বিরামপুর ভৈরব নদীর তীর বধ্যভূমি (যশোর সদর)
বিরামপুর ভৈরব নদীর তীর বধ্যভূমি (যশোর সদর) যশোর সদর উপজেলায় অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানে অসংখ্য লোককে হত্যা করা হয়।
যশোর সদর থেকে ৩ কিলোমিটর উত্তরে ভৈরব নদীর তীরে বিরামপুর গ্রাম অবস্থিত। এখানে নদীতীর ঘেঁষে ৬ বিঘা জমির ওপর একটি বাড়ি রয়েছে। বাড়ির মালিক চিরকুমার কার্তিক চন্দ্র। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথম দিকেই তিনি ভারতে চলে যান। এদিকে যশোর নিউ মার্কেট এলাকায় পাকিস্তানপন্থী আহমদ বিহারি তার অনুগামীদের নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করে। তাদের কাজ ছিল বিভিন্ন স্থান থেকে বাঙালিদের ধরে এনে কার্তিক চন্দ্রের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে তাদের হত্যা করা। দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর কার্তিক চন্দ্র বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন সারা বাড়ি মানুষের মাথা, হাড়গোড়, কঙ্কাল ও ছেঁড়া কাপড়ে ভরা। সেসব সংগ্রহ করে তিনি মাটিচাপা দেন। বাড়ির একটি কুয়ার মধ্যে বিহারিরা মানুষকে হত্যা করে লাশ ফেলে দিত। সেখান থেকে ১০টি মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। কয়েকজন বিদেশী সাংবাদিক তার বাড়িতে বধ্যভূমি দেখতে আসেন। [মহসিন হোসাইন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড