মালা গণহত্যা (আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর)
মালা গণহত্যা (আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর) সংঘটিত হয় ১০ই মে। এতে স্থানীয় দোসরদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ৭ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। এদিন তারা অনেক বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করে।
তখন আলফাডাঙ্গায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কোনো ক্যাম্প ছিল না। সেনাক্যাম্প ছিল পাশের থানা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ভাটিয়াপাড়ায়। ১০ই মে এ ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর একটি দল শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সহায়তায় আলফাডাঙ্গা থানার মালা গ্রামে হানা দেয়। তারা এ গ্রামে লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও নারীদের ওপর নির্যাতন করে। এছাড়া তারা বিশিষ্ট সমাজসেবী আসাদুজ্জামান শিকদারসহ ৭ জন গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে।
আসাদুজ্জামান শিকদার ছাড়া অন্য নিহতরা হলেন- লাল মিয়া (পিতা ইরফান শিকদার), গোলাম মওলা শিকদার (পিতা ইরফান শিকদার), রোকনউদ্দিন শেখ (পিতা মো. দানেশ শেখ), তবিবুর রহমান (পিতা আবদুল মজিদ সরদার), পিরু বিশ্বাস (পিতা কালু বিশ্বাস) ও রেবুতি পাল (পিতা গোপালচন্দ্র পাল)। এদিন বেশ কয়েকজন নারী ও পরুষ আহত হন। হতাহতরা সবাই ছিলেন কৃষিজীবী। হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক লুটপাট করে ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এতে বেশকিছু বাড়ি ভস্মীভূত হয়। পরে রাজাকারা গ্রাম থেকে অছিয়া বেগম, জায়েদা খাতুন ও জরিনা বেগমকে ধরে নিয়ে যায়। সেনাক্যাম্পে আটকে রেখে তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতন শেষে তাদের হত্যা করা হয়। [আবু সাঈদ খান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৮ম খণ্ড