদের মধ্যে ইউসুফনগরের আবদুল জব্বার, মাজেদুল ইসলাম ভূঁইয়া, মর্তুজ আলী ভূঁইয়া এবং চাপিতলার আব্দুল হালিম ছিল শীর্ষস্থানীয়। তবে রাজাকারদের প্রকাশ্য তৎপরতা কম ছিল। গোপনে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবর পাকবাহিনীকে সরবরাহ করত।
মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে পাকসেনারা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসে কুমিল্লা-সিলেট রোডে মুরাদনগরের বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিত। ক্রমশ তারা তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান করত। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ধান না দিলে স্থানীয়দের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালাত। ইউনিয়নগুলোতে রাজাকার কমান্ডাররা দলবলসহ গিয়ে সাধারণ লোকদের বাড়িতে লুটপাট করত এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিত। তারা প্রায়ই পাকবাহিনীর জন্য গ্রামবাসীদের গরু-ছাগল ইত্যাদি নিয়ে যেত। বিশেষ করে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে তারা নির্মম অত্যাচার চালাত। ফলে বেশিরভাগ হিন্দু জীবন বাঁচাতে কপর্দকহীন অবস্থায় ভারতে চলে যায়।

পাকসেনারা গোমতী নদীর ব্রিজের ওপর মুক্তিযোদ্ধাদের দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করত এবং লাশ নদীতে ফেলে দিত। নদীপথে ছোট- ছোট লঞ্চে করে কুমিল্লা ক্যান্টনম্যান্ট থেকে এসে তারা মুরাদনগরের বিভিন্ন গ্রামে হামলা করত। এছাড়া মুরাদনগরের উত্তরাংশে অবস্থিত অদের খাল দিয়ে নৌকাযোগে পার্শ্ববর্তী কসবা থানা থেকে এসে নিরীহ গ্রামবাসীদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালাত।
পাকবাহিনী হিন্দু-মুসলমান, শিশু-বৃদ্ধ, নারী- পুরুষ নির্বিশেষে অনেককে হত্যা করে। তারা জাঙ্গাল গ্রামের অজ্ঞাতনামা এক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে। গাঙ্গেরকোট গ্রামে পাকবাহিনীর ক্যাম্পে অবস্থানকারী সেনারা আন্দিকোট ও ইসলামপুর থেকে ধরে আনা কয়েকজন নিরীহ গ্রামবাসীকে বুড়ি নদীর তীরে হত্যা করে। এ ঘটনা বুড়ি নদীতীর গণহত্যা নামে পরিচিত মুরাদনগরের একটি বিখ্যাত বাজার রামচন্দ্রপুর। ২৪শে মে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা কোম্পানীগঞ্জ ক্যাম্প থেকে এসে রামচন্দ্রপুর বাজার ও তার পূর্বপাশে উত্তর ও দক্ষিণ বাখরাবাদ গ্রামে লুটতরাজ, হত্যা ও নারীনির্যাতন করে এবং ১৪৭ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে, যা বাখরাবাদ গণহত্যা নামে পরিচিত। ফিরে যাওয়ার সময় তারা ২৩ জন যুবককে দেবীদ্বারে ধরে নিয়ে যায়। দেবীদ্বার সদরের নিউমার্কেটে তাদের দিয়ে কবর খুঁড়িয়ে ১৯ জনকে হত্যা করে কবর দেয়। ঘটনাক্রমে দুলাল সাহা নামে একজন প্রাণে বেঁচে যায়।
২০শে অক্টোবর চাপিতলা থেকে শাহজাহান, বিল্লাল হোসেন ও রাজা মিয়া নামে তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে হত্যা করে সেখানেই কবর দেয়। কৈজুরি গ্রামে পাকবাহিনী একজন গ্রামবাসীকে হত্যা করে। দরানীপাড়া গ্রামের ৮ জন যুবক ভোরে ফজরের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ-সময় পাকবাহিনী তাদের গুলি করে হত্যা করে। এ নৃশংস ঘটনা দরানীপাড়া গণহত্যা নামে পরিচিত পান্তিবাজারে মুক্তিযোদ্ধারা গ্রেনেড চার্জ করলে পাকসেনারা বাজারে তল্লাশি চালিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বন্দি করে। পরে তাঁকে ইলিয়টগঞ্জে নিয়ে হত্যা করে। ১৫ই ডিসেম্বর মুরাদনগর ডি আর হাইস্কুলের ছাত্র রফিক বিজয়োল্লাস করতে গিয়ে নবীপুরে পাকবাহিনীর অনুগত পুলিশের গুলিতে মারা যান।
