মদনগঞ্জ গণহত্যা (বন্দর, নারায়ণগঞ্জ)
মদনগঞ্জ গণহত্যা (বন্দর, নারায়ণগঞ্জ) সংঘটিত হয় ১০ই মে। তার আগে এপ্রিল মাসের এক রাতে পাকসেনাদের একটি দল নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির নিকটস্থ চিত্তবাবুর বাড়িতে আক্রমণ করে। পাকসেনারা তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করে। এরপর চিত্তবাবুসহ তিনজনকে হত্যা করে চলে যায়। ১০ই মে রাত সাড়ে দশটার দিকে পাকসেনারা স্থানীয় রাজাকারদের সংবাদের ভিত্তিতে প্রথমে মদনগঞ্জ পোস্ট অফিস এলাকায় আসে। পরে মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির কাছে নিখিল সরকার ওরফে সত্য সরকারের বাড়িতে ঢোকে। সেখানে তার অত্মীয় দুই বোন জয়া রাণী সরকার ও ভেলা রাণী সরকার ঢাকার শাঁখারীবাজার থেকে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। পাকসেনারা নিখিল সরকারকে গুলি করে এবং জয়া রাণী ও ভেলা রাণীকে বেয়নেট চার্জ করে হত্যা করে।
এরপর তারা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার আরো কয়েকটি বাড়িতে . ঢুকে ১৫ জন লোককে ধরে গুলি করে হত্যা করে। এই শহীদদের মধ্যে ছিলেন বিল্লাল মিয়া, মো. তফু মিয়া, সালামতউল্লা, হাজী আবু শরীফ মিয়া, বাওয়ানী জুট মিলস- এর শ্রমিক আব্দুল করিম, মোহাম্মদ সেলিম, কালা চান্দ, আসকর আলী, আইজউদ্দীন, মোহাম্মদ সেলিম, নিরঞ্জন সরকার প্রমুখ। [রীতা ভৌমিক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড