You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুজিবনগর কমপ্লেক্স (মুজিবনগর, মেহেরপুর)

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য, ম্যুরাল এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে নির্মিত একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র। এটি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলায় অবস্থিত।
২০০০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি থেকে মেহেরপুরের চারটি ইউনিয়ন যথা- দারিয়াপুর, মোনখালী, বাগোয়ান ও মহাজনপুর নিয়ে মুজিবনগর উপজেলার কার্যক্রম শুরু হয়। মুজিবনগরের পূর্ব নাম ছিল বৈদ্যনাথতলা। এটি বর্তমান মেহেরপুর জেলার দক্ষিণে ভারতীয় সীমান্তবর্তী আম্রকাননে পরিপূর্ণ একটি গ্রাম।
১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল এ বৈদ্যনাথতলা আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দেশী- বিদেশী শতাধিক সাংবাদিক, সুধী, স্থানীয় জনসাধারণ এবং নেতৃবৃন্দের সম্মুখে নবগঠিত সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ- ঐদিনই বৈদ্যনাথতলার নতুন নামকরণ করেন মুজিবনগর এবং মুজিবনগরকে বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। তারপর থেকে মুজিবনগরের নামেই চলে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ সরকারের কর্মকাণ্ড একাত্তরে বাংলাদেশের অন্য নাম হয়ে ওঠে মুজিবনগর। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে মুজিবনগর হয়ে ওঠে বাঙালি জাতির তীর্থস্থান।
১৯৮৭ সালের ১৭ই এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ মুজিবনগরে একটি স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর দীর্ঘ এক দশক পর ১৯৯৭ সালের ১৭ই এপ্রিল শেখ হাসিনার সরকারের সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে মুজিবনগর দিবস উদ্যাপিত হয়। এ উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মুজিবনগরে আসেন। সে-সময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো. শামসুল হক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগরে একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স স্থাপন এবং মুজিবনগর নামে একটি নতুন উপজেলা গঠনের দাবি উত্থাপন করেন। তখন শেখ হাসিনার সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ছিলেন মেহেরপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ-এর সরকার গঠন ছিল বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। এর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের ধারায় পুনঃপ্রত্যাবর্তনের সূচনা ঘটে। এরই অংশ হিসেবে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার সরকার মুজিবনগরে নানাবিধ কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ১৯৯৮ সালের ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং এদিন তিনি এক আনন্দঘন পরিবেশে মুজিবনগর কমপ্লেক্স-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মুজিবনগরকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালেই তাঁর সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে। একই বছর ১০ই অক্টোবর আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর কমপ্লেক্স স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প গৃহীত এবং স্থাপত্য বিভাগ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কমপ্লেক্সের নকশা অনুমোদিত হয়। পূর্ববর্তী প্রায় ৩৮ একর জমির সঙ্গে আরো ৪০.৭৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। নকশা অনুযায়ী কমপ্লেক্সে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহ নিম্নরূপ—
১. মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্ৰ
২ . মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য ও ম্যুরালের বাগান
৩. ৬-দফাভিত্তিক গোলাপ বাগান
৪. টেলিফোন/টেলিগ্রাম ও ডাকঘর
৫. শপিং কমপ্লেক্স
৬. অতিথিশালা
৭. স্কুল ও কলেজ
৯. শিশু পল্লী
১০. বঙ্গবন্ধু তোরণ
১১. অভ্যন্তরীণ রাস্তা, হেলিপ্যাড, কার পার্কিং, খোলা চত্বর
১২. উপাসনালয়
১৩. আনসার ও ভিডিপি ক্যাম্প
১৪. খেলার মাঠ
১৫. পর্যটন সুবিধা এবং
১৬. সৌন্দর্য বর্ধন
২০০১ সালে সরকার বদলের ফলে এসব প্রকল্পের কাজ স্থবির হয়ে পড়ে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর পুনরায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠিত হলে প্রকল্পসমূহের কাজ পূর্ণোদ্যমে শুরু হয়।

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র
মুজিবনগর কমপ্লেক্সের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত ভাস্কর্য ও ম্যুরালের বাগান নিয়ে তৈরি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র। এখানে রয়েছে ৬-দফাভিত্তিক গোলাপ বাগানের অপরূপ সৌন্দর্য। ভাস্কর্য ও ম্যুরালের মধ্যে প্রথমেই নজরে পড়ে ৭১-এর সেই ভয়াল দিনগুলোতে পাকবাহিনীর লোমহর্ষক অত্যাচার ও নির্যাতনের কাহিনী। বর্বর পাকিস্তানি হানাদারদের অগ্নিসংযোগ, নারীনির্যাতন ও হত্যালীলা তিনটি পৃথক ম্যুরালে তুলে ধরা হয়েছে। এরপরই দাঁড়ানো অবস্থায় আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সামনে ‘কলরেডি’ মাইক্রোফোন এবং ৭ই মার্চের মতোই আঙ্গুল উচিয়ে তাঁর ভাষণদান। পরম্পরায় দেখা যাবে মুজিবনগর সরকার-এর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম এ জি ওসমানী কে। এরপর রয়েছে ক্যাপ্টেন মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রমএর নেতৃত্বে একটি আনসার দল কর্তৃক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদানের দৃশ্য। এর পাশেই রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারগণের বৈঠকের দৃশ্য।
ম্যুরাল চিত্র নিয়ে গড়ে ওঠা চত্বরের সর্বশেষ ভাস্কর্যটিতে দেখা যাবে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী-র কাছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক দৃশ্য। এ ম্যুরাল চত্বরে প্রবেশ করামাত্রই যে-কোনো দর্শনার্থী ফিরে যাবেন স্বাধীনতা অর্জনে জাতির অপরিসীম আত্মত্যাগ ও বীরত্বপূর্ণ লড়াই-সংগ্রামের সেই অতীতে।

বাংলাদেশের মানচিত্র
মুজিবনগরের পূণ্যভূমিতে ৩০.৩৮ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের মানচিত্র। তাতে উত্তরের পাহাড় ততটা সরাসরি দৃশ্যমান না হলেও দক্ষিণের সাগরের বেলাভূমি ঠিকই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মানচিত্রে আছে প্রধান প্রধান নদী, নদীর ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, স্তম্ভপুর ব্রিজ আর
সীমান্ত জেলাসমূহের ওপর দিয়ে প্রাণভয়ে ভীত অগণিত শরণার্থীর দেশত্যাগ করে দুর্গম পথে ভারত অভিমুখে যাত্রার দৃশ্য। তাতে আরো স্থান পেয়েছে দেশের ভেতরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার, নারীনির্যাতন, অগ্নিসংযোগ এবং আরো কতো লোমহর্ষক ঘটনার দৃশ্য। পাশাপাশি হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি যুদ্ধের চিত্রও দৃশ্যমান। সব মিলিয়ে ৭১-এর সেই বাংলাদেশ। দর্শনার্থীদের গ্যালারিতে উঠে যে-কেউ এক নজরে ৭১-এর বাংলাদেশকে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। গ্যালারিতে পদে- পদে আটকে রাখবে দেয়ালের চিত্র, বিভিন্ন স্থানের যুদ্ধের অবস্থান, বিধ্বস্ত শহীদ মিনার, জগন্নাথ হলের গণহত্যার দৃশ্য এবং অনুরূপ আরো অনেক কিছু।

জাদুঘর
একটি দ্বিতল ভবনে লাইব্রেরি ও চিত্রশালা নিয়ে এটি স্থাপিত। ভবনের নিচতলার এক অংশে ভাষা-আন্দোলন- থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন চিত্র, ডকুমেন্টস ও তথ্যাবলির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে আন্দোলন-সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ দিক উপস্থাপিত হয়েছে। নিচতলার অপর অংশে লাইব্রেরি। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং উপমহাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সমৃদ্ধ পুস্তক ও তথ্যাবলি সংগৃহীত রয়েছে। ভবনটির দোতলা জুড়ে আছে সভাকক্ষ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বসার কক্ষ এবং মুজিবনগর কমপ্লেক্সের অফিস।

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও এর স্থাপত্য
উদীয়মান সূর্যের প্রতিকৃতিতে এখানে রয়েছে একটি স্মৃতিসৌধ। ২৩টি ত্রিকোণার দেয়ালের মধ্য দিয়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও ত্যাগের কথা। তাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও অস্তিত্বের সংগ্রামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এর মূল নকশা তৈরি করা হয়েছে। একটি ১৬০ ফুট ব্যাসের গোলাকার স্তম্ভের ওপর মূল বেদিকে ধারণ করে ২০ ইঞ্চি পুরু ২৩টি দেয়াল এখানে দণ্ডায়মান আছে। সমকোণী ত্রিভুজাকৃতির দেয়ালগুলোর উচ্চতা ৯ থেকে ৪২ ফুট। এগুলোর সমন্বয়ে বোঝানো হয়েছে উদীয়মান সূর্যরশ্মি। ২৩টি স্তম্ভ ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ২৩ বছরের সংগ্রামের প্রতীক। ১৬০ ফুট ব্যাসের গোলাকার স্তম্ভের অর্ধাংশের ওপর বেদিকে কেন্দ্র করে ভূতল থেকে দণ্ডায়মান দেয়ালগুলো ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি পুরু। সমকোনী ত্রিভুজাকৃতির দেয়ালগুলোর ভিন্ন-ভিন্ন দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা। প্রথমটির দৈর্ঘ্য ২০ ফুট ও উচ্চতা ৯ ফুট, পরবর্তী প্রতিটির ক্রমান্বয়ে ১ ফুট করে দৈর্ঘ্য ও ৯ ইঞ্চি করে উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বশেষ ও বৃহৎ দেয়ালের দৈর্ঘ্য ৪২ ফুট ও উচ্চতা ২৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। গোলাকার স্তম্ভ ভূতল থেকে ভিন্ন- ভিন্ন উচ্চতায় বিভক্ত। প্রথমটি ২ ফুট ৬ ইঞ্চি উঁচুতে অবস্থিত। দ্বিতীয়টি ৩ ফুট ৩ ইঞ্চি উঁচুতে ও তৃতীয়টি ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি উঁচুতে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণ যে-স্থানে হয়েছিল, স্মৃতিসৌধের ভীত সেই স্থানটিকে সিরামিক ইট দিয়ে আয়তকার ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্মৃতিসৌধের চারদিকে আছে অরনামেন্টাল ফেন্সি। স্মৃতিসৌধের বেদিতে আরোহণের জন্য রয়েছে একটি র্যাম্প ও বের হওয়ার জন্য ৯টি সিঁড়ি। ৯টি সিড়ি ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক। স্মৃতিসৌধটি নির্মাণে ২২ টন সিমেন্ট, ৭০ টন লোহা, ৮ লক্ষ ইট, ২০ হাজার ঘনফুট পাথর, ৩০ হাজার ঘনফুট বালি, ৪২ হাজার ঘনফুট কংক্রিট ব্যবহৃত হয়েছে। এ কাজে ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার শ্রম দিবস।
স্থপতি তানভীর কবির এ স্মৃতিসৌধের মূল স্থাপত্য নকশা তৈরি করেন। পরবর্তীতে স্থাপত্য অধিদপ্তর এটিকে পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এটি নির্মিত হয়। মূল স্মৃতিসৌধের শ্রীবৃদ্ধি করে গড়ে তোলা হয়েছে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, গণপূর্ত বিভাগের বিশ্রামাগার, মুজিবনগর স্বাধীনতা ক্লাব ও পাঠাগার, গাড়ি পার্কিং, প্রবেশ পথ, উদ্যান, বনভোজন কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পুলিশ ফাঁড়ি, কৃষি কমপ্লেক্স, পর্যটন কেন্দ্ৰ, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ও ডাকঘর, শেখ হাসিনা মঞ্চ ইত্যাদি। উল্লেখ্য, মেহেরপুর থেকে মুজিবনগরে যাওয়ার পথে মেহেরপুর কোর্ট রোডে (জেলা প্রশাসকের অফিস সংলগ্ন) জেলা পরিষদের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি সম্বলিত ‘বঙ্গবন্ধু তোরণ’ নির্মিত হয়েছে। [মো. জামালউদ্দীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!