মুক্তিযুদ্ধে বদলগাছী উপজেলা (নওগাঁ)
বদলগাছী উপজেলা (নওগাঁ) ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার জন্য ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা’ করার নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলার মুক্তিকামী ছাত্র- যুবকরা সর্বাগ্রে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ছাত্র- যুবকরাও সশস্ত্র যুদ্ধের কার্যক্রম আরম্ভ করে। নওগাঁর কৃতী সন্তান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে সংগঠিত হয়ে তারা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শপথ নেয়। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে আব্দুল জলিলের রাজনৈতিক সহকর্মী নুরুল ইসলাম কবিরাজ দুলু (পিতা ডা. আবুল হোসেন কবিরাজ, কোলা), বজলুর রশিদ মাস্টার (পিতা সামসুদ্দীন মণ্ডল, বেগুনজোয়ার) এবং অন্যরা উপজেলার শতশত ছাত্র-যুবককে সংগঠিত করেন।
বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম থানা ভবন সংলগ্ন পাইলট হাইস্কুল মাঠে ২৯শে মার্চ থেকে ৩ দিন শতাধিক যুবককে মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তিনি অন্য যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করেন। উপজেলার আরো শতাধিক যুবক পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার এফ ইউ হাইস্কুল মাঠের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এখানে ১৫-২০ দিন প্রশিক্ষণ চলার পর কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়।
বদলগাছীর অনেকে ধামইরহাট, চিঙ্গীসপুর, শিমলতলি, ফার্সিপাড়া, হিলি, পাঁচবিবি, আটাপাড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে বাঙালীপুর, মধুপুর, পতিরাম, হরতিডাঙ্গা ক্যাম্পে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এদের অনেকে ভারতের পানিঘাটা, শিলিগুড়ি, তাণ্ডুয়া, উত্তর প্রদেশ-সহ বিভিন্ন জায়গার ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে যুদ্ধে অংশ নেন।
ভারতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এসে কিছু মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের অস্ত্র দিয়ে উপজেলার কোলা কয়াভবানীপুর ঈদগাহ মাঠে, গোরশাহী গ্রামের নিলাদিঘীর পাড়ে, কামারবাড়ীর লুৎফর রহমানের বাড়ি ও খাগড়াই কাষ্টোডোব কাঠা নদীর তীর ঘেঁষে জঙ্গলের ভেতরে অনেককে যুদ্ধের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেন। মুজিব বাহিনী-র কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দীক, নূরুল ইসলাম কবিরাজ দুলু, মোস্তাফিজুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, এরশাদ আলী, মুনছুর আলী, আয়ুব আলী প্রমুখ প্ৰশিক্ষণ প্রদান করেন।
বদলগাছী উপজেলায় যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ও গ্রুপ কমান্ডার ছিলেন, তাঁরা হলেন- ডি এম এনামুল হক, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মো. আব্দুর রহিম দেওয়ান বাবলু, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. আজিজুল হক, মো. আবু বক্কর সিদ্দীক, মো. কফিল উদ্দীন, মো. মুনছুর আলী, মো. খলিল উদ্দীন, মো. মোকলেছার রহমান লেবু, মো. সামছুল ইসলাম ও মো. ইসমাইল হোসেন।
কোনো প্রতিরোধের মুখোমুখি না হয়ে ৭ই এপ্রিল সকালে পাকবাহিনী নওগাঁ ক্যাম্প থেকে গাড়ি বহর নিয়ে বদলগাছী উপজেলায় প্রবেশ করে। বদলগাছীতে পাকবাহিনীর স্থায়ী কোনো ক্যাম্প ছিল না। থানায় তাদের অস্থায়ী ক্যাম্প ছিল। নওগাঁ ও আক্কেলপুর ক্যাম্প থেকে পাকসেনারা এসে বদলগাছী থানায় অবস্থান করত। স্থানীয় রাজাকারআলবদরদের সহযোগিতায় তারা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড চালায়।
পাকিস্তানি হানাদাররা আক্কেলপুর ও জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে মূলত বদলগাছী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন এবং যমুনা নদীর পূর্ব পাশের ৬টি ইউনিয়ন যথা- আধাইপুর, কোলা, মিঠাপুর, বিলাসবাড়ি, মথুরাপুর ও জগদীশপুর (বর্তমান পাহাড়পুর নিয়ন্ত্রণ করত। নওগাঁ ক্যাম্প থেকে পাকবাহিনী বালুভরা ও বদলগাছী সদর ইউনিয়নে নিয়ন্ত্রণ ও নির্যাতন চালাত। বদলগাছীতে পাকবাহিনীর সহযোগীদের মধ্যে ছিল ডা. আবদুল কাদের (পিতা আব্দুল আজিজ, কোলারপালশা; সভাপতি, উপজেলা শান্তি কমিটি ), আব্দুল হাকিম (কোলারপালশা; শান্তি কমিটির সদস্য), হাফিজ উদ্দীন সরদার (ঝাড়ঘরিয়া, রাজাকার), অধ্যাপক আবু তাহের (ইদ্রাকপুর, রাজাকার), আবুল কাসেম (ভাতশাইল, রাজাকার), মকবুল হোসেন (ভাতশাইল, রাজাকার), আবু বক্কর (ভাতশাইল, রাজাকার), আবু সামাদ (উত্তর সাদিশপুর, আলবদর), আলতাব আলী (উত্তর সাদিশপুর, আলবদর), বুধা মণ্ডল (সাদিশপুর, আলবদর) প্রমুখ। এ উপজেলায় শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর আরো অনেক সক্রিয় সদস্য ছিল। এরা সমগ্র উপজেলায় গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও নারীনির্যাতন চালায়।
৭ই এপ্রিল পাকবাহিনী বদলগাছী সদরে প্রবেশের পর দুভাগে বিভক্ত হয়ে এক দল চাকরাইল গ্রাম হয়ে মাতাজি হাটে যায়। অপর দল ছোট যমুনা নদী পাড় হয়ে সেনপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে দেউলিয়া কাষ্টডোব হয়ে বেগুনজোয়ার গ্রামে যায়। সন্ধ্যার পূর্ব মুহূর্তে পাকিস্তানি হানাদাররা মতাজিহাটের কয়েকটি বাড়ি ও চাকরাইল গ্রামে প্রবেশ করে ১০-১৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ-সময় তারা ক্যাপ্টেন ইসমাইল হোসেন চৌধুরী এমপিএ-র বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটায়। পাকবাহিনীর অন্য দলটি বেগুনজোয়ার থেকে পথে সেনপাড়া, কাষ্টডোব, কটকবাড়ি গ্রামে অগ্নিসংযোগ করে এবং একজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে।
এরপর পাকবাহিনীর দুটি দল বদলগাছী সদরে এসে মিলিত হয়ে প্রফুল্ল মজুমদার, দেবেন পণ্ডিত, মজিবর রহমান এ তিনজনকে হত্যা করে। হত্যার পর হানাদাররা তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
জুন মাসে ডাঙ্গিসারা গণহত্যা সংঘটিত হয়। এতে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার গণহত্যা সংঘটিত হয় ১০ই অক্টোবর। এতে ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৭ জন সাধারণ মানুষ শহীদ হন। ১৪ই অক্টোবর স্থানীয় রাজাকার ও আলবদরদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে জয়পুরহাট ক্যাম্পের ৩ শতাধিক পাকসেনা রাতের আঁধারে বদলগাছীর গয়েশপুর ও মথুরাপুর গ্রামে ব্যাপক তল্লাশি চালায়। এ-সময় পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের না পেয়ে গয়েশপুর গ্রামে গণহত্যা চালায়।
গয়েশপুর গণহত্যায় শিক্ষক মখলেছার রহমান চৌধুরী, বিশিষ্ট আইনজীবী আবু ফারুক চৌধুরীসহ অনেক মানুষ হানাদারদের গুলিতে প্রাণ হারান।
১২ই অক্টোবর সকালে পাকবাহিনী জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে বদলগাছীর জামালগঞ্জ, মালঞ্চা, রনাহার প্রভৃতি গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় অনেক নিরীহ মানুষের সম্পদ ও ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়।
পাকবাহিনী জয়পুরহাট ও আক্কেলপুর ক্যাম্প থেকে কোলা, পাড়োরা, মিঠাপুর, জগদীশপুর, উজালপুর-সহ বদলগাছীর বিভিন্ন গ্রামে অগ্নিসংযোগ, হত্যা ও লুটপাট চালাত। উজালপুর গ্রামে অগ্নিসংযোগের পর পাকসেনারা সুরেন সিংহের স্ত্রী কমদ বালার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। এছাড়া তারা স্থানীয় রাজাকার ও আলবদরদের সহযোগিতায় উপজেলার রনাহার, উত্তর রামপুর, মালঞ্চা, ঝাড়ঘরিয়া, কোলা, কয়াভবানিপুর, ভাণ্ডারপুর, বালুপাড়া, চকগোপাল, মধুপুর, দোনইল, মির্জাপুর, কোমারপুর, ভুবন, গোদল প্রভৃতি গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।
বদলগাছী উপজেলার আটককৃত লোকদের আক্কেলপুর ও নওগাঁ ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা বন্দি করে রেখে নির্যাতন চালাত বা হত্যা করত। উপজেলার কোনো-কোনো রাজাকারের বাড়িতে নির্যাতনকেন্দ্র ছিল। বদলগাছী উজেলায় ৭টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
সেগুলো একত্রে বদলগাছী গণকবর- নামে পরিচিত। এসব গণকবরের ৩টি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের, বাকিগুলো সাধারণ মানুষের। ডাঙ্গিসারা গণহত্যায় শহীদ ৬ জন মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ছোট যমুনা নদীর ধারে গণকবর দেয়া হয়, যা ডাঙ্গিসারা গণকবর নামে পরিচিত (দেখুন ডাঙ্গিসারা গণহত্যা)।
জামালগঞ্জ, মালঞ্চা, রনাহার প্রভৃতি গ্রামে পাকবাহিনীর অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে আক্কেলপুর উপজেলার কমান্ডার ফরমজুল হক পান্নার নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের পাশে এম্বুশ করেন। এক সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সাঁজোয়া গাড়ি বহর নিয়ে কাছাকাছি এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর আক্রমণ চালান। তারা পাল্টা আক্রমণ করে। এখানে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘণ্টাব্যাপী তীব্র যুদ্ধ হয়। এ-যুদ্ধে ১১৫ জন পাকসেনা ও ২৬ জন রাজাকার নিহত হয়। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার যুদ্ধ নামে পরিচিত এ-যুদ্ধে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। গুলি ফুরিয়ে যাওয়ায় এবং শত্রুদের কাছাকাছি চলে গেলে ফজলুর রহমান নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর হাতে আটক হন। তাঁকে পাকবাহিনী রশি দিয়ে গাড়ির সঙ্গে বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে জয়পুরহাট ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় কুখ্যাত রাজাকার ও শান্তি কমিটির সংগঠক আব্দুল আলিমের বাড়ির নির্যাতনকেন্দ্রে নিয়ে তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। শেষে খঞ্জনপুর নদীর ধারে গুলি করে ফজলুর রহমানকে হত্যা করে শত্রুরা এ বীর মুক্তিযোদ্ধার লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
কোলাহাট ইউনিয়নের কোলাভাণ্ডারপুরে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক যুদ্ধ হয়, যা কোলাহাট যুদ্ধ নামে পরিচিত। সেসব যুদ্ধে অনেক পাকসেনা নিহত হয়। অপরপক্ষে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসী শহীদ হন। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বদলগাছীর খামার, আক্কেলপুর, বালুপাড়া ও কুশারমুড়ী গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়।
১২ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বদলগাছী থানায় অবস্থিত পাকবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে আক্রমণ করেন। এ-সময় থানায় কয়েকজন রাজাকার ছিল। পরাজয় নিশ্চিত জেনে আগের রাতে পাকিস্তানি সেনারা থানা থেকে পালিয়ে যায়। রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পরাজিত ও আটক হয় এবং এদিনই বদলগাছী উপজেলা হানাদারমুক্ত হয়।
বদলগাছী উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন— ওসমান আলী (পিতা রজিব মুনসি, গোপালপুর), আমজাদ হোসেন জোয়ারদার (পিতা মফিজ উদ্দীন জোয়ারদার, বিলাসবাড়ী), জসিম উদ্দীন (ভগবানপুর), ফয়েজ উদ্দীন (পিতা হেদায়েতুল্ল্যাহ প্রাং, বেগুনজোয়ার), আব্দুল গণি (পিতা লইর উদ্দীন, চাপাডাল), মোকলেছুর রহমান (পিতা ময়েজ উদ্দীন, হলুদ বিহার), গোলাম সাকলাইন (পিতা ধন মোহাম্মদ সরদার, গয়ড়া), শাহাদত হোসেন (পিতা ওমর আলী মীর, বলরামপুর), নূরুল ইসলাম (পিতা কাসেম আলী মণ্ডল, উত্তর শ্যামপুর), আব্বাস আলী মণ্ডল (পিতা মছির উদ্দীন মণ্ডল, দুর্গাপুর), হাতেম আলী মণ্ডল (পিতা মাদার উদ্দীন মণ্ডল, উত্তর রামপুর), আফজাল হোসেন (পিতা আব্দুল আজিজ সরদার, উত্তর রামপুর), ফরিদ উদ্দীন (পিতা ভোলা মণ্ডল, শর্মাপুর), ইসমাইল হোসেন (পিতা আব্দুল কাদের মণ্ডল, চাঁপাডাল), আবু তাহের (পিতা ফয়েজ আলী, দোনইল), মিজানুর রহমান (পিতা নজির উদ্দীন, হাটশাফিলা), নবীর উদ্দীন (পিতা কিনা মণ্ডল, ঝাড়ঘরিয়া) ও ইসমাইল হোসেন (পিতা বাহার আলী, খলসী)।
বদলগাছী উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক রয়েছে। ডাকবাংলোর সামনে ছোট যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ৪৫ ফুট উঁচু একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কাজ চলছে। থানার পাশে ছোট যমুনা নদীর তীরে একটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণাধীন আছে। [মো. আবু সাইদ]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড