মধুমতি নদীতীর গণহত্যা (কালিয়া, নড়াইল)
মধুমতি নদীতীর গণহত্যা (কালিয়া, নড়াইল) সংঘটিত হয় ১২ই মে। নিকটবর্তী গোপালগঞ্জ শহর থেকে পাকসেনারা এসে কালিয়া উপজেলায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় তারা মাঝে-মধ্যেই এরূপ হত্যাকাণ্ড চালাত। এখানে মুক্তিযোদ্ধারাও সক্রিয় ছিলেন। এর মধ্যেই পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দালালরা ১২ই মে-র এ গণহত্যাটি সংঘটিত করে। ঘটনার দিন সকালে হানাদাররা গানবোটে করে এসে মধুমতি নদীর তীরবর্তী পাখিমারা, সরসপুর, বাগুডাঙ্গা, যোগানিয়া, ডুমুরিয়া, রামপুরা, গাছবাড়িয়া, পুটিমারি, পানিপাড়া, বড়দিয়া ও পাটনা এলাকার নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের ওপর আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা গানপাউডার দিয়ে বাড়িঘরে আগুন দেয় এবং এলোপাতাড়ি গুলি করে। তাদের গুলিতে গবাদিপশুসহ বিভিন্ন বয়সের ১৩ জন নারী-পুরুষ ও শিশু নিহত হয়। নিহতরা হলো- হায়দার শেখ (জয়নগর), নজির খাঁ (জয়নগর), রূপবান বিবি (পানিপাড়া), রওশন মোল্যা (পানিপাড়া, দুবছরের শিশু), আব্দুল গনি মোল্যা (রামপুরা), জোটো খাঁ (রামপুরা), রিজু শেখ (পাকুড়িয়া), সালেক শিকদার (পুটিমারি), অবিনাশ দাস (টোনা), রাজ্জাক শেখ (পুটিমারি), মওলা শিকদারের স্ত্রী (পুটিমারি), খোরশেদ মিয়া (পাকুড়িয়া) এবং নারায়ণ বিশ্বাস (টোনা)। [মহসিন হোসাইন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড