You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাঙ্গিলা গণহত্যা (গৌরনদী, বরিশাল)

বাঙ্গিলা গণহত্যা (গৌরনদী, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১৬ই মে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এ গণহত্যায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী শহীদ হন।
গৌরনদী উপজেলা সদর থেকে ৩ কিমি উত্তরে টরকী বন্দরের এক কিলোমিটার পশ্চিমে রামসিদ্ধি বাজারের পার্শ্ববর্তী গ্রাম বাঙ্গিলা। ১৬ই মে সকাল বেলা গৌরনদী ক্যাম্প থেকে একদল পাকিস্তানি সেনা স্থানীয় আহমেদ চৌকিদারকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদশী ইউনিয়নের জামাইর ব্রিজ পার হয়ে বাঙ্গিলা ভূঁইয়া বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন এবং গণহত্যা চালায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আগমনের খবরে ভূঁইয়া বাড়ির সকল মানুষ জীবন রক্ষার্থে বাড়ির পুকুরের ঘাটলার নিচে আশ্রয় নেয়। হানাদার বাহিনী সেখানে আশ্রয় নেয়া শিশু, নারী-পুরুষ সকলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরের দিন পাশের বাড়ির আকুব আলী সরদারের নেতৃত্বে কয়েকজনে মিলে লাশগুলো গণকবরে সমাহিত করে। বাঙ্গিলা গণহত্যায় ৩ পরিবারের ১০ জনসহ বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী শহীদ হন, যাদের মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বাঙ্গিলা গ্রামের মঙ্গল ভূঁইয়া, মঙ্গল ভূঁইয়ার স্ত্রী, মঙ্গল ভূঁইয়ার দুই সন্তান, ভানু রানী (স্বামী মুকুন্দ ভূঁইয়া), রেখা (পিতা মুকুন্দ ভূঁইয়া), পুন্নি (পিতা মুকুন্দ ভূঁইয়া), রাধা (পিতা মুকুন্দ ভূঁইয়া), রাজ বিহারী ভূঁইয়া, রাজ বিহারী ভূঁইয়ার স্ত্রী, গৌরাঙ্গের মা (স্বামী নারায়ণ), গৌরাঙ্গের এক ভাই ও গৌরাঙ্গের এক বোন। [মনিরুজ্জামান শাহীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!