বটতলী রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম)
বটতলী রাজাকার ক্যাম্প অপারেশন (লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম) পরিচালিত হয় ২ বার- প্রথমবার ১৪ই নভেম্বর রাজাকার ক্যাম্পে এবং দ্বিতীয়বার ২২শে নভেম্বর বটতলী টিএন্ডটি বোর্ডে। এ দুটি অপারেশনে কয়েকজন রাজাকার নিহত হয়, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দি হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। টিএন্ডটি বোর্ড এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী এলাকায় টিএন্ডটি বোর্ডের পাশে একটি শক্তিশালী রাজাকার ক্যাম্প ছিল। বটতলী এলাকার লোকজন এ ক্যাম্পের রাজাকারদের অত্যাচার- নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বান্দরবানের ক্যানাইজু পাড়া এলাকায় ১১২ নম্বর এ কে এম সামছুল আলম গ্রুপ এ অবস্থা জানতে পেরে উক্ত ক্যাম্পে অপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন। ১৪ই নভেম্বর তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করেন। রাজাকাররাও পাল্টা আক্রমণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ৩ ঘণ্টার মতো যুদ্ধ চলে। এতে ৩ জনের অধিক রাজাকার নিহত, কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দি হয় এবং বাকি রাজাকাররা ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায়।
২২শে নভেম্বর সুলতান আহমদ কন্ট্রাক্টর গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধারা ডেপুটি কমান্ডার মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে লোহাগাড়া উপজেলার বটতলী এলাকায় টিএন্ডটি বোর্ডে অপারেশন চালান। টিএন্ডটি বোর্ডে পাহারারত রাজাকাররাও পাল্টা আক্রমণ করে। উভয় পক্ষের মধ্যে ২ ঘণ্টার মতো যুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে একাধিক রাজাকার নিহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়। টিএন্ডটি বোর্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাঁরা বোর্ডটি অন্যত্র সরিয়ে নেন। [শামসুল আরেফীন]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড