ভবানীপুর যুদ্ধ (হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ)
ভবানীপুর যুদ্ধ (হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ) সংঘটিত হয় ২রা ডিসেম্বর হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৩নং তাহেরহুদা ইউনিয়নের অন্তর্গত হিন্দু অধ্যুষিত ভবানীপুর গ্রামে। এখানকার হিন্দু জমিদাররা মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই স্থানীয় রাজাকাররা গ্রামটিতে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা করে আসছিল। ২রা ডিসেম্বর ভোর ৫:৩০টার দিকে বিহারি, পাকসেনা ও মুসলিম লীগ-এর কর্মীদের নিয়ে তারা দুটি ট্রাকে করে গ্রামে প্রবেশ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারীদের ধর্ষণ করা। এটা টের পেয়ে স্থানীয় জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে তাদের বাধা দেয়। ফলে উভয় পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে৷ স্থানীয় ছয়জন ব্যক্তিও নিজস্ব বন্দুক নিয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ফজলুর রহমান নামে একজন সাহসী গ্রামবাসী ধারাল দা দিয়ে হানাদারদের ট্রাকের টায়ার কেটে দেন। যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন, একজন ডাক্তার ও ৩৯ জন সৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে ঝিনাইদহ সদরের দুজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দীন ও তাজ উদ্দীন শহীদ হন। [জামাল উদ্দিন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড