বিহারিপাড়া গণহত্যা (পুঠিয়া, রাজশাহী)
বিহারিপাড়া গণহত্যা (পুঠিয়া, রাজশাহী) সংঘটিত হয় ১৪ই এপ্রিল। এতে ১২ জন গ্রামবাসী শহীদ হন। ১২ই এপ্রিল পাকসেনারা বিড়ালদহ প্রাইমারি স্কুল, সৈয়দ করম আলি মাদ্রাসা ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আওয়ালের বাড়িতে অবস্থান নেয়। ১৩ই এপ্রিল সকালে তারা বিহারিপাড়ায় গিয়ে ১২ জনকে ধরে আনে। ধৃত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনই বিহারিপাড়ার বাসিন্দা। আর ১ জনের বাড়ি ছিল ময়মনসিংহ জেলায়। পাকসেনারা ধৃতদের সারাদিন দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে, আর রাতে তাদের দিয়ে রান্না করায়। পরদিন ১৪ই এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে তাদের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর বিকেলে তারা রাজশাহী চলে যায়। এলাকার মানুষ ফিরে এসে একই গর্তে ১২ জনকে গণকবর দেয়। স্থানটি প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত।
বিহারিপাড়া গণহত্যায় শহীদরা হলেন- মো. এসার উদ্দিন (পিতা মো. ফকির প্রামাণিক), মো. রুস্তম আলি (পিতা আব্দুর রহমান মোল্লা), মো. খোদা বক্স প্রামাণিক (পিতা মো. খানু প্রমাণিক), মো. হোসেন আলি (পিতা মো. ইদু মোল্লা), ফকির ওরফে আলাউদ্দিন (পিতা হোসেন আলি), মো. রুস্তম আলি (পিতা মো. রহিম উদ্দিন), রজব আলি (পিতা বস্তি শেখ), আ. লতিফ (পিতা সিরাজুল হক), ইসমাইল হক (পিতা নুরুল হক), আশেক আলি (পিতা খোদা বক্স), মো. রমজান মোল্লা (পিতা মো. বরাত মোল্লা) এবং মো. ওমর আলি (পিতা আশেক আলি, ময়মনসিংহ)। [মো. ইলিয়াছ উদ্দিন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড