বাকতা নদী বধ্যভূমি (কলমাকান্দা, নেত্রকোনা)
বাকতা নদী বধ্যভূমি (কলমাকান্দা, নেত্রকোনা) নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের এখানে বহু লোককে হত্যা করা হয়।
নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানায় ২৬শে জুলাই সংঘটিত নাজিরপুর যুদ্ধ-এর পর পাকিস্তানি সেনারা নাজিরপুর বাজারে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে। স্থানীয় দালাল, রাজাকার ও হানাদার বাহিনীর সদস্যরা নাজিরপুর ইউনিয়ন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। এলাকার রাজাকার রামপুর গ্রামের আব্দুল হাই, হরিরামপুরের ইন্নুস আলী, দিলোরা গ্রামের আব্দুর রহমান ও মুসলিম উদ্দিন, আনন্দপুর গ্রামের আব্দুল বারেক, আব্দুল মতিন, ইয়াকুব আলী, আমির উদ্দিন, আব্দুল আজিজ, আব্দুল মজিদ, আব্দুল হামিদ, লেঙ্গুড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ এবং কুট্টাকান্দা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদাররা অনেক মানুষকে ধরে এনে নাজিরপুর বাজারের পাশে বাকতা নদীর তীরে হত্যা করে। এ স্থানটি একটি বধ্যভূমিতে পরিণত হয়। এ বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময়ে যারা শহীদ হন, তাদের মধ্যে নয়াগাঁও গ্রামের ফাজিল উদ্দিন, মমরুজ আলী, সমর মড়ল, হরিপুর গ্রামের আকবর আলী, আলমপুর গ্রামের ডাক্তার শামসুদ্দিন প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। [জুলফিকার আলী শাহীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড