মধুপুর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (টাঙ্গাইল)
মধুপুর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (টাঙ্গাইল) টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলা সদরের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বংশাই নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। মধুপুর বংশাই ব্রিজ থেকে প্রায় দুশগজ পূর্বদিকে এ-স্থানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষদের ধরে এনে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিত। স্বাধীনতার পরে তাদের স্মরণে এ স্মৃতিসৌধটি নির্মিত হয়। এটি নির্মাণের জন্য স্থানীয় অধিবাসী ও সমাজসেবক আফাজ উদ্দিন খান ৫ শতাংশ ভূমি বিনামূল্যে বাংলাদেশ সরকারকে দান করেন।
ভূমি থেকে সৌধটির উচ্চতা ১৬ ফুট। সম্ভবত ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের স্মরণে এর উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে। সৌধটি চারকোণবিশিষ্ট চারটি ধাপে নির্মিত। চারকোণাকৃতি বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রেখে ধাপে-ধাপে এটি সরু হয়ে ওপরের দিকে উঠে গেছে। সবচেয়ে নিচের সিঁড়ি-ধাপসহ স্মৃতিসৌধটির ভেতরের ব্যাস ৪৮ ফুট। তার ওপরে প্রথম ধাপটি ৩ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতাবিশিষ্ট, যা চারটি সিঁড়ি-ধাপে সমাপ্ত। দ্বিতীয় ধাপের উচ্চতা ৪ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং ব্যাস ১৬ ফুট। তৃতীয় ধাপের উচ্চতা ৩ ফুট এবং ব্যাস ৯ ফুট। চতুর্থ ধাপের উচ্চতা ৩ ফুট এবং ব্যাস ৪ ফুট। দ্বিতীয় ধাপের মাঝামাঝি স্থানে ‘১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদ স্মরণে’ কথাগুলো পাথরে খোদাই করা হয়েছে। সৌধটির শীর্ষে রয়েছে ৯ ফুট ব্যাসের ছাতার মতো একটি গোলাকার ছাউনি। এ ছাউনিটি দ্বারা সম্ভবত ৯ মাসে সমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে। [শফিউদ্দিন তালুকদার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড