বাহাম হত্যাকাণ্ড (মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা)
বাহাম হত্যাকাণ্ড (মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা) সংঘটিত হয় জুলাই মাসে। এতে ২ জন গুলিতে নিহত ও ৩ জন মারাত্মকভাবে আহত হন। এরা সবাই ছিলেন নিরীহ সাধারণ মানুষ।
জুলাই মাসে পাকসেনারা নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়নের বাহাম গ্রামের সৈয়দ আলীর বাড়ি থেকে ৫ জনকে ধরে নিয়ে যায়। তারা হলেন- আব্দুন নূর চৌধুরী ওরফে আবু মিয়া (পিতা আব্দুল মোতালিব, বাখরপুর ধর্মপাশা উপজেলা, সুনামগঞ্জ জেলা), শওকত আলী (পিতা আব্দুর রহিম), নূরুল আমিন চৌধুরী (পিতা আব্বাছ আলী চৌধুরী), আব্দুস সাত্তার (পিতা আসক আলী) ও শুক্কুর আলী (পিতা সাদত আলী)। এরা ছিলেন পরস্পরের আত্মীয়। আত্মীয়তার সুবাদে তারা সৈয়দ আলীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ভেবে রাজাকারদালালদের ইঙ্গিতে পাকসেনারা তাদের ধরে নিয়ে যায়। এরপর মোহনগঞ্জ সদর হাসপাতাল সড়কে কৃষি বিভাগের কীটনাশক রাখার একটি ঘরে নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের পর দৌলতপুর শ্মশানঘাটের কাছে কংস নদীতে নামিয়ে পেছন থেকে তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আব্দুন নূর চৌধুরী ও শওকত আলী ঘটনাস্থলে নিহত হন। নূরুল আমিন চৌধুরী, শুক্কুর আলী ও আব্দুস সাত্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। আহত ৩ জন নদী সাঁতরে সিংধার বাঁক পর্যন্ত গেলে সিংধা গ্রামের সিরাজ উদ্দিন মাস্টারের বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক সেবা দেন। [সঞ্জয় সরকার]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৭ম খণ্ড