You dont have javascript enabled! Please enable it! মুক্তিযুদ্ধে বরুড়া উপজেলা (কুমিল্লা) - সংগ্রামের নোটবুক

মুক্তিযুদ্ধে বরুড়া উপজেলা (কুমিল্লা)

বরুড়া উপজেলা (কুমিল্লা) ১৯৪৮ সালের ২৪শে মার্চ। প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে একটি পৌরসভা, ১৫টি ইউনিয়ন ও ৩৪০টি গ্রাম নিয়ে এ উপজেলা গঠিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি ছিল ২ নম্বর সেক্টরের অধীন
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-এর নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সারা দেশের মানুষের মতো বরুড়াবাসীও বাঙালিদের ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এটাই ছিল তাদের আশা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকদের ষড়যন্ত্রে তাদের আশাভঙ্গ হয়। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ দেন, তা শুনে তারা বুঝতে পারে যে, পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামোয় তাদের আশা পূরণ হবে না। অতএব বাঙালির মুক্তির জন্য তাদের যুদ্ধ করতে হবে। এরপর থেকেই তারা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। এ-সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে নেতৃত্ব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মেদাদ উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম চৌধুরী আজাদ (পয়ালগাছা), মমতাজ উদ্দিন, ফরিদ উল্লাহ খাঁ, মোহসিনুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, আবদুল গফুর, আনোয়ারুল ইসলাম মজুমদার বিকম, কাজী আলী আকবর, আলী আকবর মিয়া, এলাহী বক্স, আবদুল কাদের, শামসুল হুদা ও আলী আক্কাস।
২৩শে মার্চ বিকেলে বরুড়ার হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কুমিল্লা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিপুল সংখ্যক মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে উপস্থিত হয়। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান আবুল কালাম মজুমদার ও বর্তমান কুমিল্লা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট রুস্তম আলী সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভার বক্তারা সকল বাঙালিকে একজোট হয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশমতো কাজ করার আহ্বান জানান।
২৫শে মার্চের ঘটনার পর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এলাকার যুবকদের সংগঠিত করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য তাদের ভারতে পাঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ-এর সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম মিলন (পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র এবং স্বাধীনতার পরে ২০১৪ সালে কুমিল্লা-৮ আসন থেকে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপি) ২৭শে মার্চ সন্ধ্যায় বরুড়ায় আসেন এবং ডা. আবদুর রহিম ও দেওয়ান মেদাদ উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ১৭ই এপ্রিল তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আগরতলা যান। আগরতলার কলেজ টিলায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ছিল। ঐ ক্যাম্পে তখন বরুড়ার রুস্তম আলী (বর্তমান কুমিল্লা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি), কুমিল্লার মাইনুল হুদা এবং সৈয়দ রেজাউর রহমানও ছিলেন। এ ক্যাম্প থেকে তাঁদের ভারতের উত্তর প্রদেশের টানডুয়া আর্মি ক্যাম্পে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁরা ৬০ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এছাড়া অন্যান্য ক্যাম্পেও বরুড়ার মুক্তিযোদ্ধারা প্রশিক্ষণ নেন। মে মাসের দিকে কিছু ২৩°১৬′ উ সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বরুড়ায় চলে আসেন। এরপর পর্যাক্রমে অন্যরা আসেন। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ১৭ জনের একটি দল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া এলাকা দিয়ে কুমিল্লায় প্রবেশ করে। যুদ্ধের জন্য তাঁদের নয়টি এলজিআরসি অস্ত্র দেয়া হয়েছিল। তাঁরা পয়ালগাছা এলাকায় প্রবেশ করে রহমত আলী (ভাউকসার), মোজাহের আলী (সুদ্ৰা), আমিনুল ইসলাম (পেরপেটি), গফুর মিয়া (পেরপেটি)সহ স্থানীয় যুবকদের যুদ্ধের জন্য সংগঠিত করেন। বরুড়ার মুক্তিযোদ্ধারা প্রথমদিকে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে বরুড়া, চান্দিনা, কচুয়া এবং ময়নামতি এলাকায় যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। পরে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে তাঁরা সংগঠিত হয়ে বরুড়ার বিভিন্ন এলাকায় মূল যুদ্ধ শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এমপিএ আবদুল হাকিম মিয়া ভারতে থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারটি তত্ত্বাবধান করেন।
বরুড়া উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা হলেন- আবদুল হাকিম মিয়া এমপিএ, রুস্তম আলী, ডা. আবদুর রহিম, দেওয়ান মেদাদ উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), নূরুল ইসলাম মিলন, আবদুল বারী বাচ্চু (বরুড়া পৌরসভার সাবেক প্রশাসক), আলী আকবর (আড্ডা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান), ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, ব্রিগেডিয়ার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বীর প্রতীক, ড. কামাল সিদ্দিকী (সাবেক মুখ্য সচিব), আবদুল লতিফ ভূঁইয়া (মনোহরপুর; সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি), আব্দুল হাকিম, আবুল কালাম মজুমদার প্রমুখ। আর কমান্ডাররা হলেন- নূরুল ইসলাম মিলন (বিএলএফ-এর স্থানীয় কমান্ডার), বেলায়েত হোসেন (চেঙ্গাহাটা; এফএফ- কমান্ডার ও বর্তমান বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) এবং ফিরোজ আহমেদ (ঘেষ্পা; এফএফ-এর সহকারী কমান্ডার)।
এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ পাকবাহিনী বরুড়া উপজেলায় প্রবেশ করে এবং থানায় ক্যাম্প স্থাপন করে। এরপর থেকে স্থানীয় স্বাধীনতাবিরোধীরা তাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে।
এ ব্যাপারে দেওড়া, পুরান কাদবা, এগার গ্রাম ও ডেউয়াতলী এলাকার মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও নেজামে ইসলামী-র সমর্থকরা সর্বাধিক সক্রিয় ছিল। এসব দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। নেজামে ইসলামীর নেতা মাওলানা ওসমান গণি এতে নেতৃত্ব দেয়। বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এসব বাহিনীতে ভর্তি করা হয়।
উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে মাওলানা ওসমান গণি, জয়নাল আবেদীন (দেওড়া), কালা চৌধুরী (পুরান কাদবা), নজরুল ইসলাম (আড্ডা), আবদুল ওহাব (পাঠানপাড়া), সৈয়দ নুরুল হুদা (ভবানীপুর) প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য।
পাকবাহিনী বরুড়া উপজেলায় প্রবেশ করেই হত্যা, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে। ১৪ই এপ্রিল তারা তলাগ্রাম ও অর্জুনতলা গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড চালায়। তারা তলাগ্রামের হিন্দু বাড়িগুলোতে আগুন দেয় এবং তলাগ্রাম হাইস্কুলের শিক্ষক যোগেশচন্দ্র ভাওয়াল ও তাঁর বৃদ্ধ মাতা, বনমালী, সুরেন্দ্রনাথ দত্ত ও আবদুল বারিককে গুলি করে হত্যা করে। একজনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে এবং নগেন্দ্রনাথের স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যায়। তারা বরুড়ায় একটি গণহত্যাও চালায়, যা পুরান কাদবা গণহত্যা নামে পরিচিত। তলাগ্রামের নৃশংস ঘটনার কয়েকদিন পর পাকবাহিনী এখানে আগুন দেয় এবং ৮-৯ জনকে বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১০ই সেপ্টেম্বর পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আড্ডা গ্রামের 3 পাঁচজন মুক্তিসংগ্রামীকে গুলি করে হত্যা করে এবং এলাকায় ভীতি সঞ্চারের জন্য তাদের লাশ একটি গাছে টাঙ্গিয়ে রাখে।
পাকবাহিনী বরুড়া বাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও র হিন্দুদের দোকানপাট এবং আড্ডা বাজারে লুটপাট চালায়। এছাড়া বরুড়া সংলগ্ন লাকসামের মুদাফ্ফরগঞ্জেও নির্মম নির্যাতন চালায়। শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরাও হত্যা-নির্যাতনে অংশ নেয়। শান্তি কমিটির সদস্যরা প্রথমে পয়ালগাছার আমান উল্লাহকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। রাজাকাররা বাড়াইপুর গ্রামের অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের পিতাকে গুলি করে হত্যা করে।
বরুড়া থানা পাকবাহিনীর নির্যাতনকেন্দ্র ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার পক্ষের লোকদের এখানে ধরে এনে নির্যাতন 3 করা হতো। কাউকে-কাউকে পাকবাহিনীর সহযোগী হওয়ার 3 জন্যও নির্যাতন করা হতো।
বরুড়া উপজেলায় দুটি গণকবর রয়েছে- নারায়ণপুর গণকবর ও বটতলী গণকবর। নারায়ণপুর ও বটতলীর যুদ্ধে শহীদদের এ-দুটি স্থানে কবর দেয়া হয়।
বরুড়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের স্থানীয় কোনো বিশেষ বাহিনী ছিল না, তবে বিএলএফ ও এফএফ-এর স্থানীয় বাহিনী ছিল। বিএলএফ-এর কমান্ডার ছিলেন নূরুল ইসলাম মিলন এবং এফএফ-এর কমান্ডার ও সহকারী কমান্ডার ছিলেন যথাক্রমে বেলায়েত হোসেন ও ফিরোজ আহমেদ।
মে মাস থেকেই মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে
বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করতে থাকেন। জুলাই মাসে তাঁরা পয়ালগাছা ও গালিমপুর ইউনিয়নে প্রথম হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করেন। এতে শাকপুর গ্রামের একজন রাজাকার নিহত হয়। পরবর্তী সময়ে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তিনটি উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হয়। সেগুলো হলো- নারায়ণপুরের যুদ্ধ, বটতলীর যুদ্ধ এবং পয়ালগাছার যুদ্ধ। ১৭ই সেপ্টেম্বর সংঘটিত নারায়ণপুরের যুদ্ধে ৬ জন এবং ১৮ই সেপ্টেম্বর বটতলীর যুদ্ধে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ২৩শে সেপ্টেম্বর পয়ালগাছার যুদ্ধে ১০-১২ পাকসেনা নিহত ও ২৮ জন রাজাকার হতাহত হয় এবং ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ৪ঠা ডিসেম্বর উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
উপজেলার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন— গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বীর বিক্রম (পিতা শামসুদ্দিন চৌধুরী, পায়েলগাছা), নাজিম উদ্দীন, বীর বিক্রম (পিতা রহিম উদ্দীন, বেকি), আব্দুল মালেক, বীর প্রতীক (পিতা মো. ফজর আলী, হাটপুকুরিয়া)।
বরুড়া উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- আব্দুল মালেক, বীর প্রতীক (২৯শে মে ভোমরা যুদ্ধে শহীদ), মো. জয়নাল আবেদীন (পিতা মোখলেছুর রহমান, কাকৈরতলা), কাজী আরিফ হোসেন (পিতা কাজী আবদুল লতিফ, দোঘই), মমতাজ উদ্দিন (পিতা আবদুল জব্বার, আড্ডা), আবদুল লতিফ (কান্দিরপাড়), সিরাজুল হক (পিতা হাজী আবদুল কাদির, দিঘলিয়া), আবদুর রব সওদাগর (আড্ডা), সিরাজুল ইসলাম (পিতা মো. ছাদু মিয়া, বদরপুর), সাহাদত হোসেন (পিতা মকরম আলী, বিষ্ণপুর), বাবুল মিঞা ( মাতা ছপরেননেছা), আবদুল লতিফ মীর (আড্ডা), মো. সিরাজুল ইসলাম (পুরান কাদবা), মমতাজ মিঞা (বরুড়া), আমানউল্যা (পিতা নোয়াব আলী, পয়ালগাছা), আবু মিঞা (পিতা সেকান্দর আলী, মহিদপুর), সিরাজুল ইসলাম (মহিদপুর), মো. আবদুর রশিদ মীর (পিতা আলী আকবর মীর, আড্ডা), আবদুল আজিজ (পুরান কাদবা), মো. আইউব আলী (পিতা হাজী আছমত আলী, শৈলখালী), রমজান আলী (পিতা আবদুল গনি, মুগগাঁও) ও রজ্জব আলী (পিতা আবদুল গনি, মুগগাঁও)।
বরুড়া উপজেলার বটতলীতে গণকবরে একটি, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১১ সালের ১৪ই মে বটতলীর যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল ও স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনের তৎকালীন এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, বীর বিক্রম। ২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর এমপি নাছিমুল আলম চৌধুরী এর উদ্বোধন করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করে। এছাড়া বটতলীর যুদ্ধে শহীদ দুজন গ্রামবাসীর স্মরণে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পয়ালগাছা ইউনিয়নের দোঘই গ্রামে আরিফ-বাবলু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে। আওয়ামী লীগের এমপি আবদুল হাকিম (প্রয়াত) উপজেলা সদরে সব শহীদের স্মরণে প্রতিষ্ঠা করেন বরুড়া শহীদস্মৃতি কলেজ। [গাজীউল হক সোহাগ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড