You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাজিতপুর গণহত্যা (কিশোরগঞ্জ)

বাজিতপুর ৪ঠা মে গণহত্যা (কিশোরগঞ্জ) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার পৌর এলাকার পালপাড়া, বসাকপাড়া, পাগলারচর, নান্দিনা, চারবাড়ি, পূর্ব বাজিতপুর, বসন্তপুর, মথুরাপুর, হরিসভা, পৈলানপুর, চন্দ্রগ্রাম ও নিতারকান্দিতে ৪ঠা মে পাকবাহিনী স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধীদের সাহায্যে নির্মম অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ড চালায়। এ হত্যাকাণ্ড বাজিতপুর ৪ঠা মে গণহত্যা নামে মুক্তিযুদ্ধের স্থানীয় ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। সেদিন সূর্য ওঠার আগে একটি ট্রেন ভৈরববাজার জংশন থেকে সরাসরি সরারচর রেলস্টেশনে এসে থামে। ট্রেনের যাত্রী ছিল পাকহানাদার বাহিনীর সেনারা। রেললাইনের পূর্ব পাশে গভীর রাত থেকে অপেক্ষা করছিল কয়েকটি ট্রাক। ট্রেনটি থামার সঙ্গে-সঙ্গে হানাদাররা অপেক্ষমাণ ট্রাকে করে বাজিতপুর ডাকবাংলোর সামনে আসে। দ্রুত তারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায়। ডাকবাংলোর পেছন থেকে এগিয়ে আসে পূর্ব থেকে অপেক্ষমাণ মুসলিম লীগ-এর সন্ত্রাসীরা। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং হয়। এরপর কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে হানাদাররা ভিন্ন-ভিন্ন পথে এগিয়ে যায়। দালালরা প্রতিটি দলের সঙ্গে গাইড হিসেবে কাজ করে। দলগুলো পৌর এলাকার পালপাড়া, বসাকপাড়া, পাগলারচর, নান্দিনা, চারবাড়ি, পূর্ব বাজিতপুর, বসন্তপুর, মথুরাপুর, হরিসভা, পৈলানপুর, চন্দ্রগ্রাম ও নিতারকান্দিতে প্রবেশ করে।
সকালে সূর্য ওঠার পূর্বক্ষণে গ্রামগুলোর অনেকে ইবাদত- উপাসনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। মহিলারা ঘর-বাড়ির কাজকর্ম শুরু করতে যাচ্ছিল। হঠাৎ পাকহানাদারদের বাড়ির আঙ্গিনায়, দোরগোড়ায় দেখে প্রাণভয়ে আঁতকে ওঠে সবাই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হানাদারদের ব্রাশ ফায়ারে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে বাজিতপুর পৌর এলাকার প্রত্যন্ত প্রান্তর। প্রত্যেকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য ঊর্ধ্বশ্বাসে পালাতে থাকে। অন্যদিকে নরপশুদের গুলি চলতে থাকে। শরাহত পাখি যেমন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, তেমনি পথে-ঘাটে, বাড়ির আঙ্গিনায়, ঝোপ- ঝারে বুলেটবিদ্ধ মানুষের রক্তাক্ত দেহ পড়তে থাকে। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল অনেকে। যারা ঘরে কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে আত্মগোপন করে বাঁচতে চেয়েছিল, দালালরা তাদের ধরে হানাদারদের হাতে তুলে দেয়। যারা পালিয়ে অনেক দূর চলে গিয়েছিল, নারকীয় উন্মাদনায় মুসলিম লীগের সন্ত্রাসীরা তাদেরও ধরে এনে হানাদারদের কাছে সোপর্দ করে। বাজিতপুরের এ ঘটনা মাইলাই হত্যাকাণ্ডকেও ম্লান করে দেয় বলে অনেকের ধারণা।
দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এসব নিষ্ঠুরতা। দালালরা বেঁচে যাওয়া আহত, রক্তাক্ত, ভয়ার্ত মানুষকে খুঁজে-খুঁজে বের করে আনে। অনেককে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিয়ে আসা হয় বাজিতপুর বাজারের বাঁশমহালে। আতঙ্কিত যুবতীদেরও একত্রিত করা হয় ভয়-ভীতির মাধ্যমে। এ কাজে নিজেদের দক্ষতা দেখাতে দালালরা সেদিন যেন প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছিল। শুধু হত্যা ও ধর্ষণের মধ্যেই পাকহানাদাররা সীমাবদ্ধ থাকেনি, সেই সঙ্গে চালিয়েছে লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগের মতো নৃশংসতাও। দোসরদের দেখানো চিহ্নিত বাড়িগুলোতে ব্যাপক লুটতরাজের মাধ্যমে নগদ অর্থসহ প্রচুর অলংকরাদি লুটে নেয় তারা।
বিভিন্ন জায়গা থেকে আটককৃত লোকদের গরু-মহিষের মতো বেঁধে গাদাগাদি করে ট্রাকে তোলা হয়। বাজিতপুর বাঁশমহাল থেকে নেয়া হয় সরারচর রেলস্টেশনে। ট্রাকে নেয়ার পথে বাজিতপুর বাজার ব্রিজ, নিতারকান্দি, শ্মশানখলা ও রাহেন্দ্রা গ্রামের সামনে ২০ জন মানুষকে গুলি করে চলন্ত ট্রাক থেকে সিএন্ডবি রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। কয়েকজন মহিলাসহ দুই শতাধিক মানুষকে ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে যায়। নিতারকান্দি শ্মশানখলার সামনে যাদের গুলি করে ফেলে দেয়া হয়, তাদের মধ্যে কুরুক্ষেত্র সাহা নামে চন্দ্রগ্রামের এক ব্যক্তিকে মারাত্মক আহত অবস্থায় আশপাশের গ্রামের লোকজন নিয়ে গিয়ে সেবাযত্নের ব্যবস্থা করে। তিনি অনেকদিন বেঁচে ছিলেন। যারা পালতে পেরেছিল, তারা কৈলাগ, পিউরি, রায়লা, কুকড়ারাই প্রভৃতি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। পিউরি গ্রামে যারা আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের মধ্যে সদ্য মা-হারা শিশুই বেশি ছিল। পরে তাদের নিরাপদে সীমান্ত এলাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। সকাল দশটার দিকে পাকসেনাদের দুটি ট্রাক শোভারামপুর জারু মিয়ার (হাই সাহেবের) বাড়ির সামনে এসে থামে। ট্রাক দুটির মধ্যে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত খাকি পোষাকধারী ৪ জন করে পাকসেনা ও ৬ জন করে রাজাকার ছিল। রাজাকাররা পাকসেনাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে। একটি ট্রাকের দালালদের শোভারামপুরের হিন্দুদের ধরে আনার জন্য নামিয়ে দিয়ে পাকসেনারা চারদিকে ৪ জন অস্ত্র উঁচিয়ে ট্রাকটিতে দাঁড়িয়ে থাকে। অপর ট্রাক চলে যায় পূর্বদিকে পাঠুলি নোয়াগাঁও জেলেপাড়ার প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে। স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে হানাদাররা নদীর পাড়ের জেলেপাড়াগুলোতে ব্রাশ ফায়ার করে। একই সঙ্গে শোভারামপুরে জারু মিয়া বাড়ির সামনে দণ্ডায়মান ট্রাক থেকেও তারা ব্রাশ ফায়ার করে। ব্রাশ ফায়ারের শব্দে শোভারামপুর, দিঘিরপাড়, পাটুলী ও নোয়াগাঁও গ্রাম প্রকম্পিত হয়। গ্রামের অবালবৃদ্ধবণিতা সবাই পালাতে থাকে। শিশু ও মহিলাদের অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। ঝোপ-জঙ্গল যে যেখানে নিরাপদ মনে করে সেখানে লুকানোর চেষ্টা করে। কেউ-কেউ বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে নেমে কুচুরিপানা দিয়ে মাথা ঢেকে রাখে। এখান থেকে গৌরাঙ্গ ঘোষ ও হারান ঠাকুরের পরিবার পরিজনসহ আরো দু-তিনটি পরিবারের ১৫-২০ জন নারী- পুরুষকে পাকসেনারা আটক করে।
নারী-ভর্তি দুটি ট্রাক পশ্চিমে বাজিতপুর বাজারের দিকে যায়। একটি ট্রাক পাঠলী নোয়াগাঁও জেলেপাড়া গিয়ে আরো অনেককে ধরে আনে। অন্যটি শোভারামপুর গ্রামের নারী- পুরুষ দিয়ে ভর্তি ছিল। বাজিতপুর পৌর এলাকার এমন কোনো পাড়া-মহল্লা ছিল না যেখানে পাকসেনারা যায়নি। অনেক বাড়িতে তারা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। অনেককে বাড়িতে পেয়ে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে। অনেক বাড়িতে ঢুকে নারীদের ধর্ষণ করে। অনুমান করা হয়, ৪ঠা মে বাজিতপুরে ২০০ থেকে ২৫০ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩৮ জনের পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আশুগঞ্জের (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা) খোলা মাঠে বাজিতপুরে আটক ৬ জন নির্যাতিতা মহিলাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়। একই দিন নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৫-২০ জনের একদল বিধ্বস্ত মানুষকে মেথিকান্দা (রায়পুরা, নরসিংদী) রেলস্টেশনে ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন অবিবাহিতা নারীও ছিল। বহুকষ্টে তারা পায়ে হেঁটে বাজিতপুর ফিরে আসে। প্রথমোক্ত ৬ জনকে স্থানীয় লোকজন নৌকায় করে বাজিতপুর পাঠিয়ে দেয়। বাজিতপুর থেকে আটক অন্যদের ভৈরব রেলওয়ে ব্রিজ বধ্যভূমিতে হত্যা শেষে নদীতে ফেলে দেয় এবং তাদের সলিল সমাধি ঘটে।
৪ঠা মে হানাদার বাহিনীর যে দলটি হিলচিয়া গিয়েছিল, তাদের খবর আগেই এলাকায় পৌঁছে যাওয়ায় অনেকেই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তবে হিলচিয়া নদীতে মাছ ধরা অবস্থায় দুই ব্যক্তিকে পাকহানাদাররা গুলি করে হত্যা করে। আবু চান নামে (মোমালী হাজীর পালকপুত্র) এক কৃষক পাটক্ষেত দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাকসেনাদের গুলিতে নিহত হয়। পরে ২০-২৫ জনের পাকসেনা দল গুরুই পর্যন্ত গিয়ে কিছু বাড়িতে আগুন দেয়। বাজিতপুর হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন গ্রামের শহীদ যে ১৩৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা হলেন- মথুরাপুর (পৌরসভা এলাকা), জগবন্ধু সাহা (পিতা নবীন চন্দ্র সাহা), মানিক লাল বণিক (পিতা রমেশ চন্দ্র বণিক), ভগবান চন্দ্র দেবনাথ (পিতা নন্দ কিশোর দেবনাথ), নারায়ণ চন্দ্র সাহা, হেসনাল সাহা, স্নেহলতা সাহা (চারুর মা, স্বামী হরিচরণ সাহা), পপি সাহা (পিতা হরিচরণ সাহা), মহেশ চন্দ্র সাহা (পিতা চরণ চন্দ্ৰ সাহা), নির্মল চন্দ্র সাহা (পিতা মতিলাল সাহা), যোগেশ চন্দ্র সূত্রধর (পিতা গগণ চন্দ্র সূত্রধর), সুকুমার চন্দ্র সূত্রধর (পিতা যোগেশ চন্দ্র সূত্রধর), অবনি চন্দ্র সূত্রধর (পিতা যোগেশ চন্দ্র সূত্রধর), অনাথ চন্দ্র দেবনাথ (পিতা চন্দ্ৰ কিশোর দেবনাথ), সবনী চন্দ্র সূত্রধর, নির্মল চন্দ্র সাহা (পিতা মতিলাল সাহা), অঞ্জলি সূত্রধর (পিতা যোগেশ চন্দ্ৰ সূত্রধর); বসন্তপুর (পৌরসভা এলাকা): জলধর বণিক (পিতা ব্রজনাথ বণিক), হারান চন্দ্র সূত্রধর (পিতা সনাতন সূত্রধর), বলরাম চক্রবর্তী (পিতা ভুইত্যা ঠাকুর), বীরেন্দ্র চন্দ্র সূত্রধর; পাগলারচর (পৌরসভা এলাকা): উমেশ চৌধুরী (পিতা ধনীরাম চৌধুরী), যামিনী কান্ত দাস (পিতা অক্ষয় চন্দ্র দাস), ব্রজ গোপাল দাস (পিতা যামিনী কান্ত দাস), অধর চন্দ্র দাস (পিতা গোলক চন্দ্র তিলকদাস), বসাকপাড়া (পৌরসভা এলাকা): অখিল চন্দ্র সূত্রধর (পিতা হৃদয় চন্দ্র সূত্রধর), নরেন্দ্র চন্দ্র দে (পিতা বংকু সূত্রধর), স্বদেশ চন্দ্র সাহা, অতুল চন্দ্র সাহা, নরেশ চন্দ্র সূত্রধর (পিতা দীননাথ সূত্রধর), বাদল চন্দ্র বসাক (পিতা দীনেশ চন্দ্র বসাক), মনমোহন বসাক (পিতা কালী মোহন বসাক), কানন রাণী বসাক (স্বামী সুনীল চন্দ্র বসাক), নারায়ণ চন্দ্র বসাক (পিতা অমর চন্দ্র বসাক), যতীন্দ্র চন্দ্র বসাক (পিতা হেম চন্দ্র বসাক), অমর চান সাহা (পিতা লক্ষ্মী নারায়ণ সাহা), অজিত চন্দ্র মালাকার, উমেশ চন্দ্র বসাক (পিতা মহেশ চন্দ্র বসাক), নিরোধ চন্দ্র তিলকদাস, কুঞ্জলাল তিলকদাস (পিতা নিরোদ চন্দ্র তিলকদাস), নান্টু সাহা; পূর্ব বাজিতপুর: তরুণ কুমার দাস (পিতা পরেশ চন্দ্র দাস), বরুণ কুমার দাস (পিতা পরেশ চন্দ্র দাস), লোটন কুমার দাস (পিতা শ্রীভাস চন্দ্র দাস); পূর্ব আলিয়াবাদ (পালপাড়া): লাল মোহন বণিক ওরফে লাল জহুরী (পিতা প্যায়ারী মোহন), চিত্তরঞ্জন সাহা (পিতা তারিণী চন্দ্র সাহা); আলিয়াবাদ (পৌরসভা এলাকা): শশী মোহন সাহা (পিতা গোলক চন্দ্র সাহা), বসন্তময়ী সাহা (স্বামী শশী মোহন সাহা), গৌরাঙ্গ চন্দ্র শীল ওরফে দুঃখু শীল (পিতা গুরুদাস শীল), হারান চন্দ্র সাহা (পিতা হরেন্দ্র চন্দ্র সাহা), বৈষ্ণব চন্দ্র সাহা (পিতা যোগেন্দ্র চন্দ্র সাহা), হরলাল সাহা, সুজিৎ কুমার সাহা, নরেন্দ্র শীল, ঋষি মোহন দাস (পিতা দোখাই চন্দ্র সাহা, লাল মোহন বণিক (পিতা রামচরণ বণিক); নান্দিনা (পৌরসভা এলাকা): ভক্ত নমঃদাস (পিতা নদী নমঃদাস), উমেশ নন্দী (পিতা নরেশ নন্দী), হারান নন্দী (পিতা উমেশ নন্দী); চন্দ্রগ্রাম (পৌরসভা এলাকা): শ্রীনাথ চন্দ্র সাহা (পিতা নন্দ কুমার সাহা), যোগেন্দ্র চন্দ্র সাহা (পিতা নন্দ কুমার সাহা), ক্ষিতীশ চন্দ্র সাহা (পিতা নন্দ কুমার সাহা), ননী গোপাল সাহা (পিতা শ্রীনাথ চন্দ্ৰ সাহা), অনুকূল চন্দ্র সাহা (পিতা নিতাই চন্দ্র সাহা), যোগেন্দ্র চন্দ্ৰ সাহা (পিতা নিতাই চন্দ্র সাহা), গোপেশ্বর চন্দ্র সাহা (পিতা গোলক চন্দ্র সাহা), সুখলাল সাহা (পিতা রাম কুমার সাহা), প্রদীপ কুমার সাহা বাচ্চু (পিতা সুখলাল সাহা), রণজিৎ কুমার সাহা (পিতা রামকুমার সাহা), শীতল চন্দ্র পোদ্দার (পিতা শিশির চন্দ্র পোদ্দার), রবি চন্দ্র পোদ্দার (পিতা সুরেশ পোদ্দার), নির্মল চন্দ্র সাহা (পিতা মনমোহন সাহা), হরিদাস সাহা (পিতা কালীনাথ সাহা), ঝন্টু চন্দ্র সাহা (পিতা নিতাই চন্দ্র সাহা), অমূল্য চন্দ্র পোদ্দার, ইন্দু ভূষণ দাস (পিতা তারিণী চরণ দাস); নিতারকান্দি (পৌরসভা এলাকা): ডা. নরেশ চন্দ্র শীল (পিতা শরৎ চন্দ্র শীল), নরেন্দ্র চন্দ্র বণিক (পিতা গোবিন্দ চন্দ্র বণিক), শৈলেন্দ্র চন্দ্র বণিক (পিতা গোবিন্দ্র চন্দ্র বণিক), ক্ষিতীশ চন্দ্র বণিক (পিতা কৃষ্ণ চন্দ্ৰ বণিক), গোপাল চন্দ্র সাহা (পিতা দীনেশ চন্দ্ৰ সাহা), মনীন্দ্ৰ চন্দ্র দে ওরফে বড় আবু (পিতা বনমালী দে), সুরেন্দ্র চন্দ্র দে (পিতা মনমালী দে), বিনয় ভূষণ বণিক (পিতা ফণী ভূষণ বণিক), গগণ চন্দ্ৰ বণিক (পিতা রাম চন্দ্র বণিক); পৈলনপুর (পৈৗরসভা এলাকা): কিষ্ট কুমার নমঃদাস, প্রাণ চন্দ্র দাস (পিতা নদীয়াবাসী দাস), দিজেন্দ্র চন্দ্র দাস, নারায়ণ চন্দ্র দাস (পিতা অমর চন্দ্র দাস), অমর চন্দ্র দাস, অরবিন্দ দাস (পিতা নিমাই চন্দ্র দাস), বিজয় কুমার সাহা, নরেন্দ্র চন্দ্র সূত্রধর (পিতা বংকু সূত্রধর), রীতা রাণী দাস, শোভা রাণী দাস, স্বপন দাস, ভগবতী দাস, মানিক দাস, গঙ্গা চরণ দাস; দিঘীর পাড়: বলেশ্বর ঋষিদাস, লাল চান ঋষি দাস, পচুন ঋষি দাস, মধু ঋষি দাস, অতুল চন্দ্র সাহা, অনুকূল চন্দ্ৰ দাস (পিতা হরিমোহন দাস); শোভারামপুর: সখী চরণ পাল (পিতা শ্যাম চরণ পাল), গৌরাঙ্গ চন্দ্র ঘোষ (পিতা রামেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ), হারান চন্দ্র ভট্টাচার্য (পিতা পূর্ণ চন্দ্র ভট্টাচার্য), পূর্ণ চন্দ্র ঘোষ (পিতা রাম চন্দ্র ঘোষ), প্রহ্লাদ চন্দ্ৰ শীল (পিতা কৈলাশ চন্দ্র ঘোষ), কৃষ্ণ মোহন ঘোষ ওরফে কিষ্ট মোহন (পিতা রায় মোহন ঘোষ), শশী দেবনাথ (পিতা আনন্দ দেবনাথ), পরশমণি সূত্রধর (পিতা রামচন্দ্র সূত্রধর), নেপাল চন্দ্ৰ দেবনাথ (পিতা প্রফুল্ল চন্দ্ৰ দেবনাথ), মহেন্দ্ৰ চন্দ্ৰ সাহা; নোয়াগাঁও: মনোরমা দাস (স্বামী গঙ্গা চরণ দাস), রিতা রাণী দাস (পিতা গঙ্গা চরণ দাস), শোভারাণী দাস (পিতা নিশি কান্ত দাস), স্বপন দাস (পিতা নিশি কান্ত দাস), ভগবতী দাস (স্বামী পিয়ারী মোহন দাস), মানিক দাস (পিতা নরেন্দ্র চন্দ্র দাস), গঙ্গা চরণ দাস; সাহাপুর: নিকুঞ্জ সাহা (পিতা ভগবান সাহা), হেমলাল সাহা (পিতা মহেন্দ্ৰ চন্দ্র বসাক), নৃপেন্দ্র চক্রবর্তী, গৌরদাস মোহন্ত; ঘোড়াদ্বারা: নৃপেন্দ্র চক্রবতী; দিলালপুর: নগর দাস; সরারচর: রাজেন্দ্র চন্দ্র আচার্য (পিতা হরিৎ চন্দ্র আচার্য), গণেশ চন্দ্র আচার্য (পিতা রাজেন্দ্র চন্দ্র আচার্য), বটু চন্দ্র আচার্য (পিতা রাজেন্দ্র চন্দ্র আচার্য), দিনেশ চন্দ্র সাহা (পিতা জগবন্ধু সাহা), পুলিন বন্ধু সাহা (পিতা চন্দ্রনাথ সাহা), ডা. নরেশ চন্দ্র সাহা (পিতা বংকু বিহারী সাহা), ডা. গিরীশ চন্দ্র বণিক, মনমোহন সাহা (পিতা হৃদয় চন্দ্র সাহা), ব্রজেন্দ্র চন্দ্র সাহা (পিতা দেবেন্দ্র চন্দ্র সাহা); হিলচিয়া: মহেশ চন্দ্র দাস মেওয়া চাঁদ (পিতা গোবিন্দ চন্দ্ৰ দাস)। [মো. সিরাজুল ইসলাম]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!