You dont have javascript enabled! Please enable it!

মাইগাতা যুদ্ধ (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম)

মাইগাতা যুদ্ধ (চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে। চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার মাইগাতা গ্রামে সংঘটিত এ-যুদ্ধে একজন রাজাকার আহত হয়ে পরে মারা যায়।
ঘটনার দিন দুপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সোর্স হারুন আল জাফর চৌধুরী (পিতা আবদুল জলিল চৌধুরী) মীর আহমদ চৌধুরী গ্রুপকে খবর দেন যে, সেদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের রাজাকার কমান্ডার এস্তাফ আলীর নেতৃত্বে একদল রাজাকার বরমা ইউনিয়নের মাইগাতা গ্রামের নন্দ বৈরাগীর বাড়িতে গণহত্যা, নারীনির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালাবে। এ খবর শুনে মীর আহমদ চৌধুরী গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধারা শপথ নেন যে, এ-ঘটনা ঘটতে দেয়া যাবে না। এরূপ সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁরা তখনই ল্যান্স নায়েক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে দক্ষিণ হারলার ডাক্তার বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নন্দ বৈরাগীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা ভেবেছিলেন, রাজাকারদের আগে সেখানে পৌঁছে এম্বুশ করবেন। কিন্তু তাঁরা পৌছানোর আগেই রাজাকাররা এসে লুটপাট শুরু করে। তাই সঙ্গে-সঙ্গে তাঁরা রাজাকারদের আক্রমণ করেন। রাজাকাররাও পাল্টা আক্রমণ করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে রাজাকাররা পিছু হটে। যুদ্ধে একজন রাজাকার গুলিবিদ্ধ হয়ে কয়েকদিন পর মারা যায়। এ-যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলেন: ল্যান্স নায়েক আবুল কালাম আজাদ (পিতা আহমদ হোসেন, হারলা), মোহাম্মদ ইউছুপ ওরফে ইঞ্চিয়া (পিতা খুইল্যা মিয়া, পশ্চিম হারলা), শিব্বির আহমদ (পিতা সিরাজুল ইসলাম, অইল্যার বরবাড়ি, হারলা), জয়নাল আবেদীন নিলু (পিতা কাজি ওসমান গণি, জোয়ারা) প্রমুখ। [শামসুল আরেফীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!