You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাসাইল থানা অভিযান (বাসাইল, টাঙ্গাইল)

বাসাইল থানা অভিযান (বাসাইল, টাঙ্গাইল) পরিচালিত হয় ১৪ই জুন। এতে ১৭ জন পুলিশকে আটক এবং থানা থেকে ২২টি রাইফেল, ৬ হাজার গুলি ও নগদ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
১৪ই জুন ১৬৫ জন সহযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বীর উত্তম- বাসাইল থানা অভিযানে যান। প্রথমে পুরো দলটিকে তিনি তিন ভাগে ভাগ করে পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে থানা আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। পূর্বদিক থেকে আক্রমণের নেতৃত্ব দেন স্বয়ং কাদের সিদ্দিকী। পশ্চিম দিক থেকে নেতৃত্ব দেন খোরশেদ আলম তালুকদার, মোকাদ্দেস আলী ও সোহরাব আলী। দক্ষিণ দিকের দায়িত্বে থাকেন ফেরদৌস আলম রঞ্জু ও আবদুস সবুর খান। এ অভিযানে মুক্তিবাহিনী কোনো ধরনের রক্তপাত ছাড়াই থানার ভেতরে প্রবেশ করে ১৭ জন পুলিশকে আটক করে। থানা থেকে ২২টি রাইফেল, ছয় হাজার গুলি ও নগদ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ওসিসহ ১৬ জন পুলিশকে লঘু শাস্তি দিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়া হয়। তিনজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা ও আটটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি এবং তাদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে একজন দারোগাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ভোলা মিয়া ও মন্টু মিয়া নামে বাসাইলের দুই বিত্তশালী দালালকে থানায় ধরে এনে বেত্রাঘাত করা হয়। এর কিছুদিন পর পাকবাহিনী বাসাইল থানায় তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে। ২১শে নভেম্বর আবার মুক্তিবাহিনী থানা আক্রমণ করে তা দখল করে নেয়। [শফিউদ্দিন তালুকদার]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!