বামুনিয়া যুদ্ধ (বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও)
বামুনিয়া যুদ্ধ (বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও) সংঘটিত হয় ৩রা সেপ্টেম্বর। বালিয়াডাঙ্গী থানা সদর
থেকে বামুনিয়া গ্রামের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। পাকসেনা ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে পরিচালিত মুক্তিযোদ্ধাদের এ-যুদ্ধে ১ জন অফিসারসহ ১৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। কোকরাদহ (পশ্চিমবঙ্গ) ক্যাম্পের যৌথবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সুভাষের নির্দেশে সীমান্ত অতিক্রম করে মুক্তিযোদ্ধারা এ-যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের অনেকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহীর ইপিআর সদস্য ছিলেন।
লাহিড়ী হাট ক্যাম্প থেকে পাকসেনারা বালিয়াডাঙ্গী যাওয়ার সময় বামুনিয়ার ফাঁসিদহে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ করলে তানিম হোসেনের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর ওপর তীব্র গুলিবর্ষণ করেন। এতে ঘটনাস্থলে ১ জন অফিসারসহ ১৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। এক পর্যায়ে পাকসেনারা পিছু হটে এবং ক্যাম্পে পালিয়ে যায়। [মো. ওসমান গনি ও মো. আব্দুল ওয়াহাব]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড