You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.13 | মহেশখালী থানা অপারেশন (মহেশখালী, কক্সবাজার) - সংগ্রামের নোটবুক

মহেশখালী থানা অপারেশন (মহেশখালী, কক্সবাজার)

মহেশখালী থানা অপারেশন (মহেশখালী, কক্সবাজার) পরিচালিত হয় ১৩ই ডিসেম্বর। এর মধ্য দিয়ে মহেশখালী উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা ১৬৬টি রাইফেল ও ৭৪৮৫ রাউণ্ড গুলি হস্তগত করেন।
১২ই ডিসেম্বর কক্সবাজার হানাদারমুক্ত হলেও দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী তখনো পাকিস্তানিদের দোসর রাজাকার আলবদরদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কতিপয় দালাল রাজাকার মহেশখালীর সরকারি-বেসরকারি আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে পাকিস্তানি পতাকা ওড়াচ্ছিল। মহেশখালী হানাদারমুক্ত করার লক্ষ্যে আবদুস ছোবহান বাহিনীর অধিনায়ক আবদুস ছোবহানের নির্দেশে ইপিআর সদস্য ল্যান্স নায়েক আব্দুল খালেক ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে ১১ই ডিসেম্বর মহেশখালী পৌঁছেন এবং ছদ্মবেশে পাহাড়ে অবস্থান নেন। সংখ্যায় কম হওয়ায় তাঁরা থানা আক্রমণ না করে হানাদারদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। আবদুস ছোবহানের নেতৃত্বে উখিয়া ও কক্সবাজার থেকে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার আরেকটি দল মহেশখালীতে পৌঁছায়। এ দুগ্রুপের মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে ১৩ই ডিসেম্বর ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে বেলা ১১টার দিকে মহেশখালী থানা আক্রমণ করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা পাহাড়ের অভ্যন্তর থেকে ফায়ার শুরু করেন। থানায় অবস্থানরত আলবদর, রাজাকার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ বাহিনী পালানো কিংবা পাল্টা আক্রমণের কোনো সুযোগ না পেয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। অনেকে সমুদ্র পথে টেকনাফ ও চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এ-সময় মহেশখালী থানা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ১৬৬টি থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল ও ৭৪৮৫ রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করেন। মুক্তিযোদ্ধারা খুব সহজেই মহেশখালী থানা দখলে নিয়ে দ্বীপকে শত্রুমুক্ত করেন। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড