You dont have javascript enabled! Please enable it!

বেতবুনিয়া গণহত্যা (মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট)

বেতবুনিয়া গণহত্যা (মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট) সংঘটিত হয় ৬ই মে। এতে ১৩৫ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন।
ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে চিংড়াখালী ইউনিয়ন শান্তি কমিটির সভাপতি আয়ুব আলী মাস্টার ও অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে পাকিস্তানি বাহিনী পিরোজপুর থেকে গানবোট নিয়ে বেতবুনিয়া গ্রামে যায়। সেখানে গিয়ে তারা ব্যাপক গণহত্যা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করে। ১৩৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে তারা গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ২৯ জন বেতবুনিয়া- চণ্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাকি ১০৬ জন ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে নিরাপদ স্থান মনে করে বেতবুনিয়ায় অবস্থান করছিল। স্থানীয় ২৯ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- দেবেন্দ্র নাথ হালদার (পিতা লালু হালদার), অনিল হালদার (পিতা সুরেন হালদার), ক্ষীরদ মণ্ডল (পিতা জিতেন্দ্র নাথ মণ্ডল), কেষ্টু শীল (পিতা নরেন শীল), জিতেন্দ্র নাথ মজুমদার (পিতা বসন্ত কুমার মজুমদার), দুলাল মজুমদার (পিতা ষষ্ঠীচরণ মজুমদার), দ্বিজেন্দ্র নাথ মজুমদার (পিতা অশ্বিনী কুমার মজুমদার), নির্মল মণ্ডল (পিতা সতীশ মণ্ডল), বিমল হালদার (পিতা দেবেন্দ্র নাথ হালদার), মো. আমরত খাঁ, মো. জাবেদ আলী খান, রাজেন্দ্রনাথ ডাকুয়া (পিতা যজ্ঞেশ্বর ডাকুয়া), রূপচাঁদ শীল (পিতা দুর্গাচরণ শীল), লক্ষ্মী মিস্ত্রী (পিতা কৈলাশ মিস্ত্রী), শরৎ শীল, সতীশ মণ্ডল, সমীর শীল (পিতা গোপাল শীল), শুকচাঁদ শীল (পিতা নিমচাঁদ শীল), সুবোধ বিশ্বাস, দেবেন হালদার (পিতা লালু হালদার), ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার (পিতা অশ্বিনী কুমার মজুমদার), যোগেন্দ্রনাথ ডাকুয়া (পিতা যজ্ঞেশ্বর ডাকুয়া), উপেন হালদার, সূর্য মাঝি, ধীরেন মাঝি, সুধীর হালদার, পরেশ হালদার, হামেদ শেখ ও কার্তিক চন্দ্র বালা (পিতা নীরদ চন্দ্র বালা, রাজেশ্বর)। [শেখ মশিউর রহমান]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!