You dont have javascript enabled! Please enable it!

ভবেরচর গণহত্যা (গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ)

ভবেরচর গণহত্যা (গজারিয়া, মুন্সিগঞ্জ) সংঘটিত হয় ৬ই ডিসেম্বর। এতে ১১ জন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা নির্মম হত্যার শিকার হন।
মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ভবেরচর অবস্থিত। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্রিজগুলো ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার কাঠের সেতু ধ্বংসের সিদ্ধান্ত হয়। এ সেতুটি ধ্বংসে ১১ জন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জনই ছিলেন স্কুলছাত্র। ৬ই ডিসেম্বর বেলা ১১ ঘটিকায় সেতুটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করলে হঠাৎ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একটি জিপযোগে সেখানে আসে। হানাদারদের দেখে কিশোররা ভয়ে পালিয়ে গিয়ে পাশের কবরস্থানে আত্মগোপন করে। পাকবাহিনী গুলি করতে- করতে কবরস্থানে ঢুকে কিশোরদের খুঁজে বের করে কাউকে গুলি করে, কাউকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে হত্যা করে। এদিন যাঁরা শহীদ হন, তাঁরা হলেন- মতিউর রহমান জাহাঙ্গীর (পিতা সোলাইমান মাস্টার), নূর মোহাম্মদ বেপারী (পিতা ইউনুস বেপারী), নূরুল ইসলাম (পিতা তমিজ উদ্দিন বেপারী), গোলাম হোসেন (পিতা লফতে আলী), আবদুল আউয়াল (পিতা আবদুর রহমান সরকার), শাহাদত হোসেন (পিতা আমজাদ হোসেন), শাহজালাল মৃধা (পিতা আশ্রাফ আলী মৃধা), রুহুল আমীন সরকার (পিতা মফিজ উদ্দিন সরকার), উমেশচন্দ্র মালি (পিতা সতীশচন্দ্র মালি), হরিপদ ঠাকুর (পিতা রায়মোহন ঠাকুর) ও ইসমাইল হোসেন সরকার (পিতা আনসব আলী সরকার)। [শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!