You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ গণকবর (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম)

বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ গণকবর (বাঁশখালী, চট্টগ্রাম) উপজেলার অন্যতম গণকবর। এ গণকবরে ১৫ জন শহীদকে সমাহিত করা হয়। তারা হলেন- সতেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, জগবন্ধু দত্ত, সরোজ দত্ত, যোগেশ চন্দ্র পাল, হিরেন্দ্র পাল, মনোরঞ্জন চৌধুরী, সরোজ চৌধুরী, তারক চন্দ্র দত্ত, মোক্ষদা রঞ্জন দত্ত, জীতেন্দ্র লাল ভৌমিক, রজনি দেবনাথ, অরুণ সরকার, বিমল ঘোষ, মুকুন্দ সিকদার ও গনেশ চন্দ্ৰ নাথ।
অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি ১০ ট্রাক সাজোয়া বহরে শতাধিক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্থানীয় – রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের সহযোগিতায় রাতের অন্ধকারে কালীপুর ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত কয়েকটি গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সহায়তাকারী, ছাত্র-যুবক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ীসহ ৩০-৩৫ জনকে ধরে নিয়ে যায়।
পরে তাদের হাত-পা বেঁধে নির্যাতনপূর্বক বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের দক্ষিণ পাশে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। এ গণহত্যায় শহীদ ১৫ জনকে বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন গণকবরে সমাহিত করা হয়। তারা হলেন- সত্যেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জগবন্ধু দত্ত, সরোজ দত্ত, যোগেশ চন্দ্র পাল, হিরেন্দ্র পাল, মনোরঞ্জন চৌধুরী, সরোজ চৌধুরী, তারক চন্দ্র দত্ত, মোক্ষদা রঞ্জন দত্ত, জিতেন্দ্র লাল ভৌমিক, রজনী দেবনাথ, অরুণ সরকার, বিমল ঘোষ, মুকুন্দ সিকদার ও গণেশ চন্দ্ৰ নাথ।
স্বাধীনতার পর বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের পাহাড় সংলগ্ন গণকবর থেকে অনেকের মৃতদেহ তুলে নিয়ে স্বজনরা অন্যত্র সমাহিত করে। ১৯৮৯ সালের ১৫ই মার্চ বাঁশখালীর উপজেলা চেয়ারম্যান সুজিত কান্তি সিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মাস্টার স্বপন ভট্টাচার্য, খোন্দকার মোহাম্মদ ছমিউদ্দীন প্রমুখের সহযোগিতায় বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন গণকবরে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়। [জগন্নাথ বড়ুয়া]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!