You dont have javascript enabled! Please enable it!

বড়াইল গণহত্যা (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ)

বড়াইল গণহত্যা (চুনারুঘাট, হবিগঞ্জ) সংঘটিত হয় ২৯শে এপ্রিল। এতে ৬ জন নিরীহ গ্রামবাসী শহীদ হন।
চুনারুঘাট থানার পাশে বড়াইল গ্রামের অবস্থান। এখান থেকে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে সিও অফিসে ছিল পাকবাহিনীর ক্যাম্প। ঘটনার দিন শান্তি কমিটি-র থানা সভাপতি চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুসলিম উদ্দিন, সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, দেওরগাছ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছুরুক আলী তালুকদার, গোগাউড়া গ্রামের মোহাম্মদ হোসাইনসহ স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় একদল পাকসেনা বড়াইল গ্রামে হানা দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর নির্যাতন চালায়। এ-সময় তারা গ্রামে ব্যাপক লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারীধর্ষণে মেতে ওঠে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে যুগেশ চন্দ্র সরকারের বাড়িতে হানা দিয়ে ৬ জনকে ধরে এনে চুনারুঘাট উত্তর বাজার খোয়াই নদীর তীরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর লাশগুলো নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। বড়াইল গ্রাম গণহত্যার শিকার গ্রামবাসীরা হলেন- উপেন্দ্র সরকার (পিতা যুগেশ চন্দ্র সরকার), রমেশ সরকার (পিতা সুরধন রাম সরকার), কামিনী সরকার (পিতা প্রাণকৃষ্ণ সরকার), মহেশ চন্দ্র সরকার (পিতা সুরধন রাম সরকার), যোগেশ চন্দ্র সরকার (পিতা প্রাণকৃষ্ণ সরকার) ও নিপেন্দ্র চন্দ্র সরকার (পিতা যুগেশ চন্দ্র সরকার)। [মিলন রশীদ]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!