ভাটেরচর যুদ্ধ (গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ)
ভাটেরচর যুদ্ধ (গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ) সংঘটিত হয় ৯ই ডিসেম্বর কমান্ডার মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে। এ-যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকবাহিনী পালিয়ে যায় এবং পালানোর সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্রাশ ফায়ারে ৭ জন মিলিশিয়া নিহত হয়। অন্যদিকে পাকবাহিনীর মর্টারের আঘাত ও গুলিতে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।
ঘটনার দিন পাকবাহিনী ভাটেরচরে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর আক্রমণ করলে যুদ্ধ শুরু হয়। এটিই গজারিয়ার সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। এ-যুদ্ধ ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা শত্রুদের লক্ষ করে ৩ ইঞ্চি মর্টার নিক্ষেপ করেন। তাঁদের আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকবাহিনী পালিয়ে যায়। গভীর রাতে পালানোর সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্রাশ ফায়ারে ৭ জন মিলিশিয়া নিহত হয়। পাকবাহিনীর দোসর ৪ জন বাঙালি পুলিশ স্থানীয় একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ধরে গণধোলাই দেন। শেষরাতে হানাদার বাহিনীর বাঙ্কার থেকে গুলি আসা বন্ধ হয়। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে ঢাকায় পালিয়ে যায়। পাকবাহিনীর মর্টারের আঘাত ও গুলিতে আহত হন আবদুল মোতালেব পাঠান, শফিকুল ইসলাম, আবদুল মান্নান দেওয়ান, আমিনুল হক আমজাদ, আবদুস সাত্তার (গুয়াগাছিয়া)-সহ বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। গজারিয়ার মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও মুন্সিগঞ্জের কমান্ডার সৈয়দ ফজলে এলাহী ও হোমনার গ্রুপ কমান্ডার আবদুল হক তাঁদের বিশাল বাহিনী নিয়ে এ-যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। [সাহাদাত পারভেজ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড