You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযুদ্ধে বান্দরবান সদর উপজেলা

বান্দরবান সদর উপজেলা বিশেষ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। ১৯২৩ সালে এটি সদর থানার স্বীকৃতি পায়। এ থানায় রয়েছে অনেক পাহাড়, পাহাড়ি ঝর্ণা এবং নদী ও খাল। মারমিয়ানা তাং ও বথিল তাং এ উপজেলার উল্লেখযোগ্য পাহাড়। বান্দরবান সদরের বিশেষ প্রাকৃতিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যের কারণে ১৯৭১ সালে এখানকার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের গতি-প্রকৃতিও অনেকটা ভিন্ন ধরনের ছিল।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সামরিক জান্তা আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ-এর পর সারাদেশের মতো বান্দরবানের সর্বস্তরের মানুষও সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে। ২৫শে মার্চ পাকবাহিনী নিরীহ বাঙালিদের ওপর নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ আরম্ভ করে। ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সারাদেশের মতো বান্দরবানেও শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় গোপনে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ শুরু হয়। বান্দরবনের মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ-কেউ ভারতের জারুলছড়ি ও দেমাগ্রী ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তবে পরে বেশিরভাগ বান্দরবানের নিকটবর্তী ধোপাছড়ি ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নেন। এখানে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোখলেসুর রহমান ও অন্যরা ২০-২৫ জন ছাত্র-যুবককে স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ দেন। এ ক্যাম্পে প্রশিক্ষক ছিলেন সেনাবাহিনীর অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের হাবিলদার আবু ইসলাম, জেড ফোর্সের আবু তাহের, হাবিলদার জাফর আহম্মদ এবং ইপিআর ও আনসার সদস্যরা।
বান্দরবানে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠকদের মধ্যে ছিলেন মোখলেসুর রহমান চৌধুরী (পিতা উকিল ছিদ্দিক আহম্মেদ চৌধুরী, বান্দরবান), মো. শফিকুর রহমান (পিতা চুন্নু মিয়া, বান্দরবান; বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য), আব্দুল ওহাব (পিতা আলী মিয়া কবিরাজ, বান্দরবান; অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব), শামসুর রহমান (বান্দরবান; সাবেক সভাপতি, মহকুমা আওয়ামী লীগ), মাহাবুবুর রহমান (বান্দরবান; সাবেক মহকুমা আওয়ামী লীগ নেতা), ইপিআর সদস্য মোহাম্মদ আবু ইসলাম প্রমুখ। বান্দরবান সদরে মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন মোখলেসুর রহমান চৌধুরী। গেরিলা কমান্ডার ছিলেন আব্দুল ওহাব ও আবু ইসলাম।
বান্দরবান সদর থানায় স্থানীয় বিশেষ কোনো বাহিনী ছিল না। তবে মুক্তিবাহিনীর প্রধান ও অন্য কমান্ডারদের নেতৃত্বে বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দল বা বাহিনী ছিল। যেমন হাবিলদার জাফর আহম্মদের নেতৃত্বে ১০০ জনের একটি দল, হাবিলদার আবু ইসলাম ও গেরিলা কমান্ডার আবদুল ওহাবের নেতৃত্বে ১০০ জনের অপর একটি দল ইত্যাদি।
পাকহানাদার সৈন্যরা এপ্রিল মাসে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও দোহাজারী হয়ে বান্দরবান সদরে আসে। তারা প্রথমদিকে মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক অপারেশনের মুখোমুখি হয়। তবে তা উপেক্ষা করে তারা বান্দরবান সদরে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। বান্দরবান সদর উপজেলায় পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের প্রতিরোধে সেলিম আহম্মেদ চৌধুরী (পিতা আবুল খায়ের, ছিদ্দিকী নগর), মং শৈ হ্লা (পিতা মং সুইচা, মধ্যমপাড়া, রাজবাড়ি), কবির আহামদ (পিতা ফজলুর রহমান, মেম্বারপাড়া), মনির আহামদ (পিতা দুদু মিয়া, হাফেজ ঘোনা), সুবল চন্দ্র মুহুরী (পিতা রবীন্দ্র লাল মুহুরী, নোয়াপাড়া), মো. হোসেন চৌধুরী (পিতা মনিরুজ্জামান চৌধুরী, ধোপা পুকুরের পশ্চিমপাড়), সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার (পিতা ব্রজ মোহন মজুমদার, মধ্যমপাড়া), সুশীল বড়ুয়া (পিতা দীপক রঞ্জন বড়ুয়া, বান্দরবান সদর), সত্য রঞ্জন মল্লিক (পিতা ধীরেন্দ্র মল্লিক, বনরূপা পাড়া), চিত্ত রঞ্জন মল্লিক (পিতা ধীরেন্দ্র মল্লিক, বান্দরবান), লিয়ানপুম বম (সেনাবাহিনীর সদস্য, পিতা সালহার বম, উজানীপাড়া), সুবেদার মেজর (অব.) মং সিনু (পিতা খেবু মাস্টার, উজানী পাড়া), সাধন বড়ুয়া (পিতা বীরেন্দ্র লাল বড়ুয়া, কুহালং), উ ক্য চিং, বীর বিক্রম, (ইপিআর সদস্য, পিতা বাই স্যু উ মারমা, উজানীপাড়া), মনোরঞ্জন বড়ুয়া, (পিতা যোগিষ্ট বড়ুয়া, বটতলী কুহালং), সুবেদার ২টি এম আলী (সাবেক সেনা সদস্য, গ্রাম শুরমান ঘাঁটি, যশোর; অবাঙালি, তবে তাঁর স্ত্রী ছিলেন বাঙালি), উদয় সেন তনচঙ্গ্যা (পিতা নগেন্দ্ৰ তনচঙ্গ্যা, গণেশ পাড়া), সাখ্যাই অং (পিতা ম্রাসা থোয়াই, উজানীপাড়া), নায়েক ছানু অং (পিতা ফয়া, উজানীপাড়া), শাকিয়াং অং (পিতা মারাশা বোয়া, উজানীপাড়া), সুকুমার বড়ুয়া (পিতা উপেন্দ্র লাল বড়ুয়া, কুহালং প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এপ্রিলে পাকবাহিনী বান্দরবানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জেলা পরিষদের রেস্টহাউজ ভবনে ক্যাম্প স্থাপন করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজেও তাদের ক্যাম্প ছিল। এসব ক্যাম্প থেকে তারা মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের বিরুদ্ধে নানা অপারেশন পরিচালনা করত।
বান্দরবানে পাকবাহিনীর সহযোগী হিসেবে অনেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। বান্দরবান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য বোমাং রাজা অংশৈ প্রু চৌধুরী (পিতা থোই অং প্রু চৌধুরী, বান্দরবান সদর, রাজবাড়ি) গভর্নর ডা. মালেকের মন্ত্রিসভায় খাদ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করে। তাকে চেয়ারম্যান (প্রধান) করে বান্দরবানে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। শান্তি কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিল- মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এ আর মাস্টার, টুং নুই প্রু, আ. হোসাইন সওদাগর, কবির আহম্মদ সওদাগর, সাই থোয়াই প্রু, আব্দুস সালাম সওদাগর, এম এস প্রু, শো হা প্রু, বজলুর রশীদ, সা চিং প্রু, হারুনুর রশীদ, মো. আয়ুব চৌধুরী, খ্যউ চৌ প্রু, থোয়াই সা জাই, মং চাই প্রু, সা শিউ প্রু (চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ), উ সা মং, ক্য চিং প্রু, ম্রা সা থোয়াই, চন্দন কুমার সোরকী, থেইন নিই মং, হাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং জামাল উদ্দীন। শান্তি কমিটির প্রধান কাজ ছিল এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের গতিবিধি লক্ষ করা, মুক্তিবাহিনীর খবর পাকবাহিনীকে প্রদান করা, হানাদারদের ক্যাম্পে রসদ যোগান দেয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজনকে অত্যাচার, নির্যাতন ও ভীতি প্রদর্শন করা। রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটি ছাড়া বান্দরবানে মিজো বাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ও পাকবাহিনীর পক্ষে অবস্থান নেয়।
পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ লোকজনকে হত্যা, নারীধর্ষণ, নির্যাতন, অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ নানা কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে। সেপ্টেম্বরে শান্তি কমিটির সদস্যরা বান্দরবানের কোর্ট দারোগা বিমল রায়ের বাড়ি লুণ্ঠন করে। বিমল রায় বাধা দিলে তারা তাকে ও তার পুত্র রতন রায়কে প্রথমে নির্মম নির্যাতন এবং পরে হত্যা করে। এছাড়া তারা সেদিন এলাকার আরো কয়েজনের বাড়িতে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্টহাউজে পাকবাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্র ও বন্দিশিবির ছিল। এখানে তারা মুক্তিযোদ্ধা এবং ছাত্র-যুবক ও নিরীহ নারী-পুরুষদের ধরে এনে তাদের ওপর নির্যাতন চালাত।
ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে গেরিলা কমান্ডার আবদুল ওহাবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধদের একটি দল বান্দরবানের সঙ্খ নদী দিয়ে নৌকায় করে রুমা হয়ে বান্দরবান সদরে আসছিল। এ দলে তিনজন ইপিআর সদস্য এবং কমান্ডার আব্দুল ওয়াব ছাড়া সত্য রঞ্জন মল্লিক, চিত্ত রঞ্জন মল্লিক, সাধন চন্দ্র দাশ প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা দলের ওপর আক্রমণ করার জন্য পাকবাহিনী, রাজাকার ও আলবদররা গোপনে নদীর তীরে অবস্থান নেয়। নৌকা বান্দরবানের ক্য চিং ঘাটার (মারমা ক্য চিং কারবারির নামে ক্য চিং ঘাটা নামকরণ করা হয়) কাছাকাছি এলে পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ করে গুলি করে। নৌকা উল্টে মুক্তিযোদ্ধারা পানিতে পড়ে যান। তীরে উঠে তাঁরা পাল্টা আক্রমণ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এতে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ক্য চিং ঘাটা যুদ্ধ-এ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৫ জন হলেন- সাখ্যাই অং (পিতা ভ্রাসা থোয়াই, উজানী পাড়া, ৫নং ওয়ার্ড, বান্দরবান পৌরসভা), উদয় সেন তনচঙ্গ্যা (পিতা নগেন্দ্র তনচঙ্গ্যা, গণেশপাড়া, বান্দরবান সদর), মোহাম্মদ ইদ্রিস (নোয়াখালী), শফি ও তাহের।
বান্দরবানের নিকটবর্তী এলাকা ধোপাছড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ছিল। রাজাকার মে অং মারমার পরামর্শে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা এ ক্যাম্পের ওপর আক্রমণ করে। পাকসেনা, মিলিশিয়া ও রাজাকাররা মিলে সংখ্যায় ৫০ থেকে ৬০ জন ছিল। ক্যাম্পে তখন দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাঁরাও পাল্টা আক্রমণ করলে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ হয়। টিকতে না পেরে হানাদাররা চেমি খাল ধরে বান্দরবান শহরে চলে যায়।
এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পরে রাজবিলা, কুহালং বন ও খালপথ এ তিন দিক থেকে শত্রুরা ধোপাছড়ি ক্যাম্পে আক্রমণ করে। এ আক্রমণের সময় হানাদাররা সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল। তাদের মর্টার ও গুলির মুখে টিকতে না পেরে মুক্তিযোদ্ধারা ধোপাছড়ি ক্যাম্প ছেড়ে পটিয়ার দিকে চলে যান। বান্দরবানের ধোপাছড়ির নোয়াপতং মৌজার কানাইজু পাড়ায় পাকবাহিনী ও মিজো বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সম্মুখ যুদ্ধ হয়। ডিসেম্বর মাসে সুবেদার টি এম আলীর নেতৃত্বে ১৪০ জন সদস্যের একটি মুক্তিযোদ্ধা দল বান্দরবানে আসে। এ দলে মংশৈ হ্লা চৌধুরী, কবির আহমদ, সুকুমার দাশ, আবু ইসলাম, হাবিলদার জাফর আহম্মদ প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। রাতে তাঁরা রাঘমারার কানাইজু পাড়ায় অবস্থান নেন। শীতের রাতে ক্লান্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ঘুমিয়ে পড়লে মিজো বাহিনী ও পাক মিলিশিয়ারা তাদের ঘিরে ফেলে ও আক্রমণ করে। টি এম আলী পজিশন নিয়ে শত্রুদের পাল্টা আক্রমণ করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নির্দেশ দেন। তিনি এগিয়ে একটি বড় গাছের গোড়ায় অবস্থান নিয়ে হানাদারদের বিরুদ্ধে গুলি ছুড়তে থাকেন। এ সময় শত্রুদের ছোড়া একটি মর্টার শেলের আঘাতে টি এম আলীর শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সেখানেই তিনি শহীদ হন। রাত ৪টার দিকে শত্রুরা সেখান থেকে চলে যায়। ভোরে কানাইজু পাড়ার মানুষের সহায়তায় শহীদ টি এম আলীকে সেখানে কবর দেয়া হয়। ১৪ই ডিসেম্বর বান্দরবান সদর উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হলেন- উ ক্য চিং, বীর বিক্রম পিতা বাই স্যু উ, উজানীপাড়া)। বান্দরবান সদর উপজেলার যে সব শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম জানা গেছে, তাঁরা হলেন- সুবেদার টি এম আলী (গ্রাম শুরমান ঘাঁটি, যশোর), উদয় সেন তনচঙ্গ্যা (পিতা নগেন্দ্ৰ তনচঙ্গ্যা, গণেশ পাড়া, বর্তমান সুয়ালক, বান্দরবান সদর), সাখ্যাই অং (পিতা ম্রাসা থোয়াই, উজানীপাড়া, বান্দরবান সদর) এবং মোহাম্মদ ইদ্রিস (বান্দরবান বাজার)।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে বান্দরবান বাসস্টেশন সংলগ্ন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। বান্দরবান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি সড়কের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউ কে চিং, বীর বিক্রমএর নামে করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর উনসত্তর ব্রিগেড কর্তৃক শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার টি এম আলীর নামে বান্দরবানের নোয়াপতং মৌজার কানাইজু পাড়ায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!