ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় বধ্যভূমি (ময়মনসিংহ সদর)
ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় বধ্যভূমি (ময়মনসিংহ সদর) হলো কয়েকটি বধ্যভূমির একত্রিত নাম। ময়মনসিংহ শহর সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বেশ কয়েকটি বধ্যভূমি রয়েছে। এগুলোকে একত্রে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় বধ্যভূমি বলা হয়। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাউন্ডিং কমিটি ও সেক্টর কমান্ডার ফোরামস-৭১ সেনাবাহিনীর সহায়তায় একটি জরিপের মধ্য দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ৩টি স্থানকে বধ্যভূমি হিসেবে চিহ্নিত করে। সেগুলো হলো- সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন বধ্যভূমি, ময়মনসিংহ ডাকবাংলো বধ্যভূমি – এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রেস্ট হাউজ সংলগ্ন বধ্যভূমি। সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন বধ্যভূমিতে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ঘোষণা দিয়ে মানুষ হত্যার কার্যক্রম শুরু করে। মার্শাল-ল- এডমিনিস্ট্রেটর সেক্টর ৭-এর প্রধান লে. কর্নেল আমীর মোহাম্মদ খান সার্কিট হাউজের একটি অংশে মানুষ হত্যার জন্য বিচারের নামে মৃত্যুদণ্ডের হুকুম দিত। মৃত্যুদণ্ড দিয়ে হত্যা করা অনেকের লাশ নদের পাড়ে পড়ে থাকত। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকহানাদার বাহিনীর ৯৩ ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার আব্দুল কাদির খান জিজ্ঞাসাবাদের পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের হত্যা করে নদের জলে ভাসিয়ে দিত। সার্কিট হাউজ থেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নদের পাড়ে প্রায় ৫ কিলোমিটির জায়গার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মানুষের লাশ তখন দেখা যেত। [বিমল পাল]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড