বীর প্রতীক মঙ্গল মিয়া
মঙ্গল মিয়া, বীর প্রতীক (মৃত্যু ১৯৮২) সুবেদার ও সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত আখাউড়া উপজেলার চতুরা শরীফ ইউনিয়নের ভাটামাথা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আনোয়ার আলী|
মঙ্গল মিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। তিনি পাকিস্তানের করাচিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ৭১ সালে তিনি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টে সুবেদার পদে কর্মরত ছিলেন। দেশমাতৃকার টানে মঙ্গল মিয়া মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ২ নম্বর সেক্টরে মেজরখালেদ মোশাররফ, বীর উত্তম-এর নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সালদা নদীর তীরবর্তী যুদ্ধে তিনি অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। তাঁর সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন আইন উদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দুজন সদস্যকে ধরে ভারতের কোনাবন ক্যাম্পে নিয়ে যান।
মহান মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মঙ্গল মিয়াকে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। তিনি ৬ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম জাহেরা বেগম। ১৯৮২ সালের ১২ই আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। [হারুন রশীদ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড