You dont have javascript enabled! Please enable it! ভুরুঙ্গামারী বিমল মেম্বারের বাড়ি গণকবর (ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম) - সংগ্রামের নোটবুক

ভুরুঙ্গামারী বিমল মেম্বারের বাড়ি গণকবর (ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম)

ভুরুঙ্গামারী বিমল মেম্বারের বাড়ি গণকবর (ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম) ভুরুঙ্গামারী সিও অফিস থেকে ২ কিলোমিটার দক্ষিণে দেওয়ানের খামার এলাকায় অবস্থিত। দেবপাড়ায় এ বাড়ির অবস্থান। দেবপাড়া ফুলকুমার নদী থেকে ১.৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণে জযমনিরহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত। এ এলাকার দক্ষিণে ছিল শিংঝাঁড় ইপিআর ক্যাম্প।
বিমল চন্দ্র দেব মেম্বারের বাড়ির সম্মুখস্থ চৌমোহনীর কাছে বটগাছের নিচে ৭ জন সাধারণ মানুষকে পাকিস্তানি হানাদার সৈন্যরা ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। এখানে নিহত ব্যক্তিরা হলেন- মোহাম্মদ নওশের আলী দেওয়ানী, মোহাম্মদ ধনী পোদ্দার ওরফে আব্দুস সামাদ, মোহাম্মদ আব্দুল হক চাষী, মোহাম্মদ নছর উদ্দিন দেওয়ানী, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম (শিংঝাঁড়), মোহাম্মদ রহিমুদ্দিন পোদ্দার ও মোহাম্মদ ময়েজ উদ্দিন। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭ মাস পর এদের মাথার খুলি ও হাড়গোড় একত্র করে গণকবরে দাফন করা হয়। পাকবাহিনী ও স্থানীয় – রাজাকাররা এখানে কেবল হত্যাকাণ্ড নয়, অনেক বাড়িতে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগও করে। তারা দেবপাড়ার বড় বাড়িতে লুটতরাজ চালিয়ে মূল্যবান সম্পদ নিয়ে যায়। বড় বাড়ির পার্শ্ববর্তী কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ৯টি ঘর পুড়িয়ে দেয়। পাকবাহিনীকে সহায়তা করে ভুরুঙ্গামারী কলেজের প্রিন্সিপাল হাজী কমরউদ্দিন, হাজী এফাজ উদ্দিন, মওলানা আব্দুল লতিফ, হাজী বছিরউদ্দিন প্রমুখ দালাল। এছাড়া রাজাকার মজিবর রহমান, ইপিক্যাপ সদস্যসহ অন্যরা হত্যা ও নির্যাতনে জড়িত ছিল। [এস এম হারুন অর রশীদ লাল]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড