বড়পুল বধ্যভূমি (কিশোরগঞ্জ সদর)
বড়পুল বধ্যভূমি (কিশোরগঞ্জ সদর) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত। শহরের উত্তরদিকে ৩ কিলোমিটার দূরে লতিবাবাদ ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ময়মনসিংহের সঙ্গে কিশোরগঞ্জকে যুক্ত করেছে। ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন থেকে ২০০ মিটার দূরে মহাসড়কের ওপর বড়পুল ব্রিজ অবস্থিত। এ ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে গেছে একটি খাল। এ খাল মহাসড়কের পশ্চিম পাশ থেকে শুরু হয়ে পুলের নিচ দিয়ে পূর্বপাশে আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সদর উপজেলার সর্ববৃহৎ জলাধার ভাস্করখিলা বিলে গিয়ে মিশেছে। বর্ষাকালে খালটি পানিতে পূর্ণ থাকে। ৭১- এর জুলাই থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে হানাদার পাকিস্তানি সেনারা চার দফায় এ বড়পুলে ৩৫ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। কিশোরগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে এনে তাদের এখানে হত্যা করা হয়। নিহতদের অনেকের লাশ পানির স্রোতে ভেসে গিয়ে ভাস্করখিলা বিলে পঁচে-গলে যায়। কিছু লাশ কাটাবাড়িয়া বড়দিঘিরপাড় গণকবর-এ দাফন করা হয়। এ বধ্যভূমিতে নিহতদের মধ্যে মাত্র ৪ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- খগেন্দ্র রায় হেলু (পিতা শৈলেন্দ্র চন্দ্র রায়, বকুলতলা, খড়মপট্টি, কিশোরগঞ্জ শহর), মো. জোয়াদ মোল্লা, (পিতা হাজী মিয়া হোসেন মোল্লা, বেরুয়াইল, রশিদাবাদ, কিশোরগঞ্জ সদর), খোকন চন্দ্র সরকার (পিতা ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার, ধনকুড়া, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ) ও ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার (পিতা নরেন্দ্র চন্দ্র সরকার ওরফে নৈরা, ধনকুড়া, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ)। [জাহাঙ্গীর আলম জাহান]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড