You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে মংলা উপজেলা (বাগেরহাট)

মংলা উপজেলা (বাগেরহাট) বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উপকণ্ঠে সুন্দরবনের কোলঘেঁষে অবস্থিত। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মংলা ১৯৭১ সালে রামপাল থানার অন্তর্গত ছিল। ১৯৭৬ সালে মংলা থানা ৱ গঠিত হয়। ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলায় উন্নীত হয়।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু ইয়াহিয়া সরকার আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করতে ষড়যন্ত্র শুরু করে। ১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর ফলে সারা দেশের মতো মংলার জনগণের মধ্যেও তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে তারা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে। ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ থেকে তারা বুঝতে পারে যে, পাকিস্তানিদের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তি লাভে হয়তো তাদের যুদ্ধ করতে হবে। তাই মানসিকভাবে তারা মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
২৫শে মার্চ ঢাকায় পাকবাহিনীর অপারেশন সার্চলাইট-এর পর ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। দেশব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। মংলার জনগণও এতে শরিক হয়। গাজী আব্দুল জলিল, শেখ আব্দুল জলিল এবং মেজর জলিলের আহ্বানে এলাকার ছাত্র-যুবকরা সংগঠিত হয়। গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। মালগাজী তহশিল অফিসে মুক্তিযোদ্ধাদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ সুনীল বিশ্বাসসহ আরো অনেকে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। তারপর উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য তাদের পাঠানো হয় ভারতে। প্রশিক্ষণশেষে ৫ই আগস্ট কমান্ডার শেখ আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে ১৯ জনের একটি দল ফিরে এসে বৈদ্যমারীতে জনৈক আজিজ মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে এখান থেকে সুন্দরবনের দিকে আরো ৫ কিমি গিয়ে মিরগেমারী খালের পাশে সোনামুখীতে ক্যাম্প স্থাপন করে। পরবর্তীতে এর কাছাকাছি আরো ৫টি সাবক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এসব ক্যাম্পে নতুন মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রহ ও তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষণ দেন অমরেন্দ্র বিশ্বাস, মহানন্দ মণ্ডল, মনির আহম্মদ খান, অরূপ হালদার প্রমুখ। মংলায় স্থানীয় কোনো বিশেষ বাহিনী ছিল না, তবে মুজিব বাহিনীর একটি দল সক্রিয় ছিল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যেহেতু মংলা ছিল রামপাল থানার অধীন, সেহেতু রামপালে যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, প্রধানত তাঁরাই মংলাতেও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেন। তাঁদের সঙ্গে স্থানীয় যেসব নেতা ছিলেন, তাঁরা হলেন শেখ ইউসুফ আলী, অমরেন্দ্র বিশ্বাস, মহানন্দ মণ্ডল, নারায়ণ হালদার, পীযূষ রায়, স্টিফেন মৃধা, ইদ্রিস আলী ইজারাদার, অরূপ হালদার, দিগ্বিজয় নাথ, ভাগ্যধর সরকার, সুবোধ ভাণ্ডারী প্রমুখ।
প্রশিক্ষণশেষে ভারতের ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু অস্ত্র দেয়া হয়। দেশে ফিরে তাঁরা সেসব অস্ত্র নিয়ে চিলা, চাঁদপাই, বৈদ্যমারী, সোনাইলতলা, আমড়াতলা, বকুলতলা, শেলাবুনিয়া, চাড়াখালী, দিগরাজ, বাঁশতলা প্রভৃতি এলাকায় প্রাথমিক প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
মার্চের ২৯ তারিখ পাকবাহিনী যুদ্ধজাহাজ থেকে শেল নিক্ষেপ করে মংলা বন্দর দখল করে। তবে মংলায় তাদের স্থায়ী ক্যাম্প ছিল না; বন্দরজেটি, জয়মনি ও মিঠাখালীতে অস্থায়ী ক্যাম্প ছিল। রাজাকারদের ক্যাম্প ছিল মিঠাখালী ও টিএন্ডটি অফিসে। টিএন্ডটি অফিস ছিল তাদের কসাইখানা।
৬ই মে রামপাল থানায় যাদের নিয়ে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়, তারাই মংলাতেও স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের সঙ্গে মংলার যারা নেতৃত্ব দেয় তারা হলো সোনাইলতলার রাজাকার কমান্ডার রুস্তম হাওলাদার, মাদুরপাল্টার রজ্জব আলী সরদার, সৈয়দ আলী মল্লিক, খালেক মৌলভী, আমড়াতলার বাহার উদ্দিন মোল্লা, মজিদ হালদার, চিলার হাশেম ফকির, মিঠাখালীর ডা. অলিউল্লাহ, মো. ইউনূস, আমির আলী, চাড়াখালীর কেরামত আলী গোলদার, নাসিম খান প্রমুখ।
সারাদেশের মতো মংলাতেও পাকবাহিনী ও রাজাকাররা হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও অপহরণের মতো মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালায়। তারা মাকোড়ঢোন গ্রামের সুরেন্দ্রনাথ শীল ও বকুলতলার কুমুদ নামে দুজনকে হত্যা করে। রাজাকাররা দামেরখণ্ডের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অপহরণ করে বাগেরহাটে রজ্জব আলীর আস্তানায় নিয়ে দীর্ঘদিন ধর্ষণ করে। এছাড়া শেলাবুনিয়ার দুটি মেয়ে, এক শ্রমিকনেতার স্ত্রী, ঢালীরখণ্ডের এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও বোনসহ আরো অনেক যুবতীকে ক্যাম্পে নিয়ে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন করে।
৬ই মে রামপালের বড় সন্ন্যাসী গ্রামে লুটপাটের পর রাজাকার বাহিনী মংলার কাঠামারী, দিগরাজ, মাদুরপাল্টা, বরইতলা, জয়মনি, বাঁশতলা, দামেরখণ্ড, ঢালীরখণ্ড, শানবান্দা, মৈদাড়া, বৈরাগীখালীসহ বিভিন্ন গ্রাম এবং মংলা শহরের বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে ও লুটপাট চালায়। একই সময় খালেক মৌলভী, সৈয়দ আলী, ইয়াকুব আলী (ছুটু) ও ডা. অলিউল্লাহ মালগাজী, মাদুরপাল্টা, দত্তেরমেঠ, দামেরখণ্ড, সাহেবেরমেঠ, ব্রাহ্মণমেঠ প্রভৃতি গ্রামের বহু লোককে ধর্মান্তরিত করে।
২৩শে মে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা বাগেরহাট থেকে লঞ্চযোগে সোনাইলতলার মান্দারতলা খালে নেপালের দোহায় নামে। এখান থেকে দুই দলে ভাগ হয়ে স্থানীয় রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে একদল যায় লক্ষ্মীখালীর শ্রীশ্রীগোপালচাঁদ সাধুর বাড়ি, অন্য দল যায় সুন্দরবন ইউনিয়নের দামেরখণ্ড গ্রামে। রজ্জব আলী ও তার দলের এ এলাকায় আসার খবর পেয়ে মৌখালী, নিতাখালী ও খাসেরডাঙ্গার অনেক মানুষ দামেরখণ্ড মন্দিরের পাশে রসিকলাল ও দ্বিজবরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। রাজাকাররা এসব বাড়ির চারদিক ঘিরে ফেলে এবং অনেক লোককে হত্যা করে। পরে এ ইউনিয়নের অন্যান্য গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী মিঠাখালী, চিলা, চাঁদপাই, সোনাইলতলা ও বুড়িরডাঙ্গায় যায়। এসব এলাকায় গিয়ে তারা হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, নারী অপহরণ এবং অনেককে ধর্মান্তরিত করে। এর ফলে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে ভারতে চলে যায়।
রাজাকাররা পূর্বঘোষণা দিয়ে মংলার কাঠমারী, দিগরাজ, মাদুরপাল্টা, বরইতলা, জয়মনি, ঢালীরখণ্ড, সানবান্দা, বৈরাগীর খালসহ বিভিন্ন গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। মংলা থেকে পাকবাহিনীর গানবোটগুলো নদীপথে যাতায়াতের সময় এলোপাতারি গুলি ছুড়ত। এতে অনেকে হতাহত হয়।
মংলায় দুটি গণহত্যা সংঘটিত হয়— শেলাবুনিয়া গণহত্যা ও দামেরখণ্ড গণহত্যা। ২৫শে এপ্রিল শেলাবুনিয়ার পোদ্দার বাড়ির নাসিম খান ও তার দল একই বাড়ির ৬ জনকে হত্যা করে। ২৩শে মে দামেরখণ্ডে রজ্জব আলীর নেতৃত্বে রাজাকাররা শতাধিক মানুষকে হত্যা করে।
বন্দর থেকে জয়মনি এলাকা পর্যন্ত যেসব অস্থায়ী পাকিস্তানি ক্যাম্প ছিল, সেগুলোকে নির্যাতনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হতো। রাজাকার ক্যাম্পগুলোতে স্থায়ী নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির ছিল।
মংলায় দুটি বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে – হারবার জেটি বধ্যভূমি ও বাগেরহাট জেটি বধ্যভূমি। হারবার জেটিতে পাকবাহিনী, হারবার মাস্টার আইয়ুব আলী ও তার সহযোগীরা কয়েকশ লোককে হত্যা করে। বাগেরহাট জেটিতে প্রায় ১০০ লোককে হত্যা করা হয়। তাদের অধিকাংশই ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থক শ্রমিক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মংলা থানা কমান্ডার ছিলেন শেখ আব্দুল জলিল। তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। এছাড়া ছিলেন ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক গাজী আব্দুল জলিল। এই “তিন জলিল’ মংলায় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া অন্য মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- অমরেন্দ্র বিশ্বাস, মহানন্দ মণ্ডল, মনির আহমদ খান আলম, ইদ্রিস আলী ইজারদার, দিগ্বিজয় নাথ, অরূপ দেবপ্রসাদ, ভিক্টর সতীশ, বিপুল, ভাগ্যধর, খোকা, সুবোধ ভাণ্ডারী, মোসলেম, সুলতান, গীতীশ, অজিত বিশ্বাস, রণজিৎ, দ্বিজেন্দ্রনাথ, হাসান আলী, প্রভাস, ক্ষিতীশ, ইউনূস আলী, মন্মথ, সুরেন, নরেন, নিমাই, কুমুদ, নীরেন, শামসুর, সমরেন্দ্র, আ. সালাম, শাহজাহান, জগদীশ, মতিলাল, আ. ওদুদ, জিন্নাত, অনন্ত, ব্ৰজেন প্রমুখ। কাইনমারীর চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে রাজাকারদের ক্যাম্প ছিল। ১৪ই আগস্ট মুক্তিযোদ্ধারা চাঁদপাই রেঞ্জ অফিস আক্রমণ করে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করেন। এ আক্রমণের আর একটি উদ্দেশ্য ছিল পাকসেনারা যাতে এখানে ঘাঁটি গাড়তে না পারে সেজন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করা। এটি দখলে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাম্প স্থাপন করেন। মংলা থেকে জয়মনি পর্যন্ত নদীপথে ব্যবহার করা পাকবাহিনীর কয়েকটি গানবোটও মুক্তিযোদ্ধারা ডুবিয়ে দেন।
মংলায় মুক্তিবাহিনীর উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হলো পশুর নদীতে নৌকমান্ডো অভিযান-। নৌকমান্ডো আহসানউল্লাহ, বদিউল আলম, সামছুল আরেফিন ও গাজী রহমতউল্লাহর নেতৃত্বে মংলা বন্দরের পাশে পশুর নদীতে চারটি অভিযান পরিচালিত হয়। এতে শত্রুপক্ষের মোট ২০টি জাহাজ ডুবে যায় – ১৫ই আগস্ট ৫টি, ৮ই অক্টোবর ৫টি, ৯ই অক্টোবর ৫টি এবং ২৪শে নভেম্বর ৫টি। এছাড়াও বেশ কয়েকটি জাহাজ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মংলা বিজয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী পদ্মা ও পলাশ নামে দুটি গানবোট পাঠায়। ৮ই ডিসেম্বর পদ্মা ও পলাশের অভিযানে পাকসেনা ও রাজাকাররা পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায় এবং মুক্তিযোদ্ধারা মংলা বন্দর ও হারবার জেটি দখল করে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। মুক্তিযোদ্ধারা মিঠাখালী রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে ১৮ জন রাজাকারকে বন্দি এবং বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করেন। অন্যান্য কয়েকটি স্থানেও রাজাকারদের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ৮ই ডিসেম্বর মংলা উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
মংলা বন্দর শহীদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মরণে শহীদ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। মংলা উপজেলায় যেসব শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম জানা যায়, তাঁরা হলেন- অনন্ত মিস্ত্রী (পিতা নির্মল মিস্ত্রী, কানাইনগর, চাঁদপাই; কানাইনগরে শত্রুদের ওপর গুলি ছুড়তে-ছুড়তে রাজাকারদের গুলিতে শহীদ), আক্কাচ আলী শেখ (পিতা নূর আলী শেখ, সোনাইলতলা), রতন ম্যানুয়েল হালদার (পিতা অনন্ত হালদার, শেলাবুনিয়া; রাজাকাররা বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে), মৃগেন মৃধা (পিতা বসন্ত মৃধা, সাতঘরিয়া, মিঠাখালী; কলেজ ছাত্র; রাজাকারদের প্রতিরোধের মুখে শহীদ হন) এবং অজিত মণ্ডল (পিতা রাজেন মণ্ডল, মৌখালী, মিঠাখালী; সহযোদ্ধাদের সঙ্গে দামেরখণ্ড থেকে ঢালীরখণ্ডে যাওয়ার সময় রাজাকারদের আক্রমণে শহীদ)।
মংলা বন্দর পৌরসভা থেকে কিছু দূরে মুক্তিযুদ্ধের সময় বোমা বিস্ফোরণের স্থানে তৈরি করা হয় নোঙ্গর স্মৃতিস্তম্ভ। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মংলায় দোতলা উপজেলা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালে দামেরখণ্ড, হারবার জেটি এবং বাগেরহাট জেটিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে মংলা কলেজ শহীদ মিনার, বন্দর শহীদ মিনার ও বিভিন্ন স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলীর নামে চাঁদপাই ইউনিয়নের একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। [মনোজ কান্তি বিশ্বাস]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!