বেলগাছা গণহত্যা (কুড়িগ্রাম সদর)
বেলগাছা গণহত্যা (কুড়িগ্রাম সদর) সংঘটিত হয় ১৪ই এপ্রিল। এতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
১৪ই এপ্রিল পাকসেনাদের একটি দল ট্রেনযোগে কুড়িগ্রাম শহরে প্রবেশ করে ব্যাপকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। এ প্রতিরোধের মুখে তারা বাধ্য হয়ে পিছু হটে। তারা কুড়িগ্রাম নতুন রেল স্টেশনে প্রবেশ করে আশপাশের গ্রামের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে এবং বেলগাছা গ্রামে গণহত্যা চালায়। বেলগাছা গণহত্যায় তারা এখানকার জনপ্রিয় চিকিৎসক ডা. ছফর উদ্দিন, আলহাজ সজর উদ্দিন, ফেইচকা হাজী, কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল লতিফ, পোয়াতু মামুদ, বরিজ উদ্দিন, ভোলানাথ, সাহাবুদ্দিন-সহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করে। ঐদিন তারা রংপুর ফিরে যাবার পথে বড়পুল এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়ে পার্শ্বর্তী ইটভাটায় আশ্রয় নেয়। ঐ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল, আমজাদ হোসেন সহ ৬ জন শহীদ হন, অপরদিকে বিপুল সংখ্যক পাকসেনা নিহত হয়। ঐদিন সন্ধ্যার পর ডা. ছফর উদ্দিনসহ বেলগাছায় গণহত্যার শহীদদের ফেইচকা হাজীর বাড়ির পুকুর পাড়ের গণকবরে সমাহিত করা হয়। [এস এম আব্রাহাম লিংকন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড