মুজাফ্ফরাবাদ গণহত্যা (পটিয়া, চট্টগ্রাম)
মুজাফ্ফরাবাদ গণহত্যা (পটিয়া, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ৩রা মে সোমবার। চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত পটিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে প্রধান সড়ক (আরাকান রোড)-এর পাশে অবস্থিত মুজাফ্ফরাবাদ গ্রামের এ গণহত্যায় ৩৫০ জন নিরপরাধ লোক প্রাণ হারায়। পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা এ ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত করে। সেদিন ভোর ৫টার দিকে দোসরদের সঙ্গে নিয়ে একদল পাকসেনা পটিয়ার দিক থেকে এসে তমালতল আশ্রম (বর্তমান নিগমানন্দ আশ্রম)-এর সামনে এবং আরেক দল দোহাজারীর দিক থেকে বর্তমান ওমর সুলতান ফ্যাশন লিমিটেড-এ যাওয়ার রাস্তার মুখে (বিজিসি একাডেমিসংলগ্ন) এসে অবস্থান নেয়। উভয় দল থেকে কয়েকজন সৈন্য ও তাদের দোসর মুজাফ্ফরাবাদ এন জে উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। তমালতল আশ্রমে দাঁড়ানো দল আশ্রমের উত্তর পাশের রাস্তা দিয়ে উত্তর পাড়ায়, ওমর সুলতান ফ্যাশন লিমিটেড-এ যাওয়ার রাস্তার মুখে দাঁড়ানো দল ঐ রাস্তা ধরে বারৈপাড়ায় এবং মুজাফ্ফরাবাদ বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়ানো দল ঐ রাস্তা ধরে যতীন্দ্র নন্দীর বাড়িতে ঢোকে। তারা পূর্বপাড়া, দক্ষিণ পাড়া, দীনবন্ধু চৌধুরীর বাড়ি, সারদা নন্দীর বাড়ি, গোপাল চৌধুরীর বাড়ি, দত্তপাড়া, ক্ষেত্র বসুর বাড়ি, নতুন ঘোষের বাড়ি, গয়ানন্দ সেনের বাড়ি, যতীন্দ্র চৌধুরীর বাড়ি, বনমালী দাসের বাড়ি, প্যারীমোহন দাসের বাড়ি, নগেন্দ্র মহাজনের বাড়ি, পরশুরামের বাড়ি, পরী বৈদ্যের বাড়ি, পুলিন করের বাড়ি, আচার্যপাড়া, বারৈপাড়া, বাইন্যাপাড়া, রসহরির বাড়ি, বীনা চৌধুরীর বাড়ি, সভানন্দ ঘোষের বাড়ি, শঙ্খ সেনের বাড়ি, বিধান রায়চৌধুরীর বাড়ি, নারায়ণ ঘোষের বাড়ি, রুহিনি বিশ্বাসের বাড়ি, রায়মোহন বিশ্বাসের বাড়ি, উত্তরপাড়া, বাদল সেনের বাড়ি, ক্ষেত্রমোহন ঘোষের বাড়ি, যতীন্দ্র নন্দীর বাড়ি, সারদা মজুমদারের বাড়ি, পটিয়ার বাড়ি, শুভরাম চৌধুরীর বাড়ি, শ্যামাচরণ মহাজনের বাড়ি, হাজারির বাড়ি, ঈষাণ বৈদ্যের বাড়ি, ফেলারাম মহাজনের বাড়িসহ প্রায় সাড়ে সাতশত বাড়িঘরে ভয়াবহ আক্রমণ চালায়। চট্টগ্রামের ধাউরডেঙ্গা, ছনহারা, মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, মোহরা, গোমদণ্ডি, কানুনগোপাড়া, শ্রীপুর, লাউয়ের খীল, কেলিশহর, কুমিরা, সাতকানিয়া প্রভৃতি জায়গা থেকে প্রায় দেড় হাজার লোকজন এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়ে ৩৫০ জন লোককে হত্যা করে। এ সময় বহু নারীকে ধর্ষণ করা হয় এবং অনেক ঘরবাড়ি গানপাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ব্যাপক লুট-পাটও চলে। বিকেল পাঁচটার পর পাকিস্তানি বাহিনী দোহাজারী ক্যাম্পের দিকে চলে যায়। পরদিন মঙ্গলবার ঘটনাস্থল থেকে ৬০টি লাশ উদ্ধার করে বাদল সেনের বাড়িসংলগ্ন রামঠাকুর আশ্রমের পূর্বপাশে সমাহিত করা হয়। বর্তমান ১৭নং খরন্দ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডভুক্ত জায়গাটি মুজাফ্ফরাবাদ বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত। যুদ্ধপরবর্তী এখানে একটি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়েছে।
পাকবাহিনীর এ ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনায় স্থানীয় যেসব পাকদোসর সরাসরি সহযোগিতা করে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলো- পটিয়া উপজেলা: এডভোকেট রমিজ আহমদ চৌধুরী (খরন্দ), মধুমিয়া (আজিমপুর), মো. আসলাম (খরণা), আলী আহমদ পণ্ডিত (রশিদাবাদ), মো. ইসহাক (খরণা), আবুল হাসেম (খরন্দ), নুরুল আলম (খরণা), রহিম বকসু (কচুয়াই), এডভোকেট আহমদ হোসেন (আজিমপুর), ইসলাম (আজিমপুর), নুরুল হক (আজিমপুর), জমির উদ্দিন (আজিমপুর), মো. আলী (মুজাফফ্রাবাদ), ফকির আহমেদ (আজিমপুর), আবুল কাশেম (কাশিয়াইশ), আহমেদ হোসাইন (মহিরা), আবদুল মালেক (কচুয়াই), নুরুল আলম (কচুয়াই), আবদুল মোনাফ (হিলুচিয়া), আবদুর আহমদ (হিলুচিয়া), আলী নবী (হিলুচিয়া) প্রমুখ; চন্দনাইশ উপজেলা: খায়ের আহমদ চৌধুরী (চৌধুরী পাড়া), মোখতার আহমদ চৌধুরী (হাতফলদার বাড়ি), হাজি নুরুল ইসলাম (হাজিপাড়া), আমিন শরীফ (পূর্ব দোহাজারী), হেফাজতুর রাহমান চৌধুরী (সাতবাড়িয়া), আব্বাস আলী (সাতবাড়িয়া), নুরুল ইসলাম ওরফে সাউধ্যা (পূর্ব এলাহাবাদ), সাব্বির আহমদ (এলাহাবাদ), নুর বকসু (এলাহাবাদ), আমির হোসেন (মুরাদাবাদ), সুলতান আহমদ (মুরাদাবাদ), আবদুল মাবুদ (মুরাদাবাদ) প্রমুখ।
মুজাফ্ফরাবাদ গণহত্যায় পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের নৃশংসতার আংশিক বিবরণ— ৩রা মে খুব ভোরে সারদা মজুমদারের বাড়ির ক্ষেত্র মজুমদার পশ্চিম মুজাফ্ফরাবাদের হাজারি বাড়ি (বর্তমান ঘোষ বাড়ি)-তে তার অসুস্থ বোন মণি বালা ঘোষকে দেখতে যাওয়ার পর শোনেন যে, মুজাফ্ফরাবাদে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে। এ খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ছুটে আসেন। পাকবাহিনী তখন পূর্ব মুজাফ্ফরাবাদে দুর্গাবাড়িতে অবস্থান করছিল। ক্ষেত্র মজুমদার ঘরে এসে দেখেন তার পুত্র সাগর মজুমদার ঘরে নেই। তিনি তখন পুত্রকে খুঁজতে বের হন। ততক্ষণে পাকবাহিনী সারদা মজুমদারের বাড়িতে চলে আসে। সঙ্গে-সঙ্গে তিনি পার্শ্ববর্তী ঈষাণ বৈদ্যের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম কোণে বুড়িপুকুর নামক একটি ভরাট পুকুরের ধানক্ষেতে লুকিয়ে পড়েন। সেখানে আরো ৬-৭ জন লুকিয়ে ছিল। এক পর্যায়ে পাকবাহিনীর আনাগোনা কম মনে হওয়ায় ক্ষেত্র মজুমদার উঠে আসতে লাগলে পাকসেনা ও তাদের দোসররা তাকে ধরে ফেলে। তারা তাকে প্রচণ্ড মারধর করে এবং তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বুড়িপুকুর থেকে রায়মোহন চৌধুরী (পিতা নবীনচন্দ্ৰ চৌধুরী) নামে আরেকজনকে ধরে ফেলে। অতঃপর দুজনকে শ্যামাচরণ মহাজনের দোতলা বাড়ির দরজায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এরপর তারা বাড়িটিতে গানপাউডার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলে বাড়ির সঙ্গে ক্ষেত্র মজুমদার ও রায়মোহন চৌধুরীর লাশও ভস্মীভূত হয়ে যায়। এ বাড়ির উত্তর দিকে একটি খালের দুপাড়ে জঙ্গলে ৩০ জনের মতো লোক লুকিয়ে ছিল। পাকসেনা ও তাদের দোসররা সেখানে গিয়ে ব্রাশ ফায়ারে তাদের হত্যা করে। এরপর ৭-৮ জন পাকসেনার আরেকটি দল শ্যামাচরণ মহাজনের বাড়ির উঠানে আসে। এ বাড়ির পূর্বপাশে একটি ভরাট পুকুরের ধানক্ষেতে লুকিয়ে ছিল উপেন্দ্রলাল সেন ও তার পুত্র নির্মল সেন। পাকসেনারা বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে শূন্যে ফায়ার করলে উপেন্দ্রলাল মাথা তুলে দেখার চেষ্টা করেন। সৈন্যরা দেখে ফেলে তাদের ধরে আনে এবং বাড়ির উত্তর দিকে আধাইর বিলে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করে। এ-সময় এখান দিয়ে যোগেন্দ্রলাল চৌধুরী (পিতা গিরীশচন্দ্র চৌধুরী) নামে এক ব্যক্তি নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে যাচ্ছিল। তাকে ধরে হাঁ করিয়ে মুখের মধ্যে গুলি করে তাকে হত্যা করে। এসব বিবরণ থেকে বোঝা যায় পাকবাহিনীর হত্যা-নির্যাতন কতটা ভয়ঙ্কর ছিল।
মুজাফ্ফরাবাদ গণহত্যায় দুধের শিশু এবং নারীরাও রক্ষা পায়নি। পাকসেনাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য এক মহিলা দুধের শিশুকে বুকে জড়িয়ে টয়লেটে ঢুকে পড়েন। কিন্তু সেখানেও বাঁচতে পারেননি। পাকিস্তানি সেনার গুলি তার পিঠ দিয়ে ঢুকে শিশুর পিঠ ভেদ করে বেরিয়ে যায়।
মুজাফ্ফরাবাদ গণহত্যায় শহীদদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা হলেন- যোগেন্দ্রলাল চৌধুরী (পিতা গিরীশচন্দ্র চৌধুরী), নির্মল সেন (পিতা উপেন্দ্রলাল সেন), ক্ষেত্র মজুমদার (পিতা হরকুমার মজুমদার), রায়মোহন চৌধুরী (পিতা নবীনচন্দ্র চৌধুরী), দীপক সেন (পিতা সুরেন্দ্র সেন), সুরেন্দ্র সেন (পিতা শিবচরণ সেন), ক্ষেত্রমোহন ঘোষ (পিতা নব ঘোষ), হরিনারায়ণ চৌধুরী (পিতা নগেন্দ্রলাল চৌধুরী), অবলা বালা চৌধুরী (স্বামী নতুন চন্দ্র চৌধুরী), হরেন্দ্র সেন (পিতা প্রসন্ন সেন), নতুন চন্দ্র রায় (পিতা প্রাণহরি রায়), রজনী কুমার দত্ত (পিতা বিনোদ বিহারী দত্ত), দশরথ সেন (পিতা কামিনী সেন), প্রাণহরি দত্ত (পিতা মণীন্দ্রলাল দত্ত), রজনী কুমার দত্ত (পিতা প্রাণহরি দত্ত), হরিকৃষ্ণ দত্ত (পিতা সুরেন্দ্রলাল দত্ত), সূর্যমোহন দত্ত (পিতা নতুন কুমার দত্ত), শৈলবালা কর (স্বামী মনমোহন কর), মোহিনী সেন (স্বামী অরবিন্দ সেন), হিরেন্দ্রলাল সেন (পিতা যোগেন্দ্রলাল সেন), যশোদাবালা দত্ত (স্বামী বঙ্কিম চন্দ্ৰ দত্ত), নিয়তিলাল কর (স্বামী অজয় কুমার কর), মণীন্দ্রলাল দত্ত (পিতা হরিমোহন দত্ত), মনমোহন দাশ (পিতা ভগবান চন্দ্ৰ দাশ), উপেন্দ্রলাল কর (পিতা কামিনী কর), হরিমোহন কর (পিতা দীপক কর), কুসুমবালা কর (স্বামী মহেন্দ্রলাল কর), মল্লিকা দে (স্বামী রঞ্জন দে), হরিরাম মজুমদার (পিতা বীরেন্দ্র লাল মজুমদার), মনমোহন বৈদ্য (পিতা যোগেন্দ্রলাল বৈদ্য), নিরোদা বালা কর (স্বামী কামিনী কর), মনিবালা ঘোষ (স্বামী ক্ষেত্রমোহন ঘোষ), কুতুবালা চৌধুরী (স্বামী ক্ষেত্রমোহন চৌধুরী), নতুন চৌধুরী (পিতা মিলন চৌধুরী), সুব্রত চৌধুরী (পিতা বীরেন্দ্র চৌধুরী), অর্জুন চৌধুরী (পিতা গগন চৌধুরী), হরিমোহন ঘোষ (পিতা রেবতী ঘোষ), সতীশ সেন (পিতা সুধীর সেন), স্বরস্বতী সেন (স্বামী মণীন্দ্র সেন), কৃষ্ণ চৌধুরী (স্বামী দীপক চৌধুরী), রামমোহন সেন (পিতা মিলন সেন), সুধাংশু দত্ত (পিতা অরবিন্দ দত্ত), সুরেন্দ্র বিজয় পাল (পিতা বীরেন্দ্র পাল), সুরেন্দ্র পান্থ (পিতা মিলন পান্থ), যুধিষ্ঠির ঘোষ (পিতা রেবতী ঘোষ), সতীশ কর (পিতা অরবিন্দ কর), অর্জুন দে (পিতা যাত্রামোহন দে), অশ্বিনী কুমার দত্ত (পিতা নিকুঞ্জ বিহারী দত্ত), রজনী চৌধুরী (পিতা দুখীরাম চৌধুরী), অরণ্য চৌধুরী (পিতা হরেকৃষ্ণ চৌধুরী), নারায়ণ বিশ্বাস (পিতা কামিনী বিশ্বাস), ধীরেন্দ্রলাল খাস্তগীর (পিতা বসন্তলাল খাস্তগীর), মনমোহন চৌধুরী (পিতা নবীন চৌধুরী), জগবন্ধু ঘোষ (পিতা বেচারাম ঘোষ), বনমালী দাশ, কালী কুমার দত্ত, কামিনী দত্ত, সুনীল চৌধুরী, দুলাল চৌধুরী, ষষ্ঠীচরণ দাশ (পিতা নিকুঞ্জ বিহারী দাশ), অন্নদা চৌধুরী (স্বামী কামিনী চৌধুরী), সন্তা চৌধুরী (স্বামী নারায়ণ চৌধুরী), শোভা রায় (স্বামী নেত্রমোহন রায়), গীতা রায় (স্বামী উমেশ রায়), কামিনী পাল (পিতা উত্তম পাল), রজনী পাল (পিতা উত্তম পাল), নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস (পিতা নগেন্দ্র বিশ্বাস), নতুন চন্দ্ৰ ঘোষ (পিতা বনমালি ঘোষ), নিরঞ্জন চৌধুরী (পিতা গোবিন্দ চৌধুরী), রামচরণ ঘোষ (পিতা সুরেন্দ্রলাল ঘোষ), শোভারানী পাল (স্বামী সুরেন্দ্রলাল পাল), কালী কুমার দাশ (পিতা রেবতী দাশ), অনিলচন্দ্র দাশ (পিতা অখিলচন্দ্র দাশ), অশ্বিনী সেন (পিতা সুরেন্দ্র সেন), যাত্রামোহন দত্ত (পিতা উমেশচন্দ্র দত্ত), নতুন চন্দ্র পাল (পিতা রায়মোহন পাল), হরিমোহন দত্ত (পিতা ক্ষেত্রমোহন দত্ত), সোনা রায় (পিতা কামিনি রায়), শারদা ঘোষ (পিতা দুলাল ঘোষ), নতুন ঘোষ (পিতা প্রাণহরি ঘোষ), বনমালী রায় (পিতা রাজমোহন রায়), সুকুমার রায় (পিতা যতীন্দ্রমোহন রায়), প্রাণহরি সেন (পিতা বীরেন্দ্র সেন), মানিক সেন (পিতা মহেন্দ্র সেন), শারদা সেন (পিতা রামকুমার সেন), রুনী সেন (পিতা কামিনী সেন), দুলাল মুজমদার (পিতা শশী মজুমদার), চন্দ্রমোহন ঘোষ (পিতা নগেন ঘোষ), মালতী রাণী ঘোষ (স্বামী সুখেন্দু বিকাশ ঘোষ), নিবারণ ঘোষ (পিতা রজনীকান্ত ঘোষ), অরবিন্দ ঘোষ (পিতা মনমোহন ঘোষ), গীতা রাণী দত্ত (পিতা পাঁচকড়ি দত্ত), সারদা চরণ দে (পিতা অখিল চন্দ্র দে), মালতী রাণী দত্ত (পিতা রমেশচন্দ্র দত্ত), নিরোদা বালা রায় (পিতা প্রাণকৃষ্ণ রায়), নমিতা রাণী দত্ত (স্বামী সুবল চন্দ্ৰ দত্ত), নিখিল চন্দ্ৰ দত্ত (পিতা স্বরূপা চরণ দত্ত), দুলাল চন্দ্ৰ ঘোষ (পিতা নিরঞ্জন চন্দ্র ঘোষ), যাত্রামোহন ঘোষ (পিতা অনিল চন্দ্ৰ ঘোষ), গীতা সাধু, হারিনা রাণী চৌধুরী (স্বামী কামিনী কুমার চৌধুরী), ঝুনু দে (স্বামী নতুনচন্দ্র দে), বামা সুন্দরী রায় (স্বামী উত্তম কুমার রায়), রজনী ঘোষ (পিতা নারায়ণচন্দ্র ঘোষ), অনিল চৌধুরী, হারাধন বৈদ্য (পিতা মণীন্দ্র বৈদ্য), মিনতী সেন, নিকুঞ্জ দাশ (পিতা অন্নদাচরণ দাশ), মণীন্দ্র বৈদ্য, বিশ্বেশ্বর বিশ্বাস (পিতা জ্যোতিষ বিশ্বাস), কামিনী ঘোষ (পিতা গোবিন্দ ঘোষ), অর্জুন দে (পিতা যাত্রামোহন দে), অনুচরণ বৈদ্য (পিতা রামকৃষ্ণ বৈদ্য), অর্জুন দত্ত (পিতা প্রসন্ন দত্ত), কামিনী ঘোষ, সুরেন্দ্র মজুমদার (পিতা রসিক চন্দ্র মজুমদার), কালিকুমার মজুমদার (পিতা রসিক চন্দ্র মজুমদার), অনিল চৌধুরী (পিতা শরৎচন্দ্র চৌধুরী), শোভারাণী চৌধুরী (স্বামী হরেকৃষ্ণ চৌধুরী), ক্ষেমেশ চৌধুরী (পিতা অরণ্য চৌধুরী), ক্ষেত্র মজুমদার (পিতা নির্মল মজুমদার), উমেশ সেন (পিতা বনমালী সেন), নির্মল সেন (পিতা নারায়ণ সেন), অশ্বিনী দাশ (পিতা অনুচরণ দাশ), নিকুঞ্জ দাশ (পিতা অনুচরণ দাশ), অনিল চক্রবর্তী (পিতা উমেশচন্দ্র চক্রবর্তী), রায়মোহন চৌধুরী (পিতা যাত্ৰামোহন চৌধুরী), নতুন চৌধুরী (পিতা সুরেন্দ্র চৌধুরী), হরিমোহন দাশ (পিতা ক্ষেমেশচন্দ্র দাশ), বনমালী চৌধুরী (পিতা বামাচরণ চৌধুরী), অর্জুন দত্ত (পিতা অধীরচন্দ্র দত্ত), ধীরেন্দ্রলাল দত্ত (পিতা অশ্বিনী কুমার দত্ত), প্রতাপচন্দ্র সেন (পিতা বিপিনচন্দ্র সেন), অহিভূষণ সেন (পিতা বিপিনচন্দ্ৰ সেন), শংকর কুমার সেন (পিতা প্রাণহরি সেন), ললিত বিশ্বাস (পিতা শিবু প্রসাদ বিশ্বাস), মনমোহন গুপ্ত (পিতা ললিত কুমার গুপ্ত), ভুবন চৌধুরী (পিতা রাখাল চৌধুরী), মণীন্দ্রলাল নন্দী (পিতা পরেশচন্দ্র নন্দী), শিব প্রসাদ সেন (পিতা রেবতী সেন), সুরেন্দ্র বিজয় চৌধুরী (পিতা কামিনী চৌধুরী), সোনা নন্দী (পিতা রেবতী নন্দী), অধীর নন্দী (পিতা তারাপদ নন্দী), তরণী ঘোষ (পিতা যতীন্দ্র ঘোষ), নিকুঞ্জ দে (পিতা অরবিন্দ দে), যোগেন্দ্র ঘোষরায় (পিতা ভুবনচন্দ্র ঘোষরায়), কামিনী সিংহ (পিতা অশ্বিনী সিংহ), মণীন্দ্রলাল ঘোষরায় (পিতা দশরথ ঘোষরায়), ক্ষেত্রমোহন নন্দী (পিতা রমেশচন্দ্র নন্দী), গগণচন্দ্র নন্দী (পিতা যোগেশ চন্দ্র নন্দী), নতুনচন্দ্র নন্দী (পিতা যাত্রামোহন নন্দী), অশ্বিনী ঘোষ (পিতা চন্দ্ৰমোহন ঘোষ), ক্ষেত্রমোহন রায় (পিতা হরিপদ রায়), কুসুমবালা দাশ (স্বামী শরৎবালা দাশ), সুরুশী বালা চৌধুরী (স্বামী মহেন্দ্র চৌধুরী), সূর্য চৌধুরী (পিতা নিবারণ চৌধুরী), বীরেন্দ্র মজুমদার (পিতা উমাচরণ মজুমদার), রবীন্দ্র বসু (পিতা অনিল বসু), অনিল বরণ চৌধুরী (পিতা মণীন্দ্রলাল চৌধুরী), শিবু প্রসাদ মজুমদার (পিতা সারদাচরণ মজুমদার), প্রতাপ সেন, বিপিন সেন (পিতা প্রাণকৃষ্ণ সেন), নির্মল সেন (পিতা নেত্র সেন), অনিল চক্রবর্তী (সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম), বামাচরণ ঘোষ (পিতা কামিনীচরণ ঘোষ), সুরেন্দ্রলাল ঘোষ (পিতা মহেন্দ্রলাল ঘোষ), মনমোহন সেন (পিতা শ্যামাচরণ সেন), উপেন্দ্রলাল পাল (পিতা দেবেন্দ্রচরণ পাল), হরিশচন্দ্র পাল (পিতা দেবেন্দ্র পাল), হিরাবালা রায় (স্বামী কালিচরণ রায়), অঞ্জলি ঘোষ (স্বামী সত্যরঞ্জন ঘোষ), সুরশী বালা ঘোষ (স্বামী উপেন্দ্রলাল ঘোষ), কুসুমবালা রায় (স্বামী হরিপদ রায়), নাথ (পিতা যোগেশ চন্দ্ৰ নাথ), সুজিত নাথ (পিতা উপেন্দ্রলাল নাথ), রেবতী ঘোষ (পিতা রসিক চন্দ্র ঘোষ), সুরেন্দ্র বিজয় ঘোষ (পিতা সুখেন্দ্র বিকাশ ঘোষ), সুবলচন্দ্র ধর (পিতা বিনোদ ধর), নিরঞ্জন ঘোষ (পিতা রমেশ চন্দ্র ঘোষ), রবীন্দ্র লাল ঘোষ (পিতা নিকুঞ্জ বিহারী ঘোষ), শান্তিবালা ঘোষ (স্বামী দুলাল চন্দ্র ঘোষ), রায়মোহন দাশ (পিতা নবীন চন্দ্র দাশ), হরিমোহন সেন (পিতা বীরেন্দ্র সেন), সুরেন্দ্র চৌধুরী রায় (পিতা মোহন চৌধুরী রায়), বিপিন সেন (পিতা যোগেশ চন্দ্ৰ সেন), কামিনী নাথ (পিতা ক্ষেত্রমোহন নাথ), বীরেন্দ্র চৌধুরী (পিতা মনমোহন চৌধুরী), মহেন্দ্র চৌধুরী (পিতা মনমোহন চৌধুরী), দেবেন্দ্র দাশ (পিতা রেবতী দাশ), মহেন্দ্ৰ দাশ (পিতা রেবতী দাশ), সূর্য চৌধুরী (পিতা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী), মহেন্দ্ৰ নাথ (পিতা সূর্যকুমার নাথ), কামিনী চৌধুরী (পিতা মহেন্দ্রলাল চৌধুরী), হরিকৃষ্ণ সেন (পিতা নির্মল সেন), নির্মল চৌধুরী (পিতা বঙ্কিম চন্দ্র চৌধুরী), গীতারাণী সেন (পিতা পাঁচকড়ি সেন), বিনোদিনী সেন (স্বামী সুরেন্দ্র বিকাশ সেন), শৈলবালা ঘোষ (স্বামী রেবতীরঞ্জন ঘোষ), নিরঞ্জন ঘোষ (পিতা উকিল চন্দ্র ঘোষ), রবীন্দ্রলাল ঘোষ (পিতা উকিল চন্দ্ৰ ঘোষ), মালতী রাণী রায় (স্বামী অপর্ণাচরণ রায়), নারায়ণ চন্দ্র রায় (পিতা শ্যামাচরণ রায়), প্রফুল্ল রঞ্জন রায় (পিতা শ্যামাচরণ রায়), মহামায়া সেন (পিতা শশীভূষণ সেন), উপেন্দ্রলাল চৌধুরী, নূতন চন্দ্র চৌধুরী, মণীন্দ্র ঘোষ (পিতা যোগেন্দ্র ঘোষ), তরণী ঘোষ (পিতা যোগেন্দ্র ঘোষ), সাধন চৌধুরী (পিতা শরৎ চৌধুরী), রসিক চন্দ্র সেন (পিতা মৃত্যুঞ্জয় সেন), রমেশচন্দ্র সেন (পিতা প্রাণকৃষ্ণ সেন), সুখেন্দু বিকাশ সেন (পিতা রজনীকান্ত সেন), নিরোদা বালা সেন (স্বামী সুরেন্দ্র বিজয় সেন), সারদাচন্দ্র সেন (পিতা শ্যামাচরণ সেন), ডা. উমেশচন্দ্র সেন (পিতা অখিলচন্দ্র সেন), নিকুঞ্জ বিহারী ধর (পিতা সুবলচন্দ্র ধর), নিবারণ চন্দ্র ধর (পিতা সুবলচন্দ্র ধর), সুরসী বালা সেন (স্বামী অন্নদাচরণ সেন), রঞ্জিত সেন (পিতা রমেশচন্দ্র সেন), বিরজা বালা সেন (স্বামী শ্যামাচরণ সেন), সাবিত্রী বালা বিশ্বাস (স্বামী রমেশচন্দ্র বিশ্বাস), যাত্রামোহন চৌধুরী (পিতা গগণ চন্দ্র চৌধুরী), মিলন সেন (পিতা হরিমোহন সেন), রুনী দত্ত (স্বামী সৌরেন্দ্র দত্ত), অর্জুন দে, যামিনী রঞ্জন দে (পিতা দুখিরাম দে), বনমালী দাশ, অরণ্যবালা চৌধুরী (স্বামী হরেকৃষ্ণ চৌধুরী), স্বর্ণবালা চৌধুরী (স্বামী রসরাজ চৌধুরী), সোনা মজুমদার (পিতা মহেন্দ্র মজুমদার), রজনী চৌধুরী (পিতা অনুদারচণ চৌধুরী), নিকুঞ্জ কুমার দাশ (পিতা সুনীল কুমার দাশ), অশ্বিনী কুমার দাশ (পিতা সৌরেন্দ্র দাশ), বীরেন্দ্র সেন (পিতা মণীন্দ্র সেন), নগেন্দ্র সেন (পিতা সুব্রত সেন), কালিতারা দাশ (স্বামী উত্তম দাশ), শ্যামাচরণ দাশ (পিতা মহেন্দ্র কুমার দাশ), মল্লিকা মজুমদার (স্বামী ক্ষেমেশ চন্দ্র মজুমদার), যোগেশ চৌধুরী (পিতা বঙ্কিম চন্দ্র চৌধুরী), অক্ষয়কুমার ঘোষ, চাঁদবালা মজুমদার (স্বামী নির্মল