বড়িবাড়ি গণহত্যা (বেলাব, নরসিংদী)
বড়িবাড়ি গণহত্যা (বেলাব, নরসিংদী) সংঘটিত হয় ১৪ই জুলাই। এতে ৭০ জনের মতো সাধারণ মানুষ হত্যার শিকার হয়।
ঘটনার দিন বেলাবতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি যুদ্ধ হয়, যা বেলাব যুদ্ধ নামে পরিচিত। এ-যুদ্ধে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা পশ্চাদপসরণ করলে হানাদাররা বড়িবাড়িতে গণহত্যা চালায়। তারা বিভিন্ন গ্রামের ৭০ জনের মতো সাধারণ মানুষকে নদীর পাড়ে এনে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। নিহতদের মধ্যে ৫৫ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন— বেলাবর মো. কবির মাহমুদ (৭৫) (পিতা হামদু আলী মুন্সী), তোতা মিয়া (৩০) (পিতা মো. কবির মাহমুদ), মাসুদ মিয়া (২০) (পিতা আ. কাদির), খুরশেদ মিয়া (৫০) (পিতা আ. কাদির), মহব্বত আলী (৪০) (পিতা নাসের আলী), ছায়েদ আলী মিয়া (৫০) (পিতা হাজী লাল মামুদ), হেলাল উদ্দিন হেলু (৪০) (পিতা সাবুদ আলী), তৈয়ব আলী (৫০) (পিতা আমজাদ আলী), ফালানী বেগম (৪০) (স্বামী তৈয়ব আলী), আ. হালিম (১৩) (পিতা তৈয়ব আলী), তমিজ উদ্দিন (৪৫) (পিতা নিয়ত আলী), নেহার উদ্দিন (২০) (পিতা তমিজ উদ্দিন), করিম খাঁন (৬০) (পিতা ধনু খাঁন), ভিকচান খাঁন (৭০) (পিতা নওয়াব আলী খান), মুসলিম মিয়া (৩০) (পিতা জিন্নত আলী), আফসার উদ্দিন (৪০) (পিতা আ. সামাদ), সিরাজুল হক (৪০) (আ. ছোবহান), রফিক উদ্দিন (২৫) (পিতা শের আলী), মরিয়মের নেছা (২৫) (পিতা সিরাজুল হক), ছাদত আলী মুন্সী (৬০) (পিতা সুবেদ আলী), লায়েছ মিয়া (২৫) (পিতা মাসুদ মিয়া), হাজী নায়েব আলী (৭০) (পিতা বুশাই মির্ধা), আ. রাজ্জাক (২৫) (পিতা মাসুদ মিয়া), আ. মান্নান (৬০) (পিতা সরুত আলী), সবুজ আলী (২০) (পিতা তৈয়ব আলী), সিরাজুল হক (২৫) (পিতা সাদু মুন্সী), সাদু মুন্সী (৬০) (পিতা সুবেদ আলী), আ. মালেক (২৫) (পিতা আ. আজিজ), হামিদ বেপারী (৬০) (পিতা হাছেন আলী বেপারী), আ. কাদের (৫৫) (পিতা হাছেন আলী বেপারী), আ. মজিদ (৫০) (পিতা হাছেন আলী বেপারী), আবু সাইদ (২৫) (পিতা আ. হামিদ), আ. হাশিম (৪০) (পিতা কান্দু মিয়া), আশ্রব আলী মুন্সী (৫৫) (পিতা তালেব হোসেন); বাজনাবের তছাদ্দক হোসেন (২০) (পিতা আ. মজিদ মুন্সী), আলফাজ উদ্দিন ভূঞা (৪৫) (পিতা আ. কাদের ভূঞা), আ. গফুর (৭০) (পিতা আব্বাস আলী), তাজুল ইসলাম (৩০) (পিতা আ. গফুর), আ. মোতালেব (৪০) (পিতা ইয়াকুব আলী), আ. হাশিম (৩৫) (পিতা করিম মিয়া), নিয়ত আলী (৪৫) (পিতা খোয়াজ আলী), মনসুর আলী (৫৫) (পিতা খোয়াজ আলী), সফর আলী (৬০) (পিতা জবেদ আলী); বাঘবেড়ের আক্কেল আলী (২২) (পিতা মনসুর আলী মুন্সী), আবেদ আলী (৪০) (পিতা আ. মান্নান মুন্সী), আমিনুল হক কাডু (৩০) (পিতা জব্বার আলী), সফর আলী (৪০) (পিতা ছায়েদ আলী), আ. আজিজ (৪৫) (পিতা আ. কাদির); মেরাতলির রফিকুল ইসলাম (১৮) (পিতা আছমত আলী); চরছায়াটের আ. আজিজ (৩৫) (পিতা কডু বক্স) এবং ফরিদপুরের মতলেব মিয়া (৩২) (পিতা গিয়াস উদ্দিন মুন্সী), বাবু মিয়া (৩২) (পিতা মমতাজ উদ্দিন), মধু মিয়া (৫০) (পিতা ফজর আলী), গোলাপ মিয়া (২০) (পিতা মধু মিয়া) ও জ্ঞানেন্দ্র বিশ্বাস (৭০) (পিতা খেলারাম বিশ্বাস)। [এম আর মাহবুব]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড