মধুরামপুর গণহত্যা (তারাগঞ্জ, রংপুর)
মধুরামপুর গণহত্যা (তারাগঞ্জ, রংপুর) সংঘটিত হয় এপ্রিল মাসে। এতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়।
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার আলমপুর ইউনিয়নে মধুরামপুর গ্রামটি অবস্থিত। গ্রামটি সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে খুব দূরে নয়। পাকসেনারা এ সেনানিবাস থেকে এসে স্থানীয় দালালদের সহায়তায় মধুরামপুর, কামারপাড়া ও দোলপাড়ার কয়েকজন বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। এদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে অনেকে আহত হন। নিহতদের অধিকাংশ মধুরামপুর কামারপাড়া ও দোলাপাড়া গ্রামের হলেও কেউ-কেউ বাইরের লোক ছিলেন। ফলে সবার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে, তারা হলেন- লুৎফর রহমান (পিতা মাহাতাব উদ্দিন সরকার), বিপিন চন্দ্র সিং (পিতা গিরিশ চন্দ্র সিং), কাছুয়া মামুদ (পিতা আছান উদ্দিন কেরানী), কাছুয়া মামুদ ওরফে পাকা (পিতা বুদা মিস্ত্রি), সাইব (পিতা ভগলু মামুদ), জমির উদ্দিন (পিতা জহুর সরদার), নজরুল ইসলাম (উলিপুর, কুড়িগ্রাম) ও ইলিয়াস উদ্দিন (পিতা ইউসুফ উদ্দিন)। এদিন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অনেকের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ডা. শাহাজাহান আলী (পিতা ডা. নাসির উদ্দিন মণ্ডল) ও এজাজুল হক (পিতা ইউসুফ উদ্দিন)। [গীতিময় রায়]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড