মহেশপুর থানা রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (মহেশপুর, ঝিনাইদহ)
মহেশপুর থানা রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (মহেশপুর, ঝিনাইদহ) পরিচালিত হয় দুবার – সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে এবং ১লা অক্টোবর। এতে ২ জন পাকসেনা ও ২ জন রাজাকার নিহত হয়। অপরপক্ষে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।
মহেশপুর থানা সদরের পুরনো স্কুল ভবনে রাজাকারদের প্রধান ক্যাম্প ছিল। এখানে অবস্থান করে তারা পাকিস্তানি বাহিনীকে গোপনে খবরাখবর দিত এবং সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালাত। এজন্য মুক্তিযোদ্ধারা তাদের এ ক্যাম্প আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমবার পান্তাপাড়া ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধা মাহতাবের নেতৃত্বে ইসহাক, শামসুল ও গোলাম মোস্তফাসহ ১০-১২ জন মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ১২টার দিকে তাঁরা বরুইপাড়ায় পৌঁছান। ঐ গ্রামের সাধুরবাড়ির ছাদে রাজাকাররা অবস্থান নিয়ে রাস্তা পাহারা দিচ্ছিল। তারা অতর্কিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর গুলি চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক উরুতে গুলিবিদ্ধ হলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে ক্যাম্পে ফিরে যান। দ্বিতীয়বার ১লা অক্টোবর রাত ১০টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্পের রাজকারদের ওপর গেরিলা হামলা চালান। এদিন কয়েকজন পাকসেনা ক্যাম্পে ছিল। গেরিলা আক্রমণের ফলে পাকসেনা ও রাজাকাররা পাল্টা আক্রমণ করার সুযোগ পায়নি। এ-সময় মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে ২ জন পাকসেনা ও ২ জন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশন শেষে তাঁদের ক্যাম্পে ফিরে যান। [অশোক বিশ্বাস]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড