You dont have javascript enabled! Please enable it!

মাইপাড়া-ভাড়ুরা গণহত্যা (পুঠিয়া, রাজশাহী)

মাইপাড়া-ভাড়ুরা গণহত্যা (পুঠিয়া, রাজশাহী) সংঘটিত হয় ১২ই এপ্রিল। এতে ৫৫ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
ঘটনার দিন বিড়ালদহ প্রতিরোধ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটলে পাকসেনারা বিড়ালদহ, মাইপাড়া (শেখপাড়া), টোনাপাড়া ও ভাড়ুরা এলাকায় ব্যাপক অগ্নিসংযোগ করে ও গণহত্যা চালায়। এখানে মাজার সংলগ্ন সৈয়দ করম আলি মাদ্রাসায় অনেক বহিরাগত ব্যক্তি আশ্রয় নিয়েছিল। তারা ভেবেছিল মাদ্রাসার মতো স্থানে পাকসেনারা নৃশংসতা চালাবে না। কিন্তু পাকসেনারা মাদ্রাসার মধ্যে প্রবেশ করে ব্রাশ ফায়ার চালিয়ে আশ্রিত মানুষগুলোকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এখানে শহীদরা হলেন- আজাহার আলি (পিতা আবেদ আলি, মাইপাড়া), জনাব আলি (পিতা উমর প্রামাণিক, মাইপাড়া), দুলাল প্রামাণিক (পিতা উমর প্রামাণিক, মাইপাড়া), সিন্নত সরকার (পিতা চিনি সরকার, মাইপাড়া), কুলফন সরকার (পিতা সিন্নত সরকার, মাইপাড়া), হযরত আলি (পিতা সিন্নত সরকার, মাইপাড়া), আমেনা বেগম (পিতা হযরত আলি, মাইপাড়া), আ. রাজ্জাক (পিতা তফেজ সরদার, মাইপাড়া), আজিমুদ্দিন (পিতা আজিজুল সরদার, মাইপাড়া), আছেরুদ্দীন (পিতা বাছের মোল্লা, মাইপাড়া), ইমান উদ্দীন (পিতা বিন্দ মণ্ডল, মাইপাড়া), হাসেম আলি (পিতা হুসেন আলি, মাইপাড়া), মেরজান (পিতা এবারত পণ্ডিত, মাইপাড়া), জমেনা (পিতা জপেন মণ্ডল, মাইপাড়া), ওসমান আলি (পিতা মোকারেম আলি, টোনাপাড়া), ওয়াজেদ (পিতা আলেক, টোনাপাড়া), ওসমান আলি (পিতা চেরা বছির, টোনাপাড়া), জেলেখা বিবি (স্বামী ওসমান আলি, টোনাপাড়া), এমাজ (পিতা হরি মণ্ডল, টোনাপাড়া), মো. হারু (পিতা মো. কহির, টোনাপাড়া), জেলেখা বিবি (পিতা মো. কহির, টোনাপাড়া), অশ্বিনী কুমার ভৌমিক (পিতা তারকেশ্বর ভৌমিক, ভাডুরা), জিতেন্দ্র নাথ ভৌমিক (পিতা যজ্ঞেশ্বর ভৌমিক, ভাড়ুরা), নরেন্দ্রনাথ ভৌমিক (পিতা কৃষ্ণবিহারী ভৌমিক, ভাড়রা), জগদীশ সরকার (পিতা কেদারনাথ সরকার, ভাড়ুরা), হারান চন্দ্র কর্মকার (পিতা পেরি কর্মকার, ভাড়ুরা), তোপার সরকার (পিতা ব্রজমোহন সরকার, ভাড়ুরা), সতীশ চন্দ্ৰ সরকার (পিতা রামলাল সরকার, ভাড়ুরা), কাঞ্চি সরকার (ভাডুরা), দেবেন্দ্রনাথ ভৌমিক (পিতা হরেন্দ্র নাথ ভৌমিক, ভাডুরা), ধীরেন্দ্রনাথ সরকার (পিতা নবদ্বীপ সরকার, ভাডুরা), সতীশ কুমার কর্মকার (ভাডুরা), সুশীল কুমার কর্মকার (ভাডুরা), সুনীল চন্দ্র সরকার (ভাডুরা), বিনয় ভূষণ ভৌমিক (পিতা বিধুভূষণ ভৌমিক, ভাড়ুরা),
মুকুন্দ কর্মকার (ভাডুরা), কালীমোহন সরকার (পিতা ব্রজমোহন সরকার, ভাড়ুরা), গোপাল চন্দ্র সরকার (পিতা কালীমোহন সরকার, ভাড়ুরা), সুধীর কর্মকার (পিতা কালীমোহন সরকার, ভাড়ুরা), সুশীল সরকার (পিতা কালীমোহন সরকার, ভাডুরা), মিসেস সুধীর কর্মকার (ভাডুরা), শচীন কর্মকার (পিতা সুধীর কর্মকার, ভাড়রা), সুনীল চন্দ্র কর্মকার (ভাডুরা), মুক্তি রানী কর্মকার (ভাডুরা), টগরী বালা (ভাডুরা), নিভা রানী কর্মকার (ভাডুরা), নাসির উদ্দিন মণ্ডল (পিতা নমির উদ্দিন মণ্ডল, বিড়ালদহ), বাছের প্রামাণিক (পিতা মেছু প্রামাণিক, বিড়ালদহ), সমেজ উদ্দিন (বিড়ালদহ), কাজী আ. হাসিব (পিতা আ. মজিদ, বিড়ালদহ), রুহুল কুদ্দুস (পিতা আ. হাসিব, বিড়ালদহ), হযরত আলি বিশ্বাস (পিতা সুলতান আলি বিশ্বাস, বিড়ালদহ), আমিনুল বিশ্বাস (পিতা সুলতান আলি বিশ্বাস, বিড়ালদহ), আতাউল হক বিশ্বাস (পিতা সিরাজুল হক বিশ্বাস, বিড়ালদহ) এবং উদর উদ্দিন মণ্ডল (পিতা লছির মণ্ডল, বিড়ালদহ)। [মো. ইলিয়াছ উদ্দিন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!