You dont have javascript enabled! Please enable it!

বামরাইল যুদ্ধ (উজিরপুর, বরিশাল)

বামরাইল যুদ্ধ (উজিরপুর, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১০ই নভেম্বর। এতে কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য হতাহত হয় এবং ২০ জন পুলিশ ও রাজাকার ধরা পড়ে।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে উজিরপুর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিমি উত্তরে অবস্থিত বামরাইল হাইস্কুলে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। এ মহাসড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য বামরাইল হাইস্কুলের দক্ষিণ পাশে ক্যাম্প স্থাপন করে পাকিস্তানি বাহিনী, পুলিশ ও রাজাকাররা সতর্ক প্রহরায় থাকত। এখান থেকে তারা পার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহে নির্যাতন, লুণ্ঠন এবং অগ্নিসংযোগ করত। ক্যাম্পটি তারা নির্যাতনকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করত। এ ক্যাম্পে কয়েকজন নারী নির্যাতনের শিকার হন। কমান্ডার আবদুল ওয়াদুদ সরদারের নেতৃত্বে নুরু কমান্ডার, রত্তন আলী শরীফ, আ ন ম আবদুল হাকিমসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ১০ই নভেম্বর এ ক্যাম্প আক্রমণ করেন। ১০ই নভেম্বর থেকে ১২ই নভেম্বর পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলে। যুদ্ধে কয়েকজন পাকিস্তানি সৈন্য হতাহত হয় এবং ২০ জন পুলিশ ও রাজাকার ধরা পড়ে। কয়েকজন পাকসেনাকে গ্রামবাসী ধরে পিটিয়ে হত্যা করে। নারী নির্যাতনকারী হিসেবে পরিচিত একজন পাকিস্তানি পাঠান সুবেদারকে জনগণ গলায় রশি লাগিয়ে রাস্তায় ঘুরিয়ে হত্যা করে। ধৃত রাজাকারদের কয়েকজনকে আ ন ম আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ধামুরা ব্রিজের ওপর হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেন। যুদ্ধে বেশকিছু অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। [মনিরুজ্জামান শাহীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!