You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুরারিকাঠি পালপাড়া গণহত্যা (কলারোয়া, সাতক্ষীরা)

মুরারিকাঠি পালপাড়া গণহত্যা (কলারোয়া, সাতক্ষীরা) সংঘটিত হয় ৩০শে এপ্রিল। ৬-৭ জন পাকসেনা ও ইদ্রিসসহ কয়েকজন রাজাকার এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এতে ৯ জন সাধারণ মানুষ শহীদ ও ৩ জন আহত হন।
ঘটনার দিন সকাল থেকে পালপাড়ার হিন্দুরা ভারতে চলে যাওয়ার জন্য ত্রৈলোক্য পালের বাড়ির উঠানে একত্রিত হতে থাকে। আনুমানিক বেলা ১২টার দিকে ইদ্রিস রাজাকার (স্বাধীনতার পরপর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত) পাকসেনাদের নিয়ে এসে আক্রমণ চালায়। তারা কলারোয়া গরুহাট সংলগ্ন ব্রিজ পার হয়ে পালপাড়ায় প্রবেশ করে। তারা প্রথমে রঞ্জন পাল নামে একজনকে গুলি করে। তিনি তখন বেঁচে যান, কিন্তু একদিন পর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর হানাদাররা ত্রৈলোক্য পালের বাড়িতে যায় এবং উপস্থিত সকলকে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে ৮ জন শহীদ হন এবং ৩ জন আহত অবস্থায় বেঁচে যান।
মুরারিকাঠি পালপাড়া গণহত্যায় শহীদরা হলেন— রঞ্জন পাল (পিতা উপেন্দ্রনাথ পাল), বৈদ্যনাথ পাল (পিতা যজ্ঞেশ্বর পাল), বিমল চন্দ্র পাল (পিতা উপেন্দ্রনাথ পাল), নিতাই চন্দ্ৰ পাল (পিতা বিপিন বিহারী পাল), গোপাল চন্দ্ৰ পাল (পিতা দ্বিজবর পাল), সতীশ চন্দ্র পাল (পিতা যুধিষ্ঠির পাল), রাম চন্দ্র পাল (পিতা সতীশ চন্দ্র পাল), অনিল চন্দ্র পাল (পিতা মান্দার পাল) ও রামপদ পাল (পিতা কালাচাঁদ পাল)। আহতরা হলেন— শিবু পাল (পিতা মান্দার পাল), সতীশ চন্দ্র পাল ওরফে কুশি পাল (পিতা বিপিন চন্দ্র পাল) ও ত্রৈলোক্য পাল (পিতা বিষ্ণুপদ পাল)। শহীদদের স্মরণে একটি নামফলক নির্মাণ করা হয়েছে। [মাসুদুর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!