You dont have javascript enabled! Please enable it! ভরণ্ডা গণহত্যা (কাহারোল, দিনাজপুর) - সংগ্রামের নোটবুক

ভরণ্ডা গণহত্যা (কাহারোল, দিনাজপুর)

ভরণ্ডা গণহত্যা (কাহারোল, দিনাজপুর) দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ২নং রসুলপুর ইউনিয়নের ভরণ্ডা গ্রামের ১৪ জন নিরীহ মানুষ টাঙ্গন নদীর তীরে গণহত্যার শিকার হলেও তা ভরণ্ডা গণহত্যা নামে পরিচিত। স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকাররা এ গণহত্যা সংঘটিত করে। ভরণ্ডা একটি বড় গ্রাম। এটি মধ্যপাড়া, উত্তরপাড়া, মণ্ডলপাড়া, পশ্চিমপাড়াসহ বিভিন্ন পাড়ায় বিভক্ত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এ গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী ১৪ জন নিরীহ মানুষ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণহত্যার শিকার হন। গণহত্যার শিকার ব্যক্তিরা হলেন- সুরেন্দ্রনাথ রায় (পিতা উজানু বর্মণ, ভরা পূর্বপাড়া, রসুলপুর), গংগারাম বর্মণ (পিতা ফাগুরাম বর্মণ, ভরণ্ডা মণ্ডলপাড়া), গৌরাঙ্গ রায় (পিতা দ্বিজেন্দ্রনাথ রায়, ভরণ্ডা উত্তরপাড়া), জামিনি বর্মণ (পিতা কংস বর্মণ, ভরণ্ডা মধ্যপাড়া), গোলক চন্দ্র রায় (পিতা কৈলাস চন্দ্ৰ সাধু, ভরণ্ডা পশ্চিমপাড়া), দ্বিজেন্দ্র নাথ রায় (ইশানপুর, কাহারোল), নিতাই চন্দ্র রায় (পিতা ধরণী কান্ত রায়, ভরণ্ডা পশ্চিমপাড়া), শরৎচন্দ্র দাস (পিতা আশানন্দ দাস, ভরণ্ডা পশ্চিমপাড়া), বিলাস দাস (পিতা রঘু দাস, ভরণ্ডা জালিয়াপাড়া, ইউপি রসুলপুর, কাহারোল), গঙ্গেশ চন্দ্র বর্মণ (পিতা নিমসাহা বর্মণ, ভরণ্ডা), বিনেশ চন্দ্র বর্মণ (পিতা নিমসাহা বর্মণ, ভরণ্ডা), ভরভরু কান্ত রায় (পিতা ভাবুক মণ্ডল, ভরণ্ডা মধ্যপাড়া), বাংগুরু (ভরণ্ডা পূর্বপাড়া) ও ফাগুরাম বর্মণ (পিতা তারিনি কান্ত, ভরণ্ডা মধ্যপাড়া)। শহীদদের মধ্যে গঙ্গেশ ও বিনেশ ছিলেন সহদোর ভাই। ভারতে যাওয়ার সময় তারা সবাই বোচাগঞ্জ উপজেলার আনোড়া নামক স্থানে দালালদের হাতে ধরা পড়েন। পরে তাদের টাঙ্গন নদীর তীরে হত্যা করা হয়। [আজহারুল আজাদ জুয়েল]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড