মস্তফাপুর বড়ব্রিজ যুদ্ধ (মাদারীপুর সদর)
মস্তফাপুর বড়ব্রিজ যুদ্ধ (মাদারীপুর সদর) সংঘটিত হয় দুবার – ২৩শে নভেম্বর ও ২৫শে নভেম্বর। ২৩শে নভেম্বরের যুদ্ধে পাকিস্তানি মিলিশিয়াদের পর্যুদস্ত করলেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ধরা পড়েন। ২৫শে নভেম্বরের যুদ্ধে রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
২৩শে নভেম্বর রাত ১১টায় মাদারীপুর সদর থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদারের অপারেশন কমান্ডার মো. এস্কান্দার আলী মিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মস্তফাপুর বড়ব্রিজের ঢালে স্থাপিত পাকিস্তানি মিলিশিয়াদের ক্যাম্পে আক্রমণ করেন। মিলিশিয়ারা পাল্টা-আক্রমণ করলে দুপক্ষের মধ্যে প্রায় ৩ ঘণ্টা তীব্র গুলি বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব চকিদার (চরলক্ষ্মীপুর, ইউনিয়ন ছিলারচর) পাকিস্তানি মিলিশিয়াদের হাতে ধরা পড়েন। সে রাতে তাঁকে ইটের পুলের এ আর হাওলাদার জুটমিলের জেটিতে নিয়ে গুলি করলেও তিনি বেঁচে যান। ২৩শে নভেম্বর যুদ্ধের পর পাকিস্তানি মিলিশিয়াদের প্রত্যাহার করে সেখানে রাজাকারদের নিযুক্ত করা হয়।
২৫শে নভেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা দ্বিতীয়বার আক্রমণ করলে এ ব্রিজে অবস্থানরত রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণকারী রাজাকারদের মধ্যে শাহজাহান খান, মঙ্গল খান, নুরু মৃধা প্রমুখ ছিল। এদের বন্দি করে কমলাপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে নেয়া হয়। [বেনজীর আহম্মদ টিপু]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড