বগাদী অপারেশন (আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ)
বগাদী অপারেশন (আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ) পরিচালিত হয় ৭ই নভেম্বর। এদিন দুশতাধিক পাকসেনা রসদ ও গোলাবারুদ নিয়ে লঞ্চে করে মেঘনা নদী পার হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় তাদের ক্যাম্পে যাবে এ সংবাদ মুক্তিযোদ্ধারা সোর্সের মাধ্যমে আগে থেকেই পেয়ে যান। তাই পাকসেনাদের বাধা দেয়ার জন্য আড়াইহাজারের ডেপুটি থানা কমান্ডার কাজী মো. ওয়াজউদ্দীন ৬ই নভেম্বর রাতে বগাদীর কাজী মঞ্জুর হোসেনের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সে অনুযায়ী মঞ্জুর হোসেনের নেতৃত্বে কমান্ডার কাজী মো. ওয়াজউদ্দীন, -মুজিব বাহিনী-র গ্রুপ কমান্ডার মো. শামসুল হক মোল্লা, আতাদি গ্রামের মো. রেজাউল করিমসহ ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা বগাদী নামক স্থানে এমবুশ করে পজিশন নেন। ঘটনার দিন কয়েকজন পাকসেনা গোপালদী-আড়াইহাজার সড়ক ধরে মার্চ করতে-করতে মেঘনার শাখা নদীর পাড় ঘেঁষে আড়াইহাজার থানার দিকে আসতে থাকে। তাদের দেখামাত্র কাজী মঞ্জুর হোসেন ফায়ার করেন। পাকসেনারাও ফায়ার করে। উভয় পক্ষে তুমুল গোলাগুলির এক পর্যায়ে পাকসেনারা মঞ্জুরকে লক্ষ্য করে গুলি করে। সঙ্গে-সঙ্গে তাঁর মাথার খুলি উড়ে যায় এবং তিনি সেখানেই শাহাদাত বরণ করেন। এরপর পাকসেনারা গুলি ছুড়তে-ছুড়তে আড়াইহাজার থানায় প্রবেশ করে। পাকসেনাদের গুলিতে রাস্তায় একজন বয়স্ক ব্যক্তিও শহীদ হন। [রীতা ভৌমিক]
সূত্র: বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ৬ষ্ঠ খণ্ড