পাকবাহিনী জানঘরের মুক্তিযোদ্ধা চারু মিয়ার বাড়ি এবং চাপিতলায় দুই শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া কামাল্লা বাজারের দক্ষিণে হিন্দু জমিদার বাড়ি (বড়বাড়ি), মুরাদনগর সদরের কৃষ্ণনাথের বাড়ি, কোম্পানীগঞ্জ নগরপাড়ের রায়বাড়ি, রায়তলার গনি সুবেদারের বাড়ি এবং পালাসুতার মতিন কমান্ডারের বাড়িতেও লুটপাট চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
কোম্পানীগঞ্জের গোমতী নদীর দক্ষিণ পাশে ভিংলাবাড়ি গ্রামে পাকবাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্র ছিল। এছাড়া চাপিতলা অজিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পেও মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ গ্রামবাসীকে নির্যাতন করা হতো।
উপজেলায় সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে চাপিতলা ও বাখরাবাদ গ্রামে। এ-দুটি স্থানে শহীদদের অধিকাংশকেই তাদের পারিবারিক কবরস্তানে দাফন অথবা সৎকার করা হয়। খামারগ্রামে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে। এর মধ্যে বলিঘরের আবুল বাশার ও পুঙ্কুনীরপাড়ের রমিজ উদ্দিনের কবর দুটি পাকা। এছাড়া দরানীপাড়ায় ৬ জনকে পাশাপাশি বাড়িতে দাফন করা হয়।
মুরাদনগরে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদর দুটি উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হয় পান্তিবাজার যুদ্ধ এবং চাপিতলা যুদ্ধ। ১৮ই আগস্ট সংঘটিত পান্তিবাজার যুদ্ধে একজন ক্যাপ্টেনসহ ২৯ জন পাকসেনা ও ৫ জন রাজাকার নিহত হয়। ৭ ও ৮ই নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল হাসানের নেতৃত্বে সংঘটিত চাপিতলার যুদ্ধে ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ও ৪৬ জন সাধারণ মানুষ শহীদ এবং ৫ জন সাধারণ মানুষ আহত হন। অপরপক্ষে ২ জন অফিসারসহ ৫৫ জন পাকিস্তানি সৈনিক নিহত হয়।
পাকবাহিনী ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত মুরাদনগরে ছিল। এদিন পরাজয় নিশ্চিত জেনে কুটি হয়ে কুমিল্লা-সিলেট রোড ধরে পালিয়ে যাওয়ার সময় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আক্রমণ করেন। এতে বেশ কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে মুরাদনগর উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- আব্দুল মান্নান, বীর বিক্রম (পিতা আলতাফ আলী সরকার, সিদ্ধেশ্বরী), আব্দুল মালেক, বীর বিক্রম (পিতা মো. ইছহাক, কড়াইবাড়ি), আবু তাহের, বীর প্রতীক (পিতা আশরাফ আলী ভূঁইয়া, পীর কাশিমপুর), আবু মুসলিম, বীর প্রতীক (পিতা মো. তালেব আলী সরকার, জারেরা), এ কে এম আতিকুল ইসলাম, বীর প্রতীক (পিতা এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, নোয়াগাঁও) ও মনসুর আলী, বীর প্রতীক (পিতা কেরামত আলী বেপারী, গুনর)।
মুরাদনগরের অন্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- আব্দুল মান্নান, বীর বিক্রম (অক্টোবরে কুমিল্লার হাজতখোলায় সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ), আব্দুল মালেক, বীর বিক্রম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ), মোহাম্মদ হোসেন মিঞা (পিতা মহব্বত আলী, শ্রীকাইল), সিপাহি আলাউদ্দীন (পিতা আব্দুল গফুর, শ্রীকাইল), সিপাহি মিজানুর রহমান (পিতা আলী আফজাল ভূঁইয়া, কালা পাইলা), সিপাহি মফিজুল ইসলাম (পিতা গোলাম কিবরিয়া, ভুতাইল), সিপাহি মদন মিয়া (পিতা নায়েব আলী, গাজীপুর), সিপাহি ফিরোজ মিয়া (পিতা মন্তাজ মিয়া, গাজীপুর), নায়েক সামছুল হক (পিতা মৌলভী আয়েজ উদ্দিন, গাজীপুর), সিপাহি আব্দুল মান্নান (পিতা ইউনুছ আলী, পীর কাশিমপুর), সিপাহি আব্দুল কাহার (পিতা আবদুল কাদের, গাজীপুর), ল্যান্স নায়েক আব্দুল হান্নান (পিতা জিন্নাত আলী মুন্সী, গাজীপুর), নায়েক আব্দুল মালেক (পিতা ইসহাক আলী, কড়ইবাড়ি), নায়েক আব্দুর রহমান (পিতা গোলজার আলী, কাশিমপুর), নায়েক সামছুল হক (পিতা হায়দার আলী, রাজাবাড়ি), আবু মুসলিম (পিতা তালেব আলী, জারেরা), সুলতান আহম্মদ (পিতা কলুমুদ্দীন, আন্দিকোট), আব্দুল মান্নান (পিতা সুন্দর আলী, জলপা), নায়েক মাহতাব উদ্দীন (পিতা মুন্সী সামছুদ্দীন, গাঙ্গেরকোট), সিপাহি ইদ্রিস (পিতা আকবর আলী, গাঙ্গেরকোট), সুলতান আহম্মদ (পিতা রমিজ উদ্দীন, গাঙ্গেরকোট), সিপাহি সৈয়দ ফুল মিয়া (পিতা চারু মিয়া, জানঘর), আব্দুর রহিম (কুরবানপুর), ফজলুল হক (পিতা আব্দুল মান্নাফ, কাগাতুয়া), সিপাহি আব্দুল মালেক (পিতা মো. আবু আহাদ, দুর্গাপুর দিঘিরপাড়), সিপাহি আবদুর রহিম (পিতা মুন্সী নওয়াব আলী, কাগাতুয়া), শাহজাহান (পিতা ছায়েদ আলী, রাজা চাপিতলা), বিল্লাল হোসেন (পিতা রওশন আলী, রাজা চাপিতলা), রাজা মিয়া (পিতা আজগত, রাজা চাপিতলা), আব্দুল ওদুদ (পিতা জিন্নত আলী ব্যাপারী, কামারচর), হাবিলদার আবু তাহের (পিতা নায়েব আলী, কামাল্লা), ল্যান্স নায়েক আব্দুল জলিল (পিতা আয়েন উদ্দীন ব্যাপারী, হারপাকনা), নায়েক কাজী ফরহাদ হোসেন (পিতা ওয়াজেদ আলী, ব্রাহ্মণ চাপিতলা), রফিকুল ইসলাম (নবীপুর), শাহজালাল (পিতা এলাহী বক্স, মুরাদনগর), ফজলুল কবির (পিতা জব্বার খান, পশ্চিম সোনাউল্লাহ), সুবেদার মোল্লা মতিউর রহমান (পিতা সামির উদ্দন, ইউসুফনগর), মাহবুব শাহ জামাল (পিতা ড. বকশত আলী, মুরাদনগর), রফিকুল ইসলাম (নবীপুর পশ্চিম), নায়েব আলী (পিতা আক্রম আলী, বাখরাবাদ), সিপাহি মো. আব্দুছ সামাদ (পিতা হাফিজ উদ্দীন ব্যাপারী, শিবানীপুর), আব্দুল মান্নান (পিতা আলতাব আলী, সিদ্ধেশ্বরী), মমতাজ উদ্দীন (পিতা আফছারউদ্দীন সরকার, ধামঘর), সিপাহি তমিজ উদ্দীন (পিতা আজগর আলী, নোয়াখলা), মিন্নত আলী (পিতা আলতব আলী, সিদ্ধেশ্বরী), রফিকুল ইসলাম (পিতা সুরুজ মিয়া সরকার), সিপাহি আব্দুস সোবাহান (পিতা আফসার উদ্দীন মুন্সী, কাজিয়াতল), আয়েব আলী শিকদার (পিতা ইদ্রিস মিয়া শিকদার, পাহাড়পুর), কুদ্দুস সরকার (পিতা গোলাম হোসেন, উড়িশ্বর) এবং শাহজাহান আলী (বৈলাবাড়ি)।
চাপিতলার যুদ্ধে শহীদ দুজন মুক্তিযোদ্ধার নামে দুটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে শহীদ জলিল সরকার রোড (চাপিতলা-মহেশপুর বাজার) এবং শহীদ রমিজ উদ্দিন সড়ক (পুস্কুনীরপাড়-টনকী)। [মমিনুল ইসলাম মোল্লা]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!