মজুমদার), নিয়তিবালা সেন (স্বামী অনুচরণ সেন), যশোদা বালা কর (স্বামী নির্মল কর), হারাধন দাশ (পিতা বিপিন চন্দ্র দাশ), ভগবান চন্দ্র কর (পিত মণীন্দ্রলাল কর), মনমোহন চৌধুরী (পিতা সৌরেন্দ্র চৌধুরী), নিরঞ্জন বৈদ্য (পিতা সূর্য বৈদ্য), নগেন্দ্র চৌধুরী (পিতা হিরেন্দ্র চৌধুরী), দশরথ সেন (পিতা দেবেন্দ্র সেন), বীরেন্দ্র মজুমদার (পিতা ভগবান মজুমদার), মনমোহন মজুমদার (পিতা দশরথ মজুমদার), মহেন্দ্র মজুমদার (পিতা ক্ষেত্রমোহন মজুমদার), মণীন্দ্র লাল বৈদ্য (পিতা কামিনী বৈদ্য), কুসুম বালা সেন (স্বামী কালিতারা সেন), শৈলবালা চৌধুরী (স্বামী শ্যামাচরণ চৌধুরী), অবলা বালা মজুমদার (স্বামী মহেন্দ্র মজুমদার), অনুচরণ বৈদ্য (পিতা বিপিন চন্দ্র বৈদ্য), কালী বালা কর (স্বামী তারা কর), কালী মোহন ঘোষ (পিতা নগেন্দ্ৰ ঘোষ), বঙ্কিম সেন (পিতা দেবেন্দ্র সেন), সোনা দাশ (পিতা অরবিন্দ দাশ), আজলা ঘোষ (স্বামী বাদল ঘোষ), নতুন ঘোষ (পিতা মিলন ঘোষ), সরুবালা সেন (স্বামী রঞ্জিত সেন), রঞ্জিত সেন, দুলাল সেন (পিতা বাবুল সেন), সরুবালা সেন (স্বামী হরিমোহন সেন), বিমলা চৌধুরী (স্বামী শুভরাম চৌধুরী), সারদা সেন (পিতা দয়াল হরি সেন), সুমতি বল (স্বামী মোহন বল), নিরঞ্জন বিশ্বাস (পিতা দশরথ বিশ্বাস), ধীরেন্দ্র দত্ত (পিতা অশ্বিনী দত্ত), ফুলুরানি সেন (স্বামী রেবতী সেন), প্রাণহরি বিশ্বাস (পিতা হরেকৃষ্ণ বিশ্বাস), সারদা সেন (পিতা পেঠান সেন), নিখিল চৌধুরী, কামিনী ঘোষ, বরেন্দ্র রায় চৌধুরী (পিতা বিনোদ বিহারী চৌধুরী), নিরঞ্জন চৌধুরী (পিতা নগেন্দ্র চৌধুরী), মানিক চৌধুরী (পিতা মহেন্দ্র চৌধুরী), রজনী সেন (পিতা রামকুমার সেন), সুরবালা সেন (স্বামী জ্যোতিন্দ্র মোহন সেন), উত্তম সেন (পিতা অবিরাম সেন), (পিতা রাজেন্দ্র সেন), সুরেন্দ্র সেন (পিতা উকিল চন্দ্র সেন), হরিরাম চৌধুরী (পিতা তেজেন্দ্র চৌধুরী), ক্ষেত্রমোহন ঘোষ (পিতা রামচরণ ঘোষ), নবীন বৈদ্য (পিতা যতীন্দ্ৰ বৈদ্য), নির্মল সেন (পিতা ক্ষেত্রমোহন সেন), উপেন্দ্রলাল সেন (পিতা অধীর সেন), ক্ষেমেশ চন্দ্র চৌধুরী (পিতা উমেশ চন্দ্র চৌধুরী), যোগেন্দ্র লাল চৌধুরী (পিতা জ্ঞানেন্দ্র লাল চৌধুরী), সত্যরঞ্জন কর (পিতা দেবব্রত কর), রায়মোহন চৌধুরী (পিতা হরিময় চৌধুরী), রুহিনী দত্ত (পিতা কামিনী দত্ত), শংকর সেন (পিতা সৌরেন্দ্র সেন), রাজবিহারী বিশ্বাস (পিতা মঙ্গল বিশ্বাস), রায়মোহন বিশ্বাস (পিতা কামিনী বিশ্বাস), রজনী কুমার দত্ত, অশ্বিনী কুমার দাশ (পিতা সুনীল কুমার দাশ) এবং মালতী রাণী রায় (স্বামী রঞ্জিত রায়)। [শামসুল আরেফীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড