ভেলুরপাড়া স্টেশন যুদ্ধ (সোনাতলা, বগুড়া)
ভেলুরপাড়া স্টেশন যুদ্ধ (সোনাতলা, বগুড়া) সংঘটিত হয় ২রা ডিসেম্বর। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এ-যুদ্ধে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয় এবং অবশিষ্টরা পালিয়ে যায়।
ভেলুরপাড়া স্টেশন যুদ্ধে বাইরের মুক্তিযোদ্ধারা ২টি দলে বিভক্ত হন একটি দলে ১৩ জন, অপরটিতে ৬ জন। এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা ছোট-ছোট দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন। এ-যুদ্ধে উভয় পক্ষের মধ্যে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গুলি বিনিময় হয়। সকাল ৯টার সময় জোরগাছা গ্রামের বাদরু নামে একজন দেখতে পায় যে, একজন পাকিস্তানি সৈন্য আমগাছের ওপর থেকে গুলি ছুড়ছে। একথা মুক্তিযোদ্ধা খাজা নাজিমদ্দিনকে জানালে তিনি তাঁর অস্ত্র দিয়ে গুলি করে ঐ পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করেন। বিকেল ৫টার পূর্বে পাকিস্তানি বাহিনী ভেলুরপাড়া স্টেশন থেকে পালিয়ে যায়। একজন পাকিস্তানি সৈন্যকে গেটম্যানের ঘরের ভেতর থেকে গ্রামের লোকজন আটক করে কুপিয়ে হত্যা করে। যুদ্ধ শেষে আলী আশরাফ নামে একজন আহত পাকিস্তানি সৈন্য ধরা পড়ে। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে মাইনকার চরে পাঠিয়ে দেন। মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু, মো. তারাজুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দিন, আখতার হোসেন বুলু প্রমুখ এ-যুদ্ধে অংশ নেন। [মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড