You dont have javascript enabled! Please enable it! বোড়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বধ্যভূমি (ডোমার, নীলফামারী) - সংগ্রামের নোটবুক

বোড়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বধ্যভূমি (ডোমার, নীলফামারী)

বোড়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বধ্যভূমি (ডোমার, নীলফামারী) নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার পশ্চিম বোড়াগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে অবস্থিত। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে -আলবদর, -আলশামস ও রাজাকারদের সহযোগিতায় এখানে হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। এখানে একদিন পাকসেনারা ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং দুজন ধর্ষিত নারীকে হত্যা করে নিরাপত্তা চৌকির নিকট ছাতিম গাছের নিচে পুঁতে রাখে। পাকবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস এ বধ্যভূমিতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন ধরে এনে হত্যা করে।
মুক্তিযুদ্ধকালে ডোমারের রাজাকার ও দালালদের মধ্যে নেতৃস্থানীয় ছিল— আব্দুল হাকিম, কাদের বক্স, আজিম উদ্দিন দেওয়ানী, বুদাউ দেওয়ানী, আলিয়ার রহমান, সালাউদ্দিন আহমদ, হবিবর রহমান চৌধুরী, মজির উদ্দিন মুন্সি, মকলেছ রাজাকার, মোফাজ, রুহুল, মনছুর, আইজুল, ফজলু-১, কাছু, আনসার আলী, অপলি হোসেন, আজগার, ফুলু, ফজলু-২, হবি, আলাউদ্দিন, জমির খান, মহাসিন প্রমুখ। তবে পাকসেনাদের সহযোগিতায় সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিল থানার দারোগা হবিবর রহমান চৌধুরী। এছাড়াও হকিক খান, সুলতান বিহারি, আলাউদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে তৎপর ছিল। ডোমার থানা আলবদর বাহিনীর প্রধান কাজী বিজিজুল কাদের বাবলু (পিতা কাজী আব্দুল লতিফ) বর্তমানে ডোমার থানার জামায়াতে ইসলামী-র রোকন। রাজাকাররা এলাকার কে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছে, কারা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ইত্যাদি খবর পাকবাহিনীকে দিত। তাদের সহযোগিতায় পাকসেনারা ঐসব পরিবারের লোকজনদের ধরে এনে বধ্যভূমিতে হত্যা করত। পাকসেনারা তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় ঘরে-ঘরে হানা দিয়ে নারীদের তুলে এনে ক্যাম্পে তাদের শ্লীলতাহানী করত। [আহম্মেদ শরীফ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড