মুক্তিযুদ্ধে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ভূমিকা
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একটি জাতি-জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত। পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের ওপর শুরু থেকেই ঔপনিবেশিক ধাঁচের শাসন-শোষণ ও জাতি-নিপীড়ন চালিয়ে আসছিল। এরূপ জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার বা জাতীয় মুক্তি লাভ ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার সঙ্গে ছিল সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ। উপরন্তু বাঙালিদের পক্ষে ছিল ১৯৭০ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট। ঐ নির্বাচনে বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ- পাকিস্তান জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে (৩১৩টির মধ্যে ১৬৭টি) বিজয়ী হয়। নির্বাচনের রায় অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করে। আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করে ৭১-এর ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমনি এক পটভূমিতে ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় বাঙালির ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ দেশের ভোগৌলিক সীমারেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। দ্রুত তা আন্তর্জাতিক রূপ বা মাত্রা পরিগ্রহ করে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও চতুর্দিকে ধ্বংস এবং সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাদের আক্রমণের বিশেষ টার্গেট হওয়ার কারণে দেশের অভ্যন্তরে টিকে থাকা সম্ভব না হওয়ায় দলে-দলে দেশ ত্যাগ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটি বাঙালি ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন রাজ্যের শরণার্থী শিবির-এ আশ্রয় গ্রহণ করে। এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রী সরবরাহসহ তাদের রক্ষণাবেক্ষণ তাদের আশ্রয়দাতা শুধু ভারতের জন্য নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্যও একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। জুন- জুলাই মাসে শরণার্থী শিবিরসমূহে প্রথমে মহামারী আকারে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘটে এবং তাতে শতশত নারী-শিশু-বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। কলেরার পর দেখা দেয় প্রবল বন্যা ও বৃষ্টি এবং শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া। বিশ্বমানবতার জন্য সৃষ্টি হয় এক বিপর্যয়কর অবস্থা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির পাশাপাশি শরণার্থী শিবিরে আশ্রিতদের প্রাণহানি ও দুর্বিষহ জীবনের করুণ কাহিনি বিবিসি সহ অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেল এবং লন্ডনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ দৈনিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে স্থান পায়, যা বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। উল্লিখিত এসকল কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিশ্ব সম্প্রদায়ের গভীর সহানুভূতি ও সমর্থন লাভ করে। এমনি অবস্থায় আর্ত- মানবতার সেবায় নিবেদিত বিশেষ করে লন্ডনভিত্তিক একাধিক বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ভারতে আশ্রয় নেয়া বাঙালি শরণার্থীদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে। তাদের মধ্যে Oxfam, War on Want, Save the Children Fund, Christian Aid, Action Bangladesh ইত্যাদির নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তানের সমুদ্র উপকূলবর্তী দক্ষিণ অঞ্চলে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ৫ লক্ষাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটে। সে-সময় উল্লিখিত বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনেকে বিপন্ন মানুষজনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে এগিয়ে আসে। সমন্বিত ত্রাণ সামগ্রী পরিচালনার স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের সময় এসব সংগঠন ‘ডিজাস্টার ইমারজেন্সি কমিটি’ নামে তাদের পূর্বে গঠিত কনসোর্টিয়াম পুনঃসক্রিয় করে। তারা ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া বিপুল সংখ্যক বিপন্ন মানুষের মধ্যে খাদ্য, ঔষধ, কম্বল, দিয়াশলাই, বিশুদ্ধ পানি, তাবু ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করে। সাহায্যের আবেদন জানিয়ে তারা ব্রিটেনের নামকরা পত্রিকায় বিশেষ এডভার্টাইজমেন্ট প্রকাশ করে।
ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শরণার্থী সমস্যা ছিল মানবসৃষ্ট। এর মূলে ছিল রাজনীতি। অতএব গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক সমাধান ব্যতীত যে শরণার্থীদের দেশে প্রত্যাবর্তন ও সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়, সে বিষয়টি অন্যান্যদের সঙ্গে বেসরকারি সাহায্য সংস্থার প্রধানগণ ও যথার্থভাবে উপলব্ধি করেন। তাই ত্রাণ-তৎপরতামূলক সচরাচর কার্যক্রম থেকে অনেকটা সরে এসে ঐসব সংগঠন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করতে থাকে। সে লক্ষ্যে অক্সফাম এক পর্যায়ে সংঘবদ্ধ প্রচার কার্যক্রম গ্রহণ করে। অক্সফামের উদ্যোগে অক্টোবর মাসে মাদার তেরেসা, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জন স্টোনহাউজ, পার্লামেন্ট সদস্য পিটার শোর, ব্রুস ডগলাসম্যান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ডেভিড লোশাক, এন্থনি মাসকারেনহাস, ক্লায়ার হলিংওয়ার্থ, এলান হার্ট ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ মোট ৬০ জনের বক্তব্য সম্বলিত বাংলাদেশের শরণার্থীদের অবস্থা ও রাজনৈতিক সংকটের বিষয় তুলে ধরে টেস্টিমনি অব সিক্সটি – শিরোনামে একটি প্রচারপত্র প্রকাশ ও তা বহুল প্রচারের ব্যবস্থা করে। অক্সফামের পরিচালক H L Kirkley, War on Want-এর পরিচালক Donald Chesworth প্রমুখ ব্রিটিশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পার্লামেন্ট সদস্য, টেলিভিশন চ্যানেল ও প্রভাবশালী পত্র-পত্রিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রশ্নে সাক্ষাৎ করে এর স্থায়ী সমাধানের উপায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
বেসকারি সাহায্য সংস্থার মধ্যে Action Bangladesh- এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০শে এপ্রিল ব্রিটেনের কতিপয় শিক্ষিত, উৎসাহী ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্নতরুণ-তরুণীদের নিয়ে Peace News, Peace Pledge Union, The Young Liberals ইত্যাদিসহ সমমনা মোট ৭টি সংগঠনের সম্বয়ে Action Bangladesh নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন ৩০ বছর বয়স্ক ব্রিটিশ শিক্ষক পল কনেট, তাঁর মার্কিন স্ত্রী এলেন কনেট (২৮) এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের স্নাতকোত্তর মেরিয়েটা প্রকোপ। লন্ডন শহরের ক্যামডেন টাউনে অবস্থিত তাঁর বাসাটি ছিল এ প্রতিষ্ঠানের অফিস। তিনি ছিলেন সংগঠনের কার্যে নিবেদিতপ্রাণ। উল্লেখ্য, ঐ সময় মেরিয়েটার এক বাঙালি বয়ফ্রেন্ড ছিল।
পাকিস্তানি সৈন্যদের পূর্ব বাংলা থেকে সরে আসা এবং পূর্ব বাংলার ভেতরে বাস্তুচ্যুত ও বিপন্ন মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ছিল তাঁদের আশু লক্ষ্য। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য ধার্যকৃত নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা প্রভাবশালী দৈনিকে পূর্ণ পৃষ্ঠাজুড়ে ‘Pakistan… This Is The Moment To Show That Man Is More Than “An Internal Problem””, শিরোনামে প্রচারপত্র প্রকাশ করেন। তাতে ব্রিটিশ জনগণের উদ্দেশে তাদের স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকার এমপিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, বাংলাদেশ প্রশ্নে তাদের নিজস্ব আবেগ-অনুভূতি ব্যক্ত এবং পাকিস্তানকে কোনোরূপ সাহায্য না দেয়া বা বিদ্যমান সাহায্য বন্ধ করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য Action Bangladesh-এর পক্ষ থেকে জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
জুন মাসে প্যারিসে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান এইড কনসোর্টিয়াম-এর সভাকালে Action Bangladesh কনসোর্টিয়ামভুক্ত দেশসমূহের লন্ডন মিশনের সম্মুখে ‘নো এইড টু পাকিস্তান’ ব্যানারসহ বিক্ষোভের আয়োজন করে। বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ ও পাকিস্তান এইড কনসোর্টিয়ামভুক্ত দেশসমূহের ওপর চাপ প্রয়োগের লক্ষ্যে জুন মাস থেকে কয়েকবার Action Bangladesh পূর্ব বাংলার অবরুদ্ধ মানুষের জন্য বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে Operation Omega নামে ভারতের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্বেচ্ছাসেবী টিম প্রেরণ করে।
১লা আগস্ট Action Bangladesh লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে সমগ্র ব্রিটেন থেকে কমপক্ষে ২০ হাজার লোকের উপস্থিতিতে এক বিরাট জনসমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে প্রবাসী বাঙালিরা ছাড়াও অনেক ইংরেজ উপস্থিত ছিলেন। এতে Action Bangladesh-এর প্রধান পল কনেট ছাড়াও বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য জন স্টোনহাউজ, পিটার শোর, ব্রুস ডগলাস-ম্যান, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ফেনার ব্রুকওয়ে, লর্ড শিফার্ড প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, এ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্তব্যরত বাঙালি সেকেন্ড সেক্রেটারি মহিউদ্দীন আহমেদ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পূর্ণ সম্পর্কছেদ করে স্বাধীন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সরকার-এর প্রতি তাঁর আনুগত্য ঘোষণা করেন। সমাবেশ শেষে Operation Omega-র একটি টিম বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করে।
অক্টোবর মাসে পাকিস্তান সরকারের কোনোরূপ পূর্বানুমতি না নিয়ে এরূপ একটি টিমের সদস্য মিসেস এলেন কনেট ও গর্ডন স্লাভেন নামে অপর এক ওমেগা কর্মী যশোর সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানিদের দখলকৃত এলাকায় প্রবেশ করলে পাকসেনারা তাদের গ্রেপ্তার করে যশোর ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে রাখে। ৭ই ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ভারতীয় মিত্রবাহিনীর হাতে যশোর শহরের পতন ঘটলে ঐ দুই বন্দি মুক্তি লাভ করেন। অপারেশন ওমেগার এসব তৎপরতা সে-সময় গুরুত্বসহকারে প্রচার মাধ্যমে স্থান পায়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মেজর খালেদ মোশাররফের ২নং সেক্টরের মেলাঘরস্থ হেডকোয়ার্টার্সের নিকটবর্তী মতিনগরে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার্থে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল- প্রতিষ্ঠিত হলে লন্ডন থেকে ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী ও ডা. এম এ মবিন এসে এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্ৰ৷
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং বাঙালিদের কাছে গ্রহণযোগ্য বাংলাদেশ সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের ক্ষেত্রে বিশ্ব জনমত গঠনে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক বেসরকারি সাহায্য সংস্থার উপস্থিতি ও প্রতিষ্ঠার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের সক্রিয় ভূমিকার একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। [হারুন-অর-রশিদ]
তথ্যসূত্র: হারুন-অর-রশিদ, ‘British perspectives, pressures and publicity regarding Bangladesh, 1971′, Contemporary South Asia 1995, 4 (2), 139-149; আবু সাঈদ চৌধুরী, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি, ঢাকা, ইউপিএল ২০১২
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড