মুক্তিযুদ্ধে বাগেরহাট সদর উপজেলা
বাগেরহাট সদর উপজেলা একটি রাজনৈতিক ঐতিহ্যবাহী জনপদ। এখানকার সংগ্রামী ছাত্র-জনতা উনসত্তরের গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। উনসত্তরের ১লা ফেব্রুয়ারি বাগেরহাটে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত। এদিন খুলনার অবাঙালি ডিএম কাহুত বাগেরহাটে আসেন এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনরত ছাত্রদের মিছিলে গুলিবর্ষণের নির্দেশ দেন। ফলে অনেক ছাত্র আহত হয়। এ বছরেরই ২১শে ফেব্রুয়ারি খুলনায় মিছিলের ওপর গুলি বর্ষিত হলে তিনজন শহীদ হন, যার একজন বাগেরহাটের হাদিস। তাঁর নামে পরে খুলনা পৌরপার্কের নামকরণ করা হয় ‘হাদিস পার্ক’। ১৯৭০-এর নির্বাচনে বাগেরহাট থেকে জাতীয় পরিষদে শেখ আব্দুল আজিজ এবং প্রাদেশিক পরিষদে শেখ আব্দুর রহমান বিজয়ী হন। নির্বাচনের পর জেনারেল ইয়াহিয়ার সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আহ্বানে সারাদেশের মতো এখানেও অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ২৩শে মার্চ দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বাগেরহাটেও স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে বাগেরহাটের সংস্কৃতি কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এ ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমজাদ আলী গোরাই ও কবি আবু বকর সিদ্দিকের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মার্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে জেলা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। পরিষদের আহ্বায়ক হন শেখ আব্দুল আজিজ এমএনএ। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ আসার পর এখানে ১১ সদস্যের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও জেলা সংগ্রাম পরিষদের পর স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠিত হয়। এসব সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। অস্ত্র সংগ্রহের প্রচেষ্টাও চলতে থাকে। বাগেরহাট ট্রেজারি থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়। স্থানীয়ভাবে বোমা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। কাঠের ডামি রাইফেল ও বাঁশের লাঠির মাধ্যমে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ চালে। নাগেরবাড়ির মাঠ, কাড়াপাড়া স্কুল মাঠ, বাগেরহাট স্কুল মাঠ ও আনসার ক্যাম্প মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা এসব প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন সুবেদার তাজুল ইসলাম।
বাগেরহাটে রফিক বাহিনী- নামে একটি স্থানীয় বাহিনী গড়ে ওঠে। এ বাহিনীর প্রধান সংগঠক ছিলেন বাগেরহাটের বামপন্থী নেতা রফিকুল ইসলাম খোকন। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন- করতেন এবং পরে কমিউনিস্ট পার্টি র অন্যতম নেতা হন। ১৯৭১ সালের আগে থেকে তিনি এ এলাকায় কৃষকদের উজ্জীবিত করার মাধ্যমে শ্রেণি সংগ্রাম বিকশিত করার কাজ শুরু করেন। তাঁর প্রধান সহযোগী। ছিলেন বাহিরদিয়ার মানস ঘোষ। তাঁরা একটি সশস্ত্র বাহিনী গঠন করে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হন। তাঁরা স্বউদ্যোগে অস্ত্র সংগ্রহ করে পাকসেনাদের মোকাবেলা করার। প্রস্তুতি নেন। প্রথমে তাঁদের ঘাঁটি ছিল বাগেরহাট শহরে। ২৫শে মার্চের পর সেখানে পাকসেনা আসার আশঙ্কা প্রবল
হয়ে উঠলে তাঁরা দড়াটানা নদীর পূর্ব তীরে বিষ্ণুপুরে যান।
তাঁদের এ ঘাঁটি পরে চিরুলিয়া বিষ্ণুপুর ঘাঁটি নামে পরিচিত হয়। এখানে আরও কয়েকটি স্থানীয় বাহিনীর কার্যক্রম ছিল। যেমন তাজুল বাহিনী, সামছু মল্লিক বাহিনী, হবি বাহিনী, কাজী আমজাদ বাহিনী, কাজী জবেদ আলী বাহিনী, আফজাল বাহিনী ইত্যাদি।
খুলনা থেকে বাগেরহাটের পথে অগ্রসর হওয়া পাকসেনাদের প্রতিরোধ কল্পে বড়বড় গাছ ফেলে প্রধান সড়ক পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। পাকবাহিনীকে রেলপথে বাধা দেয়ার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়। তারা যাতে শহরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাহিরদিয়ায় একটা অগ্রবর্তী ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে কয়েকবার চেষ্টা করেও পাকসেনারা বাগেরহাটে আসতে পারেনি। ২৪শে এপ্রিল তারা নদীপথে ডেমা পুলের কাছে নেমে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পায়ে হেঁটে শহরের দিকে অগ্রসর হয়। হেঁটে আসার সময়ও তারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। এটি ঘটে পচাদীঘির পাড় ও দশানীতে প্রতিরোধে নেতৃত্বদানকারীদের একজন কামরুজ্জামান টুকু (পরবর্তীকালে খুলনা জেলা মুজিব বাহিনী-র প্রধান) তখন সদলবলে নাগেরবাড়ি ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন। তিনি ২৫-৩০ জন সশস্ত্র যোদ্ধা নিয়ে পচাদীঘির পাড়ে পাকসেনাদের প্রতিরোধ করেন। তবে তাঁদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এর কয়েকদিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা বাগেরহাট থানা আক্রমণ-এর ঘটনা ঘটে। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের হাতে আটক আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ অজিয়র রহমানকে উদ্ধার করা। আক্রমণ পরিচালনা করেন রফিক বাহিনীর সদস্যরা। আক্রমণ ব্যর্থ হলেও এর গুরুত্ব ছিল অনেক। এর মধ্য দিয়ে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি সুশৃঙ্খল সেনাবাহিনীর সঙ্গে রফিক বাহিনীর পরবর্তী নয় মাসব্যাপী যুদ্ধের সূচনা হয়। এসব প্রতিরোধের প্রয়াস খুব পরিকল্পিত ও সমন্বিত ছিল না। তবে এসব প্রচেষ্টা পরে প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। খুলনা শহর আগে থেকে পাকসেনাদের দখলে চলে গেলেও এপ্রিলের শেষ সপ্তাহের পূর্ব পর্যন্ত বাগেরহাট মুক্ত ছিল। ফলে বাগেরহাট এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। এজন্য পাকসেনারা বাগেরহাট শহর দখলে জোর তৎপরতা চালায়। তারা ২৪শে এপ্রিল বাগেরহাট শহর দখল করে মদনের মাঠে অবস্থিত ওয়াপদা রেস্টহাউসে প্রধান ক্যাম্প স্থাপন করে। শহরের দড়াটানা নদীর তীরবর্তী ডাকবাংলোয় রাজাকার বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি ছিল। অন্য কয়েকটি স্থানেও রাজাকারদের ক্যাম্প ছিল। পুরো সদর থানা দখল করে পাকসেনা ও রাজাকাররা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর সূচনা হয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের জামায়াতে ইসলামী-র নেতা এ কে এম ইউসুফের হাতে। খুলনার খানজাহান আলী রোডস্থ ‘ভুতের বাড়ি’ নামে পরিচিত আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামায়াত ক্যাডার নিয়ে ইউসুফ প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠন করে। তারপর তাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রধানত মুসলিম লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা এ বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। রাজাকাররা মহকুমার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং লুণ্ঠন, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নারীনির্যাতনের মাধ্যমে প্রচণ্ড ত্রাসের সৃষ্টি করে। বাগেরহাটে রাজাকার বাহিনীর প্রধান করা হয় রনবিজয়পুর গ্রামের কুখ্যাত মুসলিম লীগ নেতা রজ্জব আলী ফকিরকে। তার প্রধান সহযোগীদের মধ্যে কয়েকজন ছিল মো. ইসহাক, আকিজুদ্দিন, সিরাজ মাস্টার প্রমুখ। রজ্জব আলী ছিল খুবই হিংস্র প্রকৃতির। মে মাসে এ কে এম ইউসুফ বাগেরহাটে এসে রজ্জব আলীকে ‘রাজাকার মেজর’ উপাধি দেয়। বাগেরহাটের অধিকাংশ নির্যাতন, হত্যা ও লোমহর্ষক ঘটনার মূলে ছিল এ রজ্জব আলী।
বাগেরহাটে পাকসেনা ও রাজাকারদের হাতে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছে। হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২৪শে এপ্রিল পাকসেনাদের বাগেরহাট দখলের পর থেকে। তারা আসার পথে নির্বিচারে বহু লোককে হত্যা করে। ক্যাম্প স্থাপনের পর তা অব্যাহতভাবে চলতে থাকে। রাজাকার বাহিনী গঠনের পর হত্যাযজ্ঞ গ্রামেগঞ্জেও ছড়িয়ে পড়ে। ২৪শে এপ্রিল গানবোট থেকে পাকবাহিনী কাড়াপাড়া বাজারের কাছে প্রাক্তন প্রাদেশিক মন্ত্রী আমজাদ হেসেনের বাড়িতে এসে তাঁর পিতা ইসরাইল হোসেন ও মামা আজিজুল হককে গুলি করে হত্যা করে। তারপর তারা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অগ্রসর হয়। পথে তাদের গুলিতে কাড়াপাড়ায় শতাধিক নিরীহ মানুষ নিহত হয়। কাড়াপাড়া গণহত্যা ছাড়াও বাগেরহাট থানার বিভিন্ন জায়গায় পাকবাহিনী ও রাজাকাররা নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায়। বাগেরহাট থানা এলাকায় সংঘটিত গণহত্যাগুলোর মধ্যে রণজিৎপুর গণহত্যা, সাড়ে চার আনি গণহত্যা, কান্দাপাড়া গণহত্যা, গোটাপাড়া গণহত্যা, বৈটপুর গণহত্যা, বাগেরহাট শহর গণহত্যা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব গণহত্যার সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়।
বাগেরহাটে প্রধান নির্যাতনকেন্দ্র ও বধ্যভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হয় শহরের ডাকবাংলো ভবন। নিরীহ মানুষদের তুলে এনে এখানে আটক করে রেখে স্বীকৃতি আদায়ের নামে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চলত। নির্যাতনের পর তাদের পার্শ্ববর্তী দড়াটানা নদী তীরবর্তী ডাকবাংলো ঘাটে নিয়ে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হতো। ডাকবাংলো ঘাট বধ্যভূমি বাগেরহাট থানার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি।
বাগেরহাট থানা এলাকায় পাকবাহিনী ও রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি যুদ্ধ হয়। তবে অধিকাংশ যুদ্ধ হয় রাজাকারদের সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময় থেকে নিরাপত্তার কারণে গ্রামাঞ্চলের কর্তৃত্ব রাজাকারদের হাতে দিয়ে পাকসেনারা শহরের ব্যারাকের মধ্যে নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখে। তখন বাগেরহাটে মুক্তিযুদ্ধের সাবসেক্টর কমান্ডার ছিলেন সুবেদার তাজুল ইসলাম। তিনি কচুয়া থানার সন্তোষপুরে তাঁর হেডকোয়ার্টার্স স্থাপন করেন। বাগেরহাট থানা এলাকায় সংঘটিত যুদ্ধগুলোর মধ্যে বাগেরহাট থানা আক্রমণ, চুলকাঠি যুদ্ধ, বাগেরহাট শহর যুদ্ধ ও মুক্ষাইট-কান্দাপাড়া যুদ্ধ – উল্লাখযোগ্য। পাকবাহিনী ও রাজাকারদের তুলনায় জনবল, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ সবদিক দিয়ে পিছিয়ে থেকেও এসব যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বিশেষ সাহস ও নৈপুণ্যের পরিচয় দেন। এর মূলে ছিল তাঁদের দেশপ্রেম, 5 সাহস ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব।
বাগেরহাট হানাদারমুক্ত হয় ১৭ই ডিসেম্বর। এখানকার 5 পাকসেনারা পালিয়ে কিছু বরিশালে এবং কিছু খুলনায় যায়।
মহকুমার বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো হওয়া রাজাকাররা। একত্রিত হয়ে শহরের কর্তৃত্ব ধরে রেখেছিল। কয়েকদিন আগে থেকেই থানা সদরগুলি মুক্ত হয়ে যায়। আর তাই মহকুমার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুক্তিযোদ্ধারা দলে-দলে এসে শহরের চারদিকে অবস্থান নেন। ১৭ই ডিসেম্বর সকালে বাগেরহাট সাবসেক্টর কমান্ডার সুবেদার তাজুল ইসলাম তাঁর বাহিনী নিয়ে দড়াটানা নদী পার হয়ে শহরে প্রবেশ করেন এবং মুক্ত শহরের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এ খবর শুনে বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। নিস্তব্ধ শহর মুহূর্তে মানুষের বিজয় উল্লাসে জেগে ওঠে। ২৫শে মার্চের পর প্রতিরোধ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল, এভাবে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হলেন- লিয়াকত আলী খান, বীর উত্তম (পিতা আতাহার আলী খান, আমলাপাড়া)।
বাগেরহাট সদর থানায় সরকারি তালিকাভুক্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ১৩ জন। তাঁরা হলেন- মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ আব্দুর রাজ্জাক, শেখ আব্দুল আজিজ, আলফাজ হোসেন ননী, আব্দুল মাজেদ আখঞ্জি, চিত্তরঞ্জন মজুমদার, মো. মুজিবর রহমান মল্লিক, সিরাজুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন ডাকুয়া, শেখ হোসেন আলী, নবীর উদ্দিন এবং শেখ আব্দুল জব্বার।
মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে বাগেরহাটে প্রথম শাপলা ফোয়ারা নির্মিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবাহী শহরের একটি উল্লেখযোগ্য স্মারক স্বাধীনতা উদ্যান। জেলখানার বিপরীতে পুকুরপাড়ে একটি মাঠ রয়েছে। আগে এ মাঠের নাম ছিল পিএনজি মাঠ। ১৯৮৭ সালে এর নামকরণ করা হয় স্বাধীনতা উদ্যান। এর পাশের রাস্তার নাম দেয়া হয়েছে স্বাধীনতা সরণি। বাগেরহাট শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামাঙ্কিত একটি স্মৃতিফলক এবং বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের পাশে দশানীতে অপর একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ এটিকে পূর্ণ কমপ্লেক্সে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। [শেখ গাউস মিয়া]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড