বানীগ্রাম যুদ্ধ (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম)
বানীগ্রাম যুদ্ধ (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম) সংঘটিত হয় ৬ই অক্টোবর। এতে ৩ জন পাকিস্তানি সৈন্য আহত হয়। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে ৪ঠা এপ্রিল বানীগ্রামের সুশীল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ৮০ জনের একটি প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠিত হয়। এর গ্রুপ লিডার ছিলেন রণজিৎ রঞ্জন চৌধুরী, সুভাষ চন্দ্র আচার্য, বিধান চন্দ্র দে, স্বপন কুমার ভট্টাচার্য ও মানবেন্দ্র মিত্র চৌধুরী। ২৫শে মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার পর দূর-দূরান্তের অনেক মানুষ বানীগ্রামে এসে আশ্রয় নেয়। এ কারণে বাণীগ্রাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের টার্গেটে পরিণত হয়।
৬ই অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে হানাদার বাহিনীর একটি গ্রুপ রাজাকারআলবদরদের সহযোগিতায় বাণীগ্রামের পূর্বদিকে গভীর অরণ্যে গড়ে তোলা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প আক্রমণ করতে অগ্রসর হয়। পথিমধ্যে মোহাম্মদ হাসেম ও খোন্দকার ছমিউদ্দীনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ পাহাড়ি ঝোপ-ঝাড়ের আড়ালে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়। এতে ৩ জন পাকিস্তানি সৈন্য আহত হয়। তাদের নিয়ে বাকি পাকসেনারা পিছু হটে। এখানে মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। [জগন্নাথ বড়ুয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড