You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাউরবাগ গণহত্যা (মৌলভীবাজার সদর)

বাউরবাগ গণহত্যা (মৌলভীবাজার সদর) সংঘটিত হয় ২৩শে এপ্রিল। এতে কমপক্ষে ১০ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন।
পাকসেনারা
২২শে এপ্রিল শেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে গেলে সিলেট-মৌলভীবাজার সড়ক ধরে মৌলিভীবাজারের দিকে অগ্রসর হয়। এ-সময় তারা সড়কের দুপাশের গ্রামগুলোতে নির্বিচারে গুলি চালায়। পাকসেনাদের ভয়ে বাউরবাগ গ্রামের হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোক পালিয়ে যায়। ২৩শে এপ্রিল পাকসেনারা -রাজাকার কালা মোল্লা, ছিকন মিয়া, সাজিদ উল্লাহ, কাছিম মিয়া প্রমুখকে নিয়ে বাউরবাগ গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ নারকীয় তাণ্ডব চালায়। তারা শেরপুর- মৌলভীবাজার সড়কের দুপাশের গ্রামগুলোতে নির্বিচারে গুলি চালায়। গুলি, লুণ্ঠন ও আগুনের ভয়ে গ্রামগুলো জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে। হানাদারদের দেয়া আগুনে বাউরবাগ গ্রামের অনেক বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ২৩শে এপ্রিল বাউরবাগে পাকসেনাদের গুলিতে পরেশ দাস নিহত হন। পরে রাজাকার আশিক মিয়া ও মখদুস মিয়ার হাতে এ গ্রামের আবদুল হাসিম (পিতা আরজদ উল্লাহ) ও রাজেন্দ্র নাথ (পিতা রসধর নাথ) নিহত হন। আবদুল হাসিমের সঙ্গে এ দুই রাজাকারের পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। বাউরবাগের বাসিন্দা রাজেন্দ্র নাথ ফেলে যাওয়া ঘরবাড়ি দেখতে এসে হত্যার শিকার হন। এভাবে সবমিলে বাউরবাগ গ্রামে পাকসেনা ও রাজাকারদের হাতে অন্তত ১০ জন নিরীহ মানুষ নিহত হন। [আবদুল হামিদ মাহবুব]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!