You dont have javascript enabled! Please enable it! বড়বাড়ি শহীদ স্মৃতিসৌধ (লালমনিরহাট সদর) - সংগ্রামের নোটবুক

বড়বাড়ি শহীদ স্মৃতিসৌধ (লালমনিরহাট সদর)

বড়বাড়ি শহীদ স্মৃতিসৌধ (লালমনিরহাট সদর) লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের আর কে রোডের সাদেক নগর ত্রিমোহিনী নামক স্থানে অবস্থিত। এর নিকটবর্তী আইরখামার নামক স্থানে ৯ই নভেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনী-র বড় ধরনের যুদ্ধ হয়। যুদ্ধকালে মুক্তিযোদ্ধারা ঘেরাও হয়ে পড়েন। এতে কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি মুখতার ইলাহী এবং বড়বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া ও এলাকাবাসীসহ ১১ জন শহীদ হন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে বড়বাড়ি ইউনিয়নের ভেতরে পাকিস্তানি হানাদার, বিহারি ও রাজাকারদের হাতে আরো বহু মানুষ নিহত হয়। শহীদ আবুল কাশেমের পুত্র আসাদুল হাবিব দুলু বড়বাড়ির শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ-সময় বড়বাড়ি এলাকায় ১১৯ জন মানুষ শহীদ হন বলে জানা যায়। শহীদদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে, তাদের নাম স্মৃতিসৌধে লেখা রয়েছে। তারা হলেন- মুখতার ইলাহী, আবুল কাশেম মিয়া, আব্দুর রহমান, মাহমুদ, শামছুল আলম, আব্দুল হান্নান, আব্দুল বাকির, ফরিদউদ্দিন, আব্দুল আজিজ, সাহজাহান আলী, আমদ্দি, ধন মাহমুদ, ফরাজউদ্দিন, মুজিবর রহমান, আব্দুল গণি, গিয়াসউদ্দিন, জব্বার, তহুরউদ্দিন, তৈয়ব আলী, খোকা কামাল, ফরিদ, জহুরউদ্দিন, আক্তার আলী, পঞ্চানন রায়, পানাউল্লাহ, বনমালী রায়, জাহের সর্দার, জমিরউদ্দিন, উমর মামুদ, ওমর আলী, জহিরউদ্দিন, ভোল্যা মামুদ, আব্দুস সাত্তার, আলী মিয়া, উমর আলী, জাবেদ আলী, হেকমত আলী, শফিউদ্দিন, আলী আহমেদ, আজাহার আলী, দরবার আলী দরবারু,আফতাব আলী, দছি মামুদ, আজাহার আলী, বছির মামুদ, মোজাম্মেল হক, ছাত্তার আলী, মোজাম মিয়া, আলী মিয়া, জমিরউদ্দিন, ভোলা মিয়া, মনচেটু মামুদ, মনোদ্দি, সামছুল হক, নাড়িয়া মামুদ, কেচুয়া মামুদ, হামিদ মিয়া, মফিজউদ্দিন, তেরপু মামুদ, আব্দুল মাসুদ, তহিরউদ্দিন, খলিল মিয়া, শরীফউদ্দিন, যজ্ঞেশ্বর, নরহরি শীল, আব্দুর রউফ, মফিজউদ্দিন, কেশা মামুদ, আকতার মামুদ, শমসের আলী ও আফতাব মামুদ।
বড়বাড়ি শহীদ স্মৃতিসৌধ লালমনিরহাট জেলার সবচেয়ে উচ্চতম শহীদ স্মৃতিসৌধ বলে পরিচিত। এর উচ্চতা ৩৮ ফুট। জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০০৪ সালে এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন সাবেক খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু। [আজহারুল আজাদ জুয়েল]

সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড