You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাগদা দাসপাড়া গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল)

বাগদা দাসপাড়া গণহত্যা (আগৈলঝাড়া, বরিশাল) সংঘটিত হয় ১৬ই জুন। এতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়।
আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে বাগদা দাসপাড়া অবস্থিত। ১৬ই জুন স্থানীয় রাজাকার কমান্ডার আক্কেল আলী বালী, সাত্তার প্রমুখের সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী বিকেল ৪টার দিকে বাগদা দাসপাড়ায় আক্রমণ করে লুণ্ঠন এবং গণহত্যা চালায়। গ্রামের সাধারণ মানুষ বিলের পানির মধ্যে আশ্রয় নিয়েও রেহাই পায়নি। রাজাকাররা তাদের খুঁজে বের করে হত্যা করে। গ্রামের বেশ কয়েকজন মানুষ এ গণহত্যার শিকার হয়, যাদের মধ্যে কোটালীপাড়া থেকে বেড়াতে আসা একই পরিবারের ৩ জনসহ ১৫ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- বাগদা গ্রামের সুরেন ধুপি (১৪) (পিতা নীলকান্ত ধুপি), অমূল্য ধুপি (৫৫) (পিতা কেদারী ধুপি), সুধীর ধুপি (২০) (পিতা কালীচরণ ধুপি), হরিপদ ধুপি ওরফে পাগলা (৪০) (পিতা লক্ষ্মীকান্ত ধুপি), গণেশ দাস (৬০) (ধলু বেপারী হিসেবে পরিচিত), দেবু চক্রবর্তী (৫০) (পিতা অমৃত চক্রবর্তী), সুরেন মুখার্জী (৬০), কেষ্ট শীল (৩০) (পিতা কালীচরণ শীল), সতীশ সমদ্দার (৩৫) (পিতা মনোহর সমদ্দার), কালু সমদ্দার (৪০) (পিতা দীনবন্ধু সমদ্দার), রাইচরণ হুর (৭০) (পিতা অম্বিক হুর), ললিত কীর্তনীয়া (৬০) (রাইচরণ হুরের শ্বশুর, কোটালীপাড়া) ও অনিল কীর্তনীয়া (২৫) (পিতা ললিত কীর্তনীয়া, কোটালীপাড়া)। এছাড়া দাসপাড়ার নরেনের স্ত্রী ও শিশুপুত্রও এ গণহত্যায় নিহত হয়। গণহত্যার পর স্থানীয়রা শহীদদের লাশগুলো নীলকান্ত ধুপী ও নারায়ণ ধুপীর বাড়িতে গণকবরে সমাহিত করে। [মনিরুজ্জামান শাহীন]